শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, না একজন আদর্শ শিক্ষক?
- প্রকাশ: ১০:৫৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
- / ৭৮৯ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষক ডলি খান ও তাঁর শিক্ষার্থীদের একাংশ। [ছবিটি শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। এর সাথে নিবন্ধটির সরাসরি সম্পর্ক নেই।]
কয়েক সপ্তাহ ধরে অনলাইন অফলাইন সংবাদপত্র ছাড়াও পুরো সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গেছে একটি সংবাদে, সেটি হচ্ছে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক কিংবা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা ইত্যাদি পোস্টে। কীসের ওপর ভিত্তি করে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক কিংবা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন করা হয়? একজন শিক্ষক কী করলে বা কী কী করলে এলাকার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হবেন, জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হবেন, বিভাগের মধ্যে এবং জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হবেন। মানদণ্ডগুলো কী কী? সেটি সুন্দরভাবে প্রকাশিত না হলে বিষয়টি মূল্যহীন হয়ে পড়ে। একজন শিক্ষক উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হলে শিক্ষার্থী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি কিংবা সহকর্মীদের কতটা কাজে লাগবে, জাতীয় পর্যায়ে কীভাবে কাজে লাগবে? তার বর্ণনা থাকতে হবে। শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের পেশাগত জীবনে কতটা পরিবর্তন এনেছেন, তার চারদিক কতটা পরিবর্তন করতে পেরেছেন, সেটি জানা প্রয়োজন।
একজন শিক্ষক কি শিক্ষার্থীদের জন্য এমন নতুন কিছু আবিষ্কার করেছেন যা আগে কেউ করেননি, যিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েছেন তিনি কি সে রকম কিছু করেছেন? শিক্ষকতায় ইনোভেশন প্রয়োজন সেখানে তার অবস্থান কী? সেখানে তিনি করেছেন? তিনি কি জীবনে কোনো প্রাইভেট পড়াননি কিংবা পড়ালেও গরিব ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে কোনোদিন অর্থ নেননি, এমনটি কি ঘটেছে যা জাতির সামনে উদাহরণ হিসেবে দেখানো যেতে পারে? একজন শিক্ষককে বিদ্যালয়ের অন্তত ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভালো বলেন, তার পড়ানোর ধরন ভালো, তার আচরণ শিক্ষকসুলভ, তার বুঝানোর ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে আলাদা, তিনি নতুন কোনো বিষয়, নতুনভাবে, আনন্দের মাধ্যমে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেছেন যা অনেকে শিক্ষকের অনুকরন করার মতো। তিনি প্রায় ৭০ শতাংশ অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, অভিভাবকরা তার কথা শুনেন, তার আহ্বানে অভিভাবকরা সমাবেশে যোগ দেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান তার অনেক ক্লাস দেখেছেন, অন্যান্য কাজ দেখেছেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন লিখিতভাবে। একেবারে পিছিয়ে পড়া নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীদের তিনি ওপরে তুলেছেন। তিনি কোনোদিন ছুটি নেননি কিংবা বছরে মাত্র দুই ঈদে/পূজায় ছুটি নিয়েছেন সেটাও সরকারি ছুটি, ব্যক্তিগত কোনো ছুটি নেননি। তার শিক্ষার্থীরা ডিবেট কিংবা অন্য কোনো সহপাঠক্রমিক কাজে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। এগুলোর কয়েকটি বিষয় ঘটেছে একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের ক্ষেত্রে, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তার ক্ষেত্রে? তার কোনো প্রমাণ আছে কী?
অধিকাংশ শিক্ষার্থী, অধিকাংশ অভিভাবক, অধিকাংশ সহকর্মী, প্রতিষ্ঠান প্রধান, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার, কমিটির বৃহদাংশের সদস্যরা কি কোনো বিশেষ বিশেষ গুণাবলীর উল্লেখ করেছেন, যেজন্য একজন শিক্ষক কিংবা একজন শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা/জেলা/বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন? নতুন কোনো পদ্ধতিতে তার বিষয় পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিশেষ কোনো কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন, কিংবা কোনো গবেষণা করেছেন, যার ফলে অনেকের উপকারে এসেছে? এর কোনোটিই যদি না হয়, তাহলে কিসের ওপর ভিত্তি করে একজন শিক্ষক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা ও সম্মান অর্জন করছেন? এ ধরনের তথাকথিত শ্রেষ্ঠত্বে কি কোনো তৃপ্তি পাওয়া যায়? এটি কেন করা হচ্ছে? বিষয়টিকে হাস্যকর করা হচ্ছে না? কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে দেখলাম একজন নামকরা দুর্নীতিবাজ শিক্ষক জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এ কেমন খেলা শুরু হয়েছে? শিক্ষাক্ষেত্রে যেতে যেতে সবই চলে যাচ্ছে শিক্ষাছাড়া। আর কত?
ফেইসবুক পেইজে কুষ্টিয়ার এক শিক্ষকের একটি পোস্ট দেখলাম- তার কাছে একটি মেসেজ এসেছে যে, কোভিডকালীন আপনি শিক্ষায় অনেক অবদান রেখেছেন তাই আমাদের প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি সম্মাননা দেবে। উনি বলেছেন, কই আমি তো তেমন কিছুই করিনি। অনলাইনে ক্লাস নেয়ার কথা, দুই’একটি হয়তো নিয়েছি। তারা বললেন, যা করেছেন, তাই আমাদের কাছে মূল্যবান। তারপর উক্ত শিক্ষক বললেন, তো কী করতে হবে আমাকে। বললেন কিছুই না, শুধু হাজার দশেক টাকা দিতে হবে। আমাদের প্রশাসনিক খরচের জন্য। উক্ত শিক্ষক বলেছেন, টাকা দিয়ে সম্মাননা বা প্রাইজ কোনোটিই আমি নেব না। তারপর তারসঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি। অন্য কাউকে হয়তো ধরবে, কিছু শিক্ষককে এভাবে পেয়েও যাবেন। এভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু শিক্ষকদের দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে বলছেন, কোথা থেকে তাদের বিরল সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে, অনেকে আবার সার্টিফিকেটসহ পোষ্ট দিচ্ছেন। শিক্ষকদের মধ্যে এসব কী হচ্ছে? কতজনের মধ্যে কোনো পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন, কোথায় বিদেশে বা দেশে বক্তব্য রেখেছেন ইত্যাদিসহ পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো শিক্ষকতার সঙ্গে খুব একটা মানায় না।
এনসিটিবির এক সভায় একবার দেখলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত শিক্ষকদের বলছেন, আপনারা মামা-চাচা ধরে এখানে এসে সবাই বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। সবাই এক একজন বিশেষজ্ঞের চেয়ার দখল করেছেন। এখানে অনেকেই প্রফেসর হয়েছেন। জীবনে কোনো গবেষণাপত্র লিখেছেন? নিজ থেকে কোনো একটি রচনা লিখেছেন, এমনকি একটি প্যারাগ্রাফও নিজ থেকে লিখেননি অথচ সবাই প্রফেসর হয়েছেন। সরকারি কলেজে এখন প্রফেসরের ছড়াছড়ি। ক্রাইটেরিয়া কী? তেমন কোনো ক্রাইটেরিয়া নেই। এত বছর চাকরিতে আছেন, ধরা করা একটু বেশি কিংবা অন্যকোনো পরিচয় আছে তাই তিনি প্রফেসর। কী লিখেছেন, কী গবেষণা করেছেন, কি আবিষ্কার করেছেন, কি বিশেষ অবদান রেখেছেন কিংবা আলাদাভাবে, নতুনভাবে কিছু করেছেন এমন কোনো উদাহরণ নেই। তো এ ধরনের প্রফেসর হলে কতটুকু তৃপ্তি পাওয়া যায়? মজার ব্যাপার হলো কোনো অধ্যাপক বা এনসিটিবির কোনো বিশেষজ্ঞ একটি কথাও বলেননি।
এখানে একটি বিষয় যোগ করার আছে সেটি হচ্ছে, সরকারি কলেজের শিক্ষকদের যখন প্রমোশন দেওয়া হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো পাবলিকেশন বা অবদানের মতো কিছু একটা থাকা উচিত, তা নাহলে এর মূল্য বুঝা মুশকিল। যেমন, এখন জিপিএ-৫, লাখ লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাচ্ছে, কার মেধা বা বিষয়জ্ঞান কতটা আছে, বুঝার কোনো সাধ্য নেই। মূল্যায়নও হচ্ছে সেভাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একটু বিষয়জ্ঞান ও মেধা যাচাইয়ের চেষ্টা করা হয়, আর সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০ কিংবা ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হচ্ছে। একজন অধ্যাপক হওয়ার ক্ষেত্রে সে রকম হওয়াটা ঠিক নয়। একজন শিক্ষক অধ্যাপক পদ পদোন্নতি পেলে যেন বুঝা যায়, শিক্ষকতায় তার অবদান কতটুকু, তিনি কোনো কোনো বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন, শিক্ষায় তার কতটা অবদান আছে ইত্যাদি, তিনি অবশ্যই অন্যান্য শিক্ষকদের থেকে আলাদ। একজন অধ্যাপক একটি প্রতিষ্ঠান, এটি যেনতেন খেলা নয়, এটি রাজনীতি নয়। সেই বিষয়টিকে আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
একসময় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা বোর্ডে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ থেকে শুরু করে দশম স্থান, একাদশ, দ্বাদশ এভাবে বিশতম পর্যন্ত তার স্থান অধিকার করত। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর যারা মেধা তালিকায় স্থান অধিকার করত, তাদের ছবি ছাপা হতো, রেডিও, টেলিভিশনে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হতো। বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের অভিভাবদন জানাত। তার আলাদা একটি ইমপ্লিকেশন ছিল, আলাদা গুরুত্ব ছিল, যদিও তারমধ্যেও কিছু কিন্তু ছিল। কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে প্রথম যেদিন ডিউটি অফিসার ছিলাম, সেদিন ডিউটি ক্যাডেট ছিল ফেরদৌস, কুমিল্লা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থান অধিকারী। ওই ধরনের শিক্ষার্থীদের দেখলেই বুঝা যায় তারা আলাদা। ক্যাডেট কলেজে টেস্ট পরীক্ষার ফল দেখার পর শিক্ষকরা মোটামুটি বলে দিতে পারতেন যে, কোন ক্যাডেট বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করবে, কে দ্বিতীয় হবে এবং এভাবে মোটামুটি ধারণা বাস্তবেও ফলে যেত। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের বড় উৎসাহের বিষয় ছিল। কিন্তু সেটিকে আমরা বাদ দিয়ে শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও কি চালু করেছি?
তখনকার বোর্ডে যারা পজিশন পেত, তাদের অবস্থা বর্তমান যুগের জিপিএ-৫-এর মতো নয়। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের সমস্যার কারণে এই বর্তমানের এ অবস্থা। এর মধ্যে আবার শুরু হয়েছে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ, বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক! কী দিয়ে শ্রেষ্ঠ, কীভাবে শ্রেষ্ঠ, কে বা কারা নির্বাচন করেছেন। ব্যাপারটি যাতে হাস্যকর না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে সবাইকে। জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়া, এটি কি চাট্টিখানি কথা? শ্রেষ্ঠ মানে কি? তিনি বিষয়ে ওই জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো, আচরণে সবচেয়ে ভালো, মানবিকতায় সবচেয়ে ওপরে, সামাজিকতায় সবার ওপরে, নতুন কিছু করায় সবার ওপরে, কালচারাল দিক দিয়ে সবার ওপরে। এগুলো কোনো বাছবিচার নেই, বলে দিলাম উনি জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক! বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিন্তা করতে হবে।
কোনো শিক্ষকের অবদানের স্বীকৃতি এমনভাবে দিতে হবে, যাতে তিনি বা তারা তৃপ্তি পান, তারা যেন বুঝেন এটি তাদের প্রকৃতভাবেই অর্জিত। এটি অন্য কোনো পন্থায় আসেনি এবং জেলায় প্রথম, বিভাগে প্রথম কিংবা জাতীয় পর্যায়ে প্রথম বা দ্বিতীয় বললে মানুষের মনে যাতে প্রশ্ন না জাগে কীভাবে, কেন প্রথম, শিক্ষায় ওনার কী অবদান, শ্রেণিকক্ষে, প্রতিষ্ঠানে তার কী অবদান রয়েছে? সেগুলো জাতীর সামনে পরিষ্কার হতে হবে। তাহলে সবাই উৎসাহিত বোধ করবেন। আমরা নুরুল ইসলাম স্যাারের কথা অনেকেই শুনেছি, অনেকেই সুন্দরগঞ্জে তার পরিবর্তন করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যা একটি কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনীয় দেখে এসেছি। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে সরকারি নিয়ম কানুনের গ্যারাকলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু করা যায় না, সেই পাহাড়সম অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন নূরুল ইসলাম স্যার। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর কী করেন আমি দেখেছি, তার চেয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেক বেশি কিছু করেছেন। দেশ-বিদেশ থেকে তার বিদ্যালয় দেখতে আসেন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ। এ ধরনের শিক্ষকের কথা আলাদা, তাদের কিন্তু জাতীয় পুরুস্খার দেয়া হয় না, তাদের কথা প্রচারও করা হয় না। এ ধরনের শিক্ষক, এ ধরনের বিদ্যালয়ের প্রচার দরকার, প্রসার দরকার যাতে শিক্ষকরা উৎসাহিত হতে পারেন। এসবের দিকে আমরা খেয়াল না করে কিসের ওপর ভিত্তি করে উপজেলা, জেলা, বিভাগ এমনকি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন করছি, আর সেই খবরে সোশ্যাল মিডিয়া ভাসিয়ে দিচ্ছি। শিক্ষায় এর প্রকৃত ইমপ্লিকেশন কী? এতে কি কোনো শিক্ষক উৎসাহিত হচ্ছেন নতুন কিছু জানার জন্য, নতুন কিছু করার জন্য, শিক্ষায় নতুনভাবে অবদানের জন্য? উক্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে কি কেউ অনুসরণ করার কথা বলছেন? তাহলে কীভাবে একজন শিক্ষক শ্রেষ্ঠ? আমরা বরং বলতে পারি- ‘অমুক শিক্ষক’ কিংবা ‘প্রধান শিক্ষক’ ‘অধ্যক্ষ’ শিক্ষা কর্মকর্তা একজন আদর্শ শিক্ষক, আদর্শ কর্মকর্তা।