বিজাতীয়দের দখলে দেশের কর্মক্ষেত্র, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে জাতীয় শিক্ষার্থীদের স্থান কোথায়?
- প্রকাশ: ১০:৩৮:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
- / ৬০৯ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব শ্রমবাজার এখন প্রত্যাশার চেয়ে ও ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। উন্নত বিশ্ব জুড়ে যেখানে ২০২০ সালে বেকারত্ব ছিল ভয়াবহ যা ৫% থেকে বেড়ে ৯% হয়েছিলো। বছরের শেষের দিকে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় তরঙ্গ’র সময় অর্থাৎ ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত ১০% এর নিচে নামবে না এমন পূর্বাভাষ দিয়েছিলো ইকোনোমিস্ট। উচ্চ বেকারত্ব অব্যাহত থাকার ধারণা ছিল বোদ্ধা মহলে পেট্রোলের দামের মতো, এটি দ্রুত বাড়তে থাকে কিন্তু কমতে থাকে ধীরে ধীরে।
কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের পঞ্চাশ বছরের তথ্য থেকে বোঝা যায় যে বেকারত্ব বৃদ্ধি হ্রাসের চেয়ে ৫০% দ্রুত ঘটেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি উন্নয়নশীল বাজার অর্থনীতি। আর্থিক খাত অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বাংলাদেশ বিশ্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশে। মানবসম্পদ উন্নয়নের তাগিদ কে প্রতিফলিত করে না দেশের শিক্ষা বাজেট, প্রতিফলিত করে না শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, প্রতিফলিত করে না দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন শিকার প্রচেষ্টা, প্রতিফলিত করে না ম্যান সম্পন্ন শিক্ষা।
ইউনেসকো (UNESCO) জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করার সুপারিশ করেছে। গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স ২০২০ (Global Knowledge Index)-এ বাংলাদেশ ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১১২তম স্থানে যা আবার স্কোর করেছে ৩৫.৯— এর মানে হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সর্বনিম্নে। শিক্ষা যে কোনো আধুনিক সমাজ উন্নয়নের একটি প্রধান চালিকাশক্তি, এবং শ্রমিকদের গুণমান হল অর্থনৈতিক অগ্রগতির কেন্দ্রীয় নির্ধারক ফ্যাক্টর। বাংলাদেশের জন্য তার শিক্ষার মান উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ -একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন শিক্ষার সংস্কার ছাড়া কতটা সম্ভব তা পর্যালোচনা করা দরকার।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, দেশের কর্মক্ষেত্রের বিশাল অংশ বিদেশি নাগরিকরা দখল করে আছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। তিনি এ ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে আমাদের শিক্ষার্থীদের সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। (সূত্র: দৈনিক শিক্ষা, ১৫ অক্টোবর)
চলমান বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বেকারত্ব বৃদ্ধির পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে। সংস্থাটি বলেছে, আগামী বছরেও বিশ্বের প্রায় সব দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমবে। মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। মুদ্রা ব্যবস্থাপনার অস্থিরতায় সুদের হার বেড়ে গিয়ে বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশসহ অনেক দেশে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়া মানে কর্মসংস্থানের গতি হ্রাস পাওয়া। অর্থাৎ বেকারত্ব আরও বেড়ে যাওয়া। এমনিতেই দেশে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি ভালোো নয়। চাকরির বাজার খুবই সীমিত। বিশেষত শিক্ষিত যুবক শ্রেণি কোনোমতে খেয়েপরে বাঁচার মতো একটি কাজ না পেয়ে যখন তীব্র হতাশায় নিমজ্জিত, এমনকি চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার নজিরও আছে, তখন আইএমএফের এ প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ বৈকি। …এ পূর্বাভাস মাথায় রেখে আমাদের এখন থেকেই উচিত সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া, অর্থাৎ দেশে যাতে নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র গড়ে ওঠে সেই পদক্ষেপ নেওয়া।(যুগান্তর সম্পাদকীয়, ০৭ অক্টোবর ২০২২)
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষা এখন সময়ের দাবি। শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতির সংযোগ ঘটাতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গবেষণা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর ওপর জোর দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার (১০ অক্টোবর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি জবাবদিহিতা ও সিদ্ধান্তের জন্য জবাবদিহি করাকে এবং সমস্ত প্রযোজ্য আইন, প্রবিধান এবং মান মেনে চলাকে নিশ্চিত করার অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা থাকার কথা হয়তো বলেছেন যা বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে নেই। স্বচ্ছতা, উন্মুক্ততা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য স্পষ্ট ভূমিকা, দায়িত্ব এবং পদ্ধতি থাকা এবং সততার সাথে কাজ করার পরিস্থিতি পরিবেশ দেশের প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও নেই।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষাকে আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে উচ্চশিক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে অনেক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে অনেক বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে।(বাসস, ১৫ অক্টোবর)
উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দেশের নীতিনির্ধারকদের আগ্রহ উৎসাহ ব্যঞ্জক তবে তা পরিপূর্ণ নয়. দেশের শিক্ষা বাজেট সে দাবির সমর্থন করে না। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মান অর্জনের জন্য যে বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয় বৈশ্বিক স্তরে এর সামঞ্জস্য ও গ্রহণযোগ্যতার। এ বিষয় বাংলাদেশ কোনো নীতি বা কৌশল প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিং তালিকায় বাংলাদেশের ৫ বিশ্ববিদ্যালয়: যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৩’–এ বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আছে এবারের তালিকায়। …ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় আছে ৬০১–৮০০ ক্রমের মধ্যে। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১২০১-১৫০০ ক্রমের মধ্যে। গত বছর এই তালিকায় (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২২) ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। (প্রথম আলো, ১৩ অক্টোবর )
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সামগ্রিক সেরা গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সংখ্যাগতভাবে স্থান দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনে বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসায় সংখ্যাগতভাবে না হোক উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিককরণ’ বা ‘গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড’ এর সিঁড়িতে পা রেখেছে।
বিশ্লেষণ-এর সংকলন টিম গত ১৬ অক্টোবর জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ এর উপর আলোকপাত করে শিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং কৌশল নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে প্রকাশ, ” সুশিক্ষা ও মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানসম্পন্ন শিক্ষক। শিক্ষকের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য একদিকে প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত ও স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা, অন্যদিকে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক-শিক্ষা এবং চাহিদাভিত্তিক যুগোপযোগী পৌনঃপুনিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধন করা। …জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে শিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য: দেশে প্রচলিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা খুবই গতানুগতিক, অসম্পূর্ণ, সনদপত্র সর্বস্ব, তত্ত্বীয় বিদ্যাপ্রধান,ব্যবহারিক শিক্ষা অপূর্ণ, মুখস্থ বিদ্যার ওপর নির্ভরশীল এবং পুরনো পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসারী। তাই আশানুরূপ ফললাভ হচ্ছে না। বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৪টি সরকারি প্রশিক্ষণ কলেজ, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য ৫টি এইচ.এস.টি.টি.আই এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে। ১৪টি সরকারি প্রশিক্ষণ কলেজেই বিএড ডিগ্রি দেওয়া হয়। কয়েকটি প্রশিক্ষণ কলেজে এমএড ডিগ্রিও প্রদান করা হয়। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও দূরশিক্ষণ এর মাধ্যমে প্রতি বছর বিএড ডিগ্রি প্রদান করছে। এছাড়া ১০৬ টি বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। এগুলোতে ভৌত ব্যবস্থা, প্রশিক্ষকের মান এবং প্রদত্ত প্রশিক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে খুবই নিম্নমানের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকেও ব্যাচেলর অব এডুকেশন ও মাস্টার অব এডুকেশন প্রদান করা হয়। …প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৫৩টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এগুলোতে এক বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বর্তমানে যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে তা অপ্রতুল, চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত এবং যুগোপযোগী নয়। তাই প্রশিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের শিক্ষাদানে দক্ষতা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হবে।”
আন্তর্জাতিক শিক্ষা কৌশল তৈরি করে শিক্ষা খাতে বাংলাদেশকে বৈচিত্র্য আনার আশু উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের উদ্ভাবন ক্ষমতা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক বন্ধনকে উন্নীত করা, একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কোথায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট।
বাংলাদেশের শ্রমশক্তির প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রতিভা কতটা এবং বিশ্ব বাজারে সফলভাবে প্রতিযোগিতা করতে, আমাদের শিক্ষার্থীরা কতটা তৈরি তা সহজে অনুমেয়। সময় ক্ষেপন না করে বাংলাদেশের একটি টেকসই আন্তর্জাতিক শিক্ষা কৌশলপত্র তৈরী করা প্রয়োজন যেন শিক্ষা খাতের সম্মিলিত লক্ষ্যের এগিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়া যায়। যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব বাজারে সফলভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে, মধ্যবিত্তের জন্য চাকরি তৈরি হয় এবং সারা দেশে সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধি অর্জন হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের “বি-ইউনিট” এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পুঁথিগত (নন-প্রাকটিক্যাল) বিষয়ে অনার্স বাদ দেওয়া হোক।