০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

ভগিরথ চন্দ্র সেন আমার প্রিয় শিক্ষক

ড. রঞ্জিত পোদ্দার
  • প্রকাশ: ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • / ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

রঞ্জিত পোদ্দার


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

শিক্ষা দানের মহান ব্রত যারা পালন করেন তাদেরই আমরা শিক্ষক হিসেবে জানি। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা যার সাথে পরিচিত আমরা সবাই এবং আমাদের প্রত্যেকের কাছেই বিশেষভাবে মর্যাদার। এ মহান পেশায় এসে নিজেদের সম্মানিত করার পাশাপাশি সর্বোচ্চটা দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন বা এখনও করছেন, ভবিষ্যতেও আসবেন অনেকে। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যকই আছেন যারা নিজেদের দায়িত্ব পালনের চেয়েও অনেক বড় কিছু করে গেছেন, আজ এমনই একজনের কথা বলব।

ভগিরথ চন্দ্র সেন। ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক; মানুষ গড়ার কারিগর বলা যেতে পারে। নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলাধীন ছয়ধরিয়া গ্রামের এই কৃতি শিক্ষক ১৯৭২ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ভাগদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শেষ করেন রাবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। চাকরিতে যোগ দেয়ার পর থেকে দীর্ঘ্য ৩৫ বছর প্রত্যহ সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতেন। নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন পেশাদারিত্বের শেষ দিন পর্যন্ত যেন তাঁর কোন রকমের ক্লান্তি ছিলনা। ২০০৭ এ এসে অবসর নেয়ার পরেও গ্রামে শিক্ষামূলক ও সামাজিক নানা কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন।

মানুষ গড়ার এ কারিগর গত বছর ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে পরলোক গমণ করেন। তাঁর বিদায়ের সাথে সাথে একজন ভাল শিক্ষক ও ভালো মানুষ কমে গেলো দেশ থেকে। একজন ভালো মানুষ ও একজন ভাল শিক্ষক হিসেবে ছাত্র-ছাত্রী ও চারপাশের মানুষের জন্য অনেক করেছেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩/৭৪ সালের কথা কথা বলছি। তখন আমি প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছিলাম। চারদিকে ছিল দারিদ্র্যের ছড়াছড়ি। আপনারা হয়তো জানেন বা জেনে থাকবেন ১৯৭৪ এর দূর্ভিক্ষের কথা। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ ও পরিবারের উপড় যার নেতিবাচক প্রভাব পরেছিল। আমি ছিলাম স্বল্প আয়ের কৃষক পরিবারের একজন সদস্য। আমার কিছু সহপাঠী ছিল যারা ছিল অতি দরিদ্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। আমার এ বন্ধুরা অনেক সময় সকালে না খেয়েই বিদ্যালয়ে আসতো বা আসতে বাধ্য হত। আমাদের ভগিরথ স্যার প্রায়ই তাদেরকে অল্প করে হলেও পাশের দোকান থেকে বিস্কুট কিনে খাওয়ার জন্য পয়সা দিতেন; এমনকি কখনও খাতা-কলমও কিনে দিতেন। তৎকালীন সরকার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খাওয়ার জন্য গুড়া দুধ ও ছাতু/গম সরবরাহ করত, আজকে যাকে আমরা মিড ডে মিল বলি। গুড়া দুধকে আমরা বলতাম ‘বিলেতি দুধ’ আর ছাতুকে বলতাম ‘ভুট্টার গুড়া’। মাঝে মাঝে বিস্কুটও দেয়া হত আমাদের। এই ভূট্টারগুড়া বা বিস্কুট ছিল কিছু শিক্ষার্থীদের জন্য সারাদিনের খাবার। আমার মনে আছে, সকালের খাবারে আমরা তরল খিচুরি ও জাউ ভাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কেবল দুপুর এবং রাতে জুটতো ডাল-ভাত। অবশ্য বাড়ির আনাচে কানাচে খুঁজে কিছু শাক-সবজিও মেলানো যেত। ভগিরথ স্যার ওই সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখেছিলেন নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী।

আমার ও আমার বন্ধুদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পেরেছেন যে কয়জন শিক্ষক, ভগিরথ স্যার তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাকে শিক্ষাদান ও যথাযথ নির্দেশনা দানের জন্য আমি আমার সকল শিক্ষকের নিকটই ঋণী কিন্তু একটু বেশি ঋণ বোধ করছি ভগিরথ স্যারের কাছে। তাঁর ভালবাসা বা আদর-যত্ন ছাড়া সেই ছোট্ট ছেলে-মেয়েগুলো আজ এতটা বড় হতে পারত না। কারণ প্রতিটি মূহূর্তকেই আমরা ঝরে পরার ক্ষণ মনে করতাম।

আমাদের ভগিরথ স্যারের আর্থিক দিকটি অন্যদের তুলনায় ভালই ছিল এবং নিয়মিতই শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতেন। স্যারের কাছ থেকে আমাদের সহপাঠী আরমান খাবার এবং অন্যান্য সহযোগিতা একটু বেশিই পেত কিন্তু সে দারিদ্র্যের সাথে বেশিদিন লড়াই করতে পারেনি। বিদ্যালয় বাদ দিয়ে ক্ষেতে খামারে যাওয়া শুরু করল। কৃষি কাজ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। এখন সে অনেকগুলো শিশুর দাদা, নানা হয়ে তাদের সাথে দিন কাটাচ্ছে। তাকে দেখলে মনে হয় ৮০-৮৫ বছরের বৃদ্ধ। তবে যারা নিজেদেরকে সংগ্রামের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছিল তারা খুব ভাল অবস্থানে আছে। বলছিনা আরমান খুব খারাপ অবস্থানে আছে, ভাগ্য বলেও একটি কথা আছে।

অবসরের আগ পর্যন্ত স্যার আরো অনেক শিক্ষার্থীদেরই সাহায্য-সহযোগীতা করে গেছেন। প্রয়োজনে তিনি শিক্ষার্থীদের বাড়িতে চাল পৌঁছে দিয়েছেন, এমনও শুনেছি। প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষার সময় অনুদান এর পরিমান বৃদ্ধি পেত। এমন একজন ছাত্রদরদি মহান শিক্ষকের সান্নিধ্যে পড়ালেখার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ নিজে শিক্ষক হয়ে বুজতে পারছি তিনি কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। আজকের সমাজে তার মত উদার শিক্ষকের কতটা প্রয়োজন তা আমরা খুবই টের পাচ্ছি। অবসরের পরেও তিনি সমাজের উন্নয়নের সাথে জড়িত ছিলেন। অন্যদের সাথে নিয়ে একটি কিন্ডার গারটেন স্থাপন করে এর সাথে যুক্ত ছিলেন।

তার এ প্রয়ান দিবসে তাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে। ওপারে ভাল থাকবেন স্যার। আমরা যেন আপনার আদর্শের কিছুটা হলেও আমাদের কাজে কর্মে প্রতিফলন ঘটাতে পারি।

(লেখাটি মহান শিক্ষক ভগিরথ চন্দ্র সেনের স্মরণে তাঁর প্রয়ান দিবস (ডিসেম্বর ৩০) উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন লেখক)

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

ড. রঞ্জিত পোদ্দার

সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকায় সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি একাধারে শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষক, শিক্ষা গবেষক এবং ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার নিয়মিত প্রাবন্ধিক।

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

ভগিরথ চন্দ্র সেন আমার প্রিয় শিক্ষক

প্রকাশ: ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

শিক্ষা দানের মহান ব্রত যারা পালন করেন তাদেরই আমরা শিক্ষক হিসেবে জানি। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা যার সাথে পরিচিত আমরা সবাই এবং আমাদের প্রত্যেকের কাছেই বিশেষভাবে মর্যাদার। এ মহান পেশায় এসে নিজেদের সম্মানিত করার পাশাপাশি সর্বোচ্চটা দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন বা এখনও করছেন, ভবিষ্যতেও আসবেন অনেকে। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যকই আছেন যারা নিজেদের দায়িত্ব পালনের চেয়েও অনেক বড় কিছু করে গেছেন, আজ এমনই একজনের কথা বলব।

ভগিরথ চন্দ্র সেন। ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক; মানুষ গড়ার কারিগর বলা যেতে পারে। নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলাধীন ছয়ধরিয়া গ্রামের এই কৃতি শিক্ষক ১৯৭২ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ভাগদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শেষ করেন রাবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। চাকরিতে যোগ দেয়ার পর থেকে দীর্ঘ্য ৩৫ বছর প্রত্যহ সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতেন। নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন পেশাদারিত্বের শেষ দিন পর্যন্ত যেন তাঁর কোন রকমের ক্লান্তি ছিলনা। ২০০৭ এ এসে অবসর নেয়ার পরেও গ্রামে শিক্ষামূলক ও সামাজিক নানা কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন।

মানুষ গড়ার এ কারিগর গত বছর ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে পরলোক গমণ করেন। তাঁর বিদায়ের সাথে সাথে একজন ভাল শিক্ষক ও ভালো মানুষ কমে গেলো দেশ থেকে। একজন ভালো মানুষ ও একজন ভাল শিক্ষক হিসেবে ছাত্র-ছাত্রী ও চারপাশের মানুষের জন্য অনেক করেছেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩/৭৪ সালের কথা কথা বলছি। তখন আমি প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছিলাম। চারদিকে ছিল দারিদ্র্যের ছড়াছড়ি। আপনারা হয়তো জানেন বা জেনে থাকবেন ১৯৭৪ এর দূর্ভিক্ষের কথা। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ ও পরিবারের উপড় যার নেতিবাচক প্রভাব পরেছিল। আমি ছিলাম স্বল্প আয়ের কৃষক পরিবারের একজন সদস্য। আমার কিছু সহপাঠী ছিল যারা ছিল অতি দরিদ্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। আমার এ বন্ধুরা অনেক সময় সকালে না খেয়েই বিদ্যালয়ে আসতো বা আসতে বাধ্য হত। আমাদের ভগিরথ স্যার প্রায়ই তাদেরকে অল্প করে হলেও পাশের দোকান থেকে বিস্কুট কিনে খাওয়ার জন্য পয়সা দিতেন; এমনকি কখনও খাতা-কলমও কিনে দিতেন। তৎকালীন সরকার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খাওয়ার জন্য গুড়া দুধ ও ছাতু/গম সরবরাহ করত, আজকে যাকে আমরা মিড ডে মিল বলি। গুড়া দুধকে আমরা বলতাম ‘বিলেতি দুধ’ আর ছাতুকে বলতাম ‘ভুট্টার গুড়া’। মাঝে মাঝে বিস্কুটও দেয়া হত আমাদের। এই ভূট্টারগুড়া বা বিস্কুট ছিল কিছু শিক্ষার্থীদের জন্য সারাদিনের খাবার। আমার মনে আছে, সকালের খাবারে আমরা তরল খিচুরি ও জাউ ভাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কেবল দুপুর এবং রাতে জুটতো ডাল-ভাত। অবশ্য বাড়ির আনাচে কানাচে খুঁজে কিছু শাক-সবজিও মেলানো যেত। ভগিরথ স্যার ওই সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখেছিলেন নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী।

আমার ও আমার বন্ধুদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পেরেছেন যে কয়জন শিক্ষক, ভগিরথ স্যার তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাকে শিক্ষাদান ও যথাযথ নির্দেশনা দানের জন্য আমি আমার সকল শিক্ষকের নিকটই ঋণী কিন্তু একটু বেশি ঋণ বোধ করছি ভগিরথ স্যারের কাছে। তাঁর ভালবাসা বা আদর-যত্ন ছাড়া সেই ছোট্ট ছেলে-মেয়েগুলো আজ এতটা বড় হতে পারত না। কারণ প্রতিটি মূহূর্তকেই আমরা ঝরে পরার ক্ষণ মনে করতাম।

আমাদের ভগিরথ স্যারের আর্থিক দিকটি অন্যদের তুলনায় ভালই ছিল এবং নিয়মিতই শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতেন। স্যারের কাছ থেকে আমাদের সহপাঠী আরমান খাবার এবং অন্যান্য সহযোগিতা একটু বেশিই পেত কিন্তু সে দারিদ্র্যের সাথে বেশিদিন লড়াই করতে পারেনি। বিদ্যালয় বাদ দিয়ে ক্ষেতে খামারে যাওয়া শুরু করল। কৃষি কাজ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। এখন সে অনেকগুলো শিশুর দাদা, নানা হয়ে তাদের সাথে দিন কাটাচ্ছে। তাকে দেখলে মনে হয় ৮০-৮৫ বছরের বৃদ্ধ। তবে যারা নিজেদেরকে সংগ্রামের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছিল তারা খুব ভাল অবস্থানে আছে। বলছিনা আরমান খুব খারাপ অবস্থানে আছে, ভাগ্য বলেও একটি কথা আছে।

অবসরের আগ পর্যন্ত স্যার আরো অনেক শিক্ষার্থীদেরই সাহায্য-সহযোগীতা করে গেছেন। প্রয়োজনে তিনি শিক্ষার্থীদের বাড়িতে চাল পৌঁছে দিয়েছেন, এমনও শুনেছি। প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষার সময় অনুদান এর পরিমান বৃদ্ধি পেত। এমন একজন ছাত্রদরদি মহান শিক্ষকের সান্নিধ্যে পড়ালেখার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ নিজে শিক্ষক হয়ে বুজতে পারছি তিনি কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। আজকের সমাজে তার মত উদার শিক্ষকের কতটা প্রয়োজন তা আমরা খুবই টের পাচ্ছি। অবসরের পরেও তিনি সমাজের উন্নয়নের সাথে জড়িত ছিলেন। অন্যদের সাথে নিয়ে একটি কিন্ডার গারটেন স্থাপন করে এর সাথে যুক্ত ছিলেন।

তার এ প্রয়ান দিবসে তাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে। ওপারে ভাল থাকবেন স্যার। আমরা যেন আপনার আদর্শের কিছুটা হলেও আমাদের কাজে কর্মে প্রতিফলন ঘটাতে পারি।

(লেখাটি মহান শিক্ষক ভগিরথ চন্দ্র সেনের স্মরণে তাঁর প্রয়ান দিবস (ডিসেম্বর ৩০) উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন লেখক)