ভিটামিন সি কেন খেতে হয়, এর উপকারিতা কী?
- প্রকাশ: ১০:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
- / ১১৪৩ বার পড়া হয়েছে
ভিটামিন সি কেন খেতে হবে বা ভিটামিন সি’র উপকারিতা কী তা নিয়ে বলার আগে একটি বিষয় বলা প্রয়োজন, আর তা হলো— সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুইটি উপায় আছে, যথা:
- সংক্রমণ ও বিস্তার বন্ধ করা
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করা
করোনাভাইরাসে যারা মারা গেছেন বা যাচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ষাট থেকে সত্তরের উপরে। বয়স্ক মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে। ভিটামিন সি (Vitamin C), ভিটামিন ডি (Vitamin D), জিংক (Zink) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করে।
কীভাবে করে?
আমাদের শরীরে এক ধরনের রক্তকণিকা আছে যার নাম শ্বেত রক্তকণিকা। এই শ্বেত রক্তকণিকায় থাকে নিউট্রোফিল ও মনোসাইট থেকে উৎপন্ন ম্যাক্রোফেইজ। এই ম্যাক্রোফেইজের কাজ হলো শরীরের মৃত কোষ, বহিরাগত বস্তু, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে খেয়ে ফেলে বা ধ্বংস করে শরীরকে বিপদ বা রোগমুক্ত রাখা; এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ফেগোসাইটোসিস।
পর্যাপ্ত ভিটামিন সি খেলে তা এই নিউট্রোফিল ও ম্যাক্রোফেইজেের সাথে সম্পৃক্ত হয় এবং ম্যাক্রোফেইজের ফেগোসাইটিক কর্মকাণ্ডকে (মৃত কোষ, বহিরাগত বস্তু, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস খেয়ে ফেলা বা ধ্বংস করা) বহুগুণ বৃদ্ধি করে।
সুতরাং প্রচুর পরিমাণে কমলা, লেবু, পেয়ারা, ব্রোকলি, পালং শাক, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, আমলকিজাতীয় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। সাথে প্রচুর পানি। ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় বলে মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট সলিউবল ভিটামিনের (ভিটামিন এ, ডি, ই, কে) মতো শংকা তৈরি করে না। সুতরাং ভিটামিন সি গ্রহণের পরিমাণ বেশি হলেও তা পানির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে।