০৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

শিক্ষার অধিকার এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা ও পরিসর

অধ্যাপক আবু হামিদ লতিফ
  • প্রকাশ: ১২:৫৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৩৯৭ বার পড়া হয়েছে

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা | ছবি: ফিন্যানশিয়্যাল এক্সপ্রেস


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা ও পরিসর (relevance and scope of Non formal education) 

কোনো একটি দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রদান, ‘সবার জন্য শিক্ষা’ (education for all) আয়োজন করা, সাক্ষরতা নিশ্চিত করা এবং মৌলিক শিক্ষার (basic education) সুযোগ সৃষ্টি করা একটি পরিকল্পিত, ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ কর্মযজ্ঞ। শুধু আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মতো জনবহুল ও নানা সমস্যায় আকীর্ণ দেশে। এক্ষেত্রে সহযোগী শিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। অন্য কথায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাওয়া যায় একটি দেশের সাক্ষর জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে, সবার জন্য মৌলিক শিক্ষা এবং সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অর্থাৎ শিক্ষার অধিকার (right to education) বলতে যা বোঝায় তা সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নিশ্চিত করতে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা যুগপৎ প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য। 

সবার জন্য শিক্ষা অর্থাৎ সবার জন্য গুণগত মানের মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করার পর বৃহৎ জনসমাজে, বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পুষ্টি, পরিবেশ প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিশেষ অবদান রাখতে পারে। শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের বাইরে, তাদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান-সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদেরকে দেশের জনগণের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার একটি অন্যতম কর্মক্ষেত্র। এছাড়া গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, জীবনের গুণগত মান বৃদ্ধি, জীবনাচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধি ও কোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রভাবিত করা (advocacy) উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্রমপ্রসারিত পরিসরের কয়েকটি উদাহরণ। এসব কর্মকাণ্ডে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং উপানুষ্ঠানিক কর্মপ্রয়াস হিসেবে স্বীকৃত।

শিক্ষার অধিকার ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Right to Education and Non formal education) 

শিক্ষা একটি অধিকার (education is a right) 

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা মানুষের মৌলিক মানবাধিকার’ (education is a fundamental human right as set forth in UN declaration on Human Rights, 1948)। উক্ত ঘোষণাপত্রের ২৬ নম্বর ধারায় এ প্রসঙ্গে যে ভাষ্য রয়েছে তা নিম্নরূপ: 

  • প্রত্যেক মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। কমপক্ষে-প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক হবে। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষা সাধারণভাবে সকলের জন্য লভ্য হবে এবং উচ্চশিক্ষায় মেধানুযায়ী সকলের প্রবেশাধিকার থাকবে।
  • প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার ধারণা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে শিক্ষা পরিচালিত হবে। শিক্ষা সব জাতি, বর্ণ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্ব উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করবে এবং শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মতৎপরতা তুলে ধরবে। 
  • সন্তানদের কী ধরনের শিক্ষা দিতে চান তা আগে থেকেই বেছে নেয়ার অধিকার সব পিতা-মাতার রয়েছে৷ 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত (২০ নভেম্বর, ১৯৮৯) শিশুদের অধিকার সংবলিত কনভেনশনের (Convention on the Rights of the Child, 1989) ২৮ নম্বর ধারায় শিশুদের শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে – 

  • রাষ্ট্রগুলো প্রাথমিক শিক্ষা সর্বজনীন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং তা বিনাবেতনে সকলের নাগালের মধ্যে পাওয়ার ব্যবস্থা করবে;
  • বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করবে, সাধারণ ও বৃত্তিমুখী শিক্ষাসহ এবং এসব কার্ধক্রম প্রত্যেক বালক-বালিকার নাগালের মধ্যে পাওয়ার, প্রবেশাধিকারের, বিনাবেতনে শিক্ষা লাভের এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দানের ব্যবস্থা করবে;
  • যোগ্যতার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করবে;
  • সকল শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষামূলক, বৃত্তিমূলক তথ্যাদি ও পরামর্শ দানের ব্যবস্থা করবে ও এসব কার্ষক্রমে প্রবেশাধিকারের সুযোগ থাকবে;
  • স্কুলে নিয়মিত হাজির থাকার ও স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার কমানোর ব্যবস্থা করবে।
  • রাষ্ট্রগুলো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যাতে শিশুর মানব মর্যাদা সংরক্ষণ ও বর্তমান কনভেনশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্কুলের নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রয়োগ করা হয়।
  • রাষ্ট্রগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উৎসাহিত করবে, বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী অজ্ঞতা ও নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার সহজতর করার লক্ষ্যে। এ ব্যাপারে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। 

২৯ নম্বর ধারার ভাষ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্তলো একমত্যে পৌছাবে যে শিশুদের শিক্ষা পরিচালিত হবে-

  • শিশুর ব্যক্তিত্ব, গুণাবলি, মানসিক ও শারীরিক সামর্থ্যের সর্বাধিক উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে;
  • শিশুদের শিক্ষা মানবাধিকার, মূল স্বাধীনতাগুলো ও জাতিসংঘের সনদে অন্তর্ভুক্ত নীতিমালাগুলোর প্রতি মনযোগী ও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার লক্ষ্যে;
  • প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি শিশুদের মমতৃবোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্য। 

২৮ ও ২৯ নম্বর ধারার কোনো অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনায় ব্যক্তি বা কোনো সংস্থার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে, এমনটা মনে করা সঙ্গত হবে না। যদিও আশা করা যায় যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসব ধারায় যা বলা হয়েছে তা মেনে চলতে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত মান ন্যূনতম হলেও রক্ষী করতে সচেষ্ট থাকবে। 

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

শিক্ষার অধিকার এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা ও পরিসর

প্রকাশ: ১২:৫৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা ও পরিসর (relevance and scope of Non formal education) 

কোনো একটি দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রদান, ‘সবার জন্য শিক্ষা’ (education for all) আয়োজন করা, সাক্ষরতা নিশ্চিত করা এবং মৌলিক শিক্ষার (basic education) সুযোগ সৃষ্টি করা একটি পরিকল্পিত, ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ কর্মযজ্ঞ। শুধু আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মতো জনবহুল ও নানা সমস্যায় আকীর্ণ দেশে। এক্ষেত্রে সহযোগী শিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। অন্য কথায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাওয়া যায় একটি দেশের সাক্ষর জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে, সবার জন্য মৌলিক শিক্ষা এবং সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অর্থাৎ শিক্ষার অধিকার (right to education) বলতে যা বোঝায় তা সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নিশ্চিত করতে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা যুগপৎ প্রাসঙ্গিক ও অপরিহার্য। 

সবার জন্য শিক্ষা অর্থাৎ সবার জন্য গুণগত মানের মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করার পর বৃহৎ জনসমাজে, বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পুষ্টি, পরিবেশ প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিশেষ অবদান রাখতে পারে। শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের বাইরে, তাদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান-সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদেরকে দেশের জনগণের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার একটি অন্যতম কর্মক্ষেত্র। এছাড়া গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, জীবনের গুণগত মান বৃদ্ধি, জীবনাচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধি ও কোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রভাবিত করা (advocacy) উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্রমপ্রসারিত পরিসরের কয়েকটি উদাহরণ। এসব কর্মকাণ্ডে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং উপানুষ্ঠানিক কর্মপ্রয়াস হিসেবে স্বীকৃত।

শিক্ষার অধিকার ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Right to Education and Non formal education) 

শিক্ষা একটি অধিকার (education is a right) 

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা মানুষের মৌলিক মানবাধিকার’ (education is a fundamental human right as set forth in UN declaration on Human Rights, 1948)। উক্ত ঘোষণাপত্রের ২৬ নম্বর ধারায় এ প্রসঙ্গে যে ভাষ্য রয়েছে তা নিম্নরূপ: 

  • প্রত্যেক মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। কমপক্ষে-প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক হবে। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষা সাধারণভাবে সকলের জন্য লভ্য হবে এবং উচ্চশিক্ষায় মেধানুযায়ী সকলের প্রবেশাধিকার থাকবে।
  • প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার ধারণা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে শিক্ষা পরিচালিত হবে। শিক্ষা সব জাতি, বর্ণ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্ব উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করবে এবং শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মতৎপরতা তুলে ধরবে। 
  • সন্তানদের কী ধরনের শিক্ষা দিতে চান তা আগে থেকেই বেছে নেয়ার অধিকার সব পিতা-মাতার রয়েছে৷ 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত (২০ নভেম্বর, ১৯৮৯) শিশুদের অধিকার সংবলিত কনভেনশনের (Convention on the Rights of the Child, 1989) ২৮ নম্বর ধারায় শিশুদের শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে – 

  • রাষ্ট্রগুলো প্রাথমিক শিক্ষা সর্বজনীন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং তা বিনাবেতনে সকলের নাগালের মধ্যে পাওয়ার ব্যবস্থা করবে;
  • বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করবে, সাধারণ ও বৃত্তিমুখী শিক্ষাসহ এবং এসব কার্ধক্রম প্রত্যেক বালক-বালিকার নাগালের মধ্যে পাওয়ার, প্রবেশাধিকারের, বিনাবেতনে শিক্ষা লাভের এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দানের ব্যবস্থা করবে;
  • যোগ্যতার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করবে;
  • সকল শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষামূলক, বৃত্তিমূলক তথ্যাদি ও পরামর্শ দানের ব্যবস্থা করবে ও এসব কার্ষক্রমে প্রবেশাধিকারের সুযোগ থাকবে;
  • স্কুলে নিয়মিত হাজির থাকার ও স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার কমানোর ব্যবস্থা করবে।
  • রাষ্ট্রগুলো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যাতে শিশুর মানব মর্যাদা সংরক্ষণ ও বর্তমান কনভেনশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্কুলের নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রয়োগ করা হয়।
  • রাষ্ট্রগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উৎসাহিত করবে, বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী অজ্ঞতা ও নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার সহজতর করার লক্ষ্যে। এ ব্যাপারে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। 

২৯ নম্বর ধারার ভাষ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্তলো একমত্যে পৌছাবে যে শিশুদের শিক্ষা পরিচালিত হবে-

  • শিশুর ব্যক্তিত্ব, গুণাবলি, মানসিক ও শারীরিক সামর্থ্যের সর্বাধিক উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে;
  • শিশুদের শিক্ষা মানবাধিকার, মূল স্বাধীনতাগুলো ও জাতিসংঘের সনদে অন্তর্ভুক্ত নীতিমালাগুলোর প্রতি মনযোগী ও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার লক্ষ্যে;
  • প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি শিশুদের মমতৃবোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্য। 

২৮ ও ২৯ নম্বর ধারার কোনো অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনায় ব্যক্তি বা কোনো সংস্থার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে, এমনটা মনে করা সঙ্গত হবে না। যদিও আশা করা যায় যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসব ধারায় যা বলা হয়েছে তা মেনে চলতে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত মান ন্যূনতম হলেও রক্ষী করতে সচেষ্ট থাকবে।