১০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্ব কী? ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্বের ধারণা, সমালোচনা ও গুরুত্ব

জারিন তাসনিম
  • প্রকাশ: ১০:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৮২৭১ বার পড়া হয়েছে


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

ভোক্তার উদ্বৃত ধারণাটির উৎপত্তি হয়েছে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি থেকে। অর্থনীতিতে ভোক্তার উদ্ববৃত্ত ধারণাটির তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে।  

ভোক্তার উপবৃত্ত বলতে কী বোঝায়?

ভোক্তার উদ্বৃত ধারণার প্রবক্তা  অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালই (Alfred Marshall)। আলফ্রেড মার্শাল অনেকটা এমনই বলেছেন যে, কোনো দ্রব্যের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের জন্য উচ্চ দাম দিতে রাজি থাকলেও কখনো কখনো ওই দ্রব্যের একই পরিমাণের জন্য নিম্নদাম প্রদান করে, এতে ভোক্তা যে অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে তাকেই ভোক্তার উদ্বৃত্ত বলে”।

সহজ কথায়, ক্রেতা কোনো দ্রব্যের বিভিন্ন একক যে দামে ক্রয় করতে ইচ্ছুক এবং প্রকৃতপক্ষে যে দামে ক্রয় করে, এ দু’য়ের পার্থক্য হল ভোক্তার উদ্বৃত্ত।

কোন দ্রব্যের জন্য ভোক্তা যে দাম দিতে রাজি তা হলো ক্রেতার চাহিদা দাম। আর প্রকৃত পক্ষে সে যে দাম দেয় তা হলো বাজার দাম। এ দু’য়ের পার্থক্য হলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত। 

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটি ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধির উপর নির্ভরশীল। কোনো দ্রব্যের ভোগের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে তার প্রান্তিক উপযোগ হ্রাস পায় এবং তা অবশেষে দামের  সমান হয়। এ কারণে ভোক্তা দ্রব্য ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে যাবে যতক্ষণ না প্রান্তিক উপযোগ দামের সমান হয় এবং যে এককে দাম ও প্রান্তিক উপযোগ সমান হবে তার পূর্ববর্তী একক  সমূহ হতে যে উদ্বৃত্ত উপযোগ ভোক্তা লাভ করে তা-ই তার উদ্বৃত্ত।

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণা বা তত্ত্বের সমালোচনা

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটি বেশ কিছু সমালোচনার সম্মুখীন :

১. ভোক্তার উদ্বৃত্ত অর্থের মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য নয়।

২. ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্বে ধরে নেওয়া হয়েছে অর্থের প্রান্তিক উপযোগ স্থির, কিন্তু এটি সঠিক নয়। 

৩. ব্যক্তিগত চাহিদা দাম নিতান্তই কাল্পনিক বিষয়। 

৪. এ তত্ত্ব ব্যক্তির ভোগ উদ্বৃত্ত পরিমাপ করতে পারলেও গোটা সমাজের জন্য পারে না। 

৫. অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য মানুষ যে কোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত বলে সেক্ষেত্রে ভোক্তার উদ্বৃত্ত অপরিসীম। 

৬. বিলাস ও জাঁকজমকপূর্ণ দ্রব্যের ক্ষেত্রে এ বিধি কার্যকর নয়। 

৭. পরিবর্তক ও পরিপূরক দ্রব্যের ক্ষেত্রে ভোক্তার উদ্বৃত্ত পরিমাপ করা অসুবিধাজনক। কেননা তাদের ভোগ নিজের দাম ছাড়াও অন্যের দামের উপর নির্ভরশীল।

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটির গুরুত্ব 

এটা সত্য যে, ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটির সুনির্দিষ্ট কিছু ত্রুটি রয়েছে যা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। কিন্তু এর পরেও ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে।

নিচে ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্বের গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো:

১. ব্যবহারিক ও বিনিময় মূল্য সম্পর্কে ধারণা

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটি কোনো দ্রব্যের ভোগোদ্বৃত্ত না থাকলে তার ব্যবহারিক ও বিনিময় মূল্য পরস্পর সমান হয়। ভোগোদ্বৃত্ত বেশি হলে দ্রব্যের ব্যবহারিক মূল্য বিনিময় মূল্যের চেয়ে বেশি হয়। 

২. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লাভ নির্ধারণ

এ তত্ত্বের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লাভ নির্ধারণ করা যায়। কোন দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হতে লাভ পাচ্ছে কিনা তা এ ধারণার মাধ্যমে জানা যায়। 

৩. একচেটিয়া কারবারীর নিকট গুরুত্ব

একচেটিয়া কারবারীর দ্রব্যমূল্য নির্ধারণে ভোক্তার 

উদ্বৃত্ত ধারণাটির গুরুত্ব রয়েছে। ভোক্তার নিকট যে পরিমাপ উদ্বৃত্ত রয়েছে একচেটিয়া কারবারী দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বাধিক সে পরিমাণ উদ্বৃত্ত আদায় করে নিতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে সে তার দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করতে পারে।

৪. কর আরোপের ক্ষেত্রে

কর আরোপের ক্ষেত্রে এ ধারণাটির গুরুত্ব অপরিসীম, পরোক্ষ কর আরোপের ফলে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় আর ভোক্তার উদ্বৃত্ত হ্রাস পায়। তাই এ ধরনের কর আরোপের সময় সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে যেন সরকারের রাজস্ব যে হারে বাড়ে ভোক্তার উদ্বৃত্ত সে হারে না কমে। 

৫. ভতুর্কির ক্ষেত্রে

অনেক সময় অধিক খরচে উৎপাদিত ক্রেতারা যাতে কম দামে ক্রয় করতে পারে সে জন্য সরকার উৎপাদন প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি প্রদান করে। ভর্তুকি প্রদানের ফলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয়। যেসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে সৃষ্ট ভোক্তার উদ্বৃত্তের পরিমাণ ভর্তুকির চেয়ে বেশি হয় সে দ্রব্যের উৎপাদককে ভর্তুকি দেয়া বাঞ্ছনীয়। 

৬. প্রকৃত আয় নির্ধারণে

অর্থনীতিতে সাধারণ মূল্যস্তর বেশি হলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত কম হয় এবং জনসাধারণের প্রকৃত আয় এবং জীবনযাত্রার মান কম হয়। আবার মূল্যস্তর কম হলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত বেশি হয় এবং জীবনযাত্রার মানও বেশি হয়। 

৭. জনকল্যাণমূলক ব্যয়ের ক্ষেত্রে

জনকল্যাণমূলক ব্যয়ের ক্ষেত্রে এ বিবরণটির গুরুত্ব রয়েছে। এ ধরনের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে 

ভোক্তার উদ্বৃত্ত বৃদ্ধি পায়।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

জারিন তাসনিম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্বাধীন লেখক।

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্ব কী? ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্বের ধারণা, সমালোচনা ও গুরুত্ব

প্রকাশ: ১০:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ভোক্তার উদ্বৃত ধারণাটির উৎপত্তি হয়েছে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি থেকে। অর্থনীতিতে ভোক্তার উদ্ববৃত্ত ধারণাটির তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে।  

ভোক্তার উপবৃত্ত বলতে কী বোঝায়?

ভোক্তার উদ্বৃত ধারণার প্রবক্তা  অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালই (Alfred Marshall)। আলফ্রেড মার্শাল অনেকটা এমনই বলেছেন যে, কোনো দ্রব্যের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের জন্য উচ্চ দাম দিতে রাজি থাকলেও কখনো কখনো ওই দ্রব্যের একই পরিমাণের জন্য নিম্নদাম প্রদান করে, এতে ভোক্তা যে অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে তাকেই ভোক্তার উদ্বৃত্ত বলে”।

সহজ কথায়, ক্রেতা কোনো দ্রব্যের বিভিন্ন একক যে দামে ক্রয় করতে ইচ্ছুক এবং প্রকৃতপক্ষে যে দামে ক্রয় করে, এ দু’য়ের পার্থক্য হল ভোক্তার উদ্বৃত্ত।

কোন দ্রব্যের জন্য ভোক্তা যে দাম দিতে রাজি তা হলো ক্রেতার চাহিদা দাম। আর প্রকৃত পক্ষে সে যে দাম দেয় তা হলো বাজার দাম। এ দু’য়ের পার্থক্য হলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত। 

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটি ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধির উপর নির্ভরশীল। কোনো দ্রব্যের ভোগের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে তার প্রান্তিক উপযোগ হ্রাস পায় এবং তা অবশেষে দামের  সমান হয়। এ কারণে ভোক্তা দ্রব্য ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে যাবে যতক্ষণ না প্রান্তিক উপযোগ দামের সমান হয় এবং যে এককে দাম ও প্রান্তিক উপযোগ সমান হবে তার পূর্ববর্তী একক  সমূহ হতে যে উদ্বৃত্ত উপযোগ ভোক্তা লাভ করে তা-ই তার উদ্বৃত্ত।

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণা বা তত্ত্বের সমালোচনা

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটি বেশ কিছু সমালোচনার সম্মুখীন :

১. ভোক্তার উদ্বৃত্ত অর্থের মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য নয়।

২. ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্বে ধরে নেওয়া হয়েছে অর্থের প্রান্তিক উপযোগ স্থির, কিন্তু এটি সঠিক নয়। 

৩. ব্যক্তিগত চাহিদা দাম নিতান্তই কাল্পনিক বিষয়। 

৪. এ তত্ত্ব ব্যক্তির ভোগ উদ্বৃত্ত পরিমাপ করতে পারলেও গোটা সমাজের জন্য পারে না। 

৫. অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য মানুষ যে কোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত বলে সেক্ষেত্রে ভোক্তার উদ্বৃত্ত অপরিসীম। 

৬. বিলাস ও জাঁকজমকপূর্ণ দ্রব্যের ক্ষেত্রে এ বিধি কার্যকর নয়। 

৭. পরিবর্তক ও পরিপূরক দ্রব্যের ক্ষেত্রে ভোক্তার উদ্বৃত্ত পরিমাপ করা অসুবিধাজনক। কেননা তাদের ভোগ নিজের দাম ছাড়াও অন্যের দামের উপর নির্ভরশীল।

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটির গুরুত্ব 

এটা সত্য যে, ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটির সুনির্দিষ্ট কিছু ত্রুটি রয়েছে যা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। কিন্তু এর পরেও ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে।

নিচে ভোক্তার উদ্বৃত্ত তত্ত্বের গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো:

১. ব্যবহারিক ও বিনিময় মূল্য সম্পর্কে ধারণা

ভোক্তার উদ্বৃত্ত ধারণাটি কোনো দ্রব্যের ভোগোদ্বৃত্ত না থাকলে তার ব্যবহারিক ও বিনিময় মূল্য পরস্পর সমান হয়। ভোগোদ্বৃত্ত বেশি হলে দ্রব্যের ব্যবহারিক মূল্য বিনিময় মূল্যের চেয়ে বেশি হয়। 

২. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লাভ নির্ধারণ

এ তত্ত্বের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লাভ নির্ধারণ করা যায়। কোন দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হতে লাভ পাচ্ছে কিনা তা এ ধারণার মাধ্যমে জানা যায়। 

৩. একচেটিয়া কারবারীর নিকট গুরুত্ব

একচেটিয়া কারবারীর দ্রব্যমূল্য নির্ধারণে ভোক্তার 

উদ্বৃত্ত ধারণাটির গুরুত্ব রয়েছে। ভোক্তার নিকট যে পরিমাপ উদ্বৃত্ত রয়েছে একচেটিয়া কারবারী দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বাধিক সে পরিমাণ উদ্বৃত্ত আদায় করে নিতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে সে তার দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করতে পারে।

৪. কর আরোপের ক্ষেত্রে

কর আরোপের ক্ষেত্রে এ ধারণাটির গুরুত্ব অপরিসীম, পরোক্ষ কর আরোপের ফলে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় আর ভোক্তার উদ্বৃত্ত হ্রাস পায়। তাই এ ধরনের কর আরোপের সময় সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে যেন সরকারের রাজস্ব যে হারে বাড়ে ভোক্তার উদ্বৃত্ত সে হারে না কমে। 

৫. ভতুর্কির ক্ষেত্রে

অনেক সময় অধিক খরচে উৎপাদিত ক্রেতারা যাতে কম দামে ক্রয় করতে পারে সে জন্য সরকার উৎপাদন প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি প্রদান করে। ভর্তুকি প্রদানের ফলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয়। যেসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে সৃষ্ট ভোক্তার উদ্বৃত্তের পরিমাণ ভর্তুকির চেয়ে বেশি হয় সে দ্রব্যের উৎপাদককে ভর্তুকি দেয়া বাঞ্ছনীয়। 

৬. প্রকৃত আয় নির্ধারণে

অর্থনীতিতে সাধারণ মূল্যস্তর বেশি হলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত কম হয় এবং জনসাধারণের প্রকৃত আয় এবং জীবনযাত্রার মান কম হয়। আবার মূল্যস্তর কম হলে ভোক্তার উদ্বৃত্ত বেশি হয় এবং জীবনযাত্রার মানও বেশি হয়। 

৭. জনকল্যাণমূলক ব্যয়ের ক্ষেত্রে

জনকল্যাণমূলক ব্যয়ের ক্ষেত্রে এ বিবরণটির গুরুত্ব রয়েছে। এ ধরনের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে 

ভোক্তার উদ্বৃত্ত বৃদ্ধি পায়।