রিভিউ কী? রিভিউ বা পর্যালোচনা করার নিয়ম ও কাঠামো
- প্রকাশ: ০৭:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ১৩৯২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা শব্দ ‘পর্যালোচনা’র ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো review (রিভিউ)। আমরা যদি এই ইংরেজি শব্দের ওপর চোখ রাখি তাহলে এর দুইটি অংশ দেখতে পাই, যথা- re এবং view। এখানে re-এর অর্থ হলো- আবার কিংবা পুনরায় এবং view-এর অর্থ হলো দেখা বা দর্শন করা। তবে যখন এই re এবং view মিলে ‘রিভিউ’ পদটি গঠন করে তখন এর অর্থ আর আবার দেখা, পুনরায় দেখা বা পুনরায় দর্শন করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে ক্ষুদ্রার্থে না থেকে বৃহদার্থ প্রদান করে। যেমন- বই পর্যালোচনা, চলচ্চিত্র পর্যালোচনা ইত্যাদি।
রিভিউ বা পর্যালোচনা কী? কীভাবে একটি আদর্শ রিভিউ করতে হয় এবং এর কাঠামো কেমন?
পর্যালোচনা বা রিভিউ কী (What is review)?
বাংলা শব্দ পর্যালোচনা ও ইংরেজি শব্দ রিভিউয়ের বেশ কয়েকটি প্রচলিত অর্থ হলো- পুনর্বিবেচনা, পুনঃসমীক্ষা, পুনরায় পরীক্ষা করা, অনুসন্ধান, যত্নের সঙ্গে পরীক্ষা ইত্যাদি। রিভিউ এর আসল অর্থ হলো কোনো সৃজনশীল কর্মের ব্যবচ্ছেদ। যেমন, একটি উপন্যাস পড়ে কারো সেই উপন্যাস সম্পর্কে অনুভূতি কেমন, উপন্যাসটির উপজীব্য কী, লেখক কোন বিষয়ের ওপর লিখেছেন, জনরা (ধরন) কী, লেখকের দর্শন কী, লেখক যা তুলে ধরতে চেয়েছেন তা সঠিকভাবে পেরেছেন কিনা, সার্থকতা ও ব্যর্থতা, লেখকের শব্দের খেলা ও বাচনভঙ্গি, উপন্যাসের বিভিন্ন অংশে যৌক্তিকতার বিচার করা ইত্যাদি সহ সর্বোপরি সৃজনশীল কর্মটি কেমন হয়েছে তার অল্পবিস্তর ব্যাখ্যাই হলো রিভিউ।
বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে পর্যালোচনা হলো সর্বোতভাবে আলোচনা এবং সম্যক অনুশীলন। ব্যবহারগত দিক বিবেচনায় পর্যালোচনা বা রিভিউয়ের নানান সংজ্ঞা রয়েছে। ক্ষেত্র বিবেচনায় এখানে কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো-
ক্যামব্রিজ ডিকশনারি: Review is a report in a newspaper, magazine, or programme that gives an opinion about a new book, film, etc. (পর্যালোচনা হলো সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন কিংবা অনুষ্ঠানে প্রকাশিত এমন এক ধরনের প্রতিবেদন যা কোনো নতুন বই, চলচ্চিত্র ইত্যাদি সম্পর্কে মতামত প্রদান করে।)
ডিকশনারি ডট কম: Review is a critical article or report, as in a periodical, on a book, play, recital, or the like evaluation. (পর্যালোচনা হলো সাময়িকীর অন্তর্ভুক্ত এক প্রকারের সমালোচনামূলক নিবন্ধ কিংবা প্রতিবেদন যা রচিত হয় কোনো বই, নাটক, আবৃত্তির ওপর, একে বলা হয় মূল্যায়ন।)
আমরা বলতে পারি, রিভিউ বা পর্যালোচনা হলো তা যা কোনো বই, চলচ্চিত্র বা অন্য যেকোনো সৃজনশীল কর্মের মূল্যায়ন যা করা হয়ে থাকে গঠনমূলক সমালোচনার নীতি অনুসরণ করে।
অল্প কথায় পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা
যারা সাহিত্যের শিক্ষার্থী, তাদের বিভিন্ন সময়ে উপন্যাস ও বই পর্যালোচনা করার কাজ অর্পন করা হয় যাকে আমরা সচারচর অ্যাসাইনমেন্ট বলে থাকি। আবার যারা বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে সাহিত্য বিভাগে কাজ করেন তাদেরকে প্রায়ই বইয়ের ওপর পর্যালোচনা করতে বলা হয়ে থাকে। চলচ্চিত্র নিয়েও পর্যালোচনার চর্চা কম হয় না। বিশ্বের বাঘা বাঘা টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে প্রায় প্রতিদিনই চলচ্চিত্রের (সিনেমা) পর্যালোচনা প্রকাশ পায়, আর এই ইন্টারনেটের যুগে পর্যালোচনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকাল যখনই কোনো নতুন বই প্রকাশ হয় ও চলচ্চিত্র/সিনেমা মুক্তি পায় তখন সেই বই অথবা চলচ্চিত্র যতই হাতের নাগালে থাকুক না কেন পাঠক এবং দর্শক তা উপভগ করার পূর্বে খোঁজ করে দেখেন তার ওপর কোনো পর্যালোচনা তখন পর্যন্তও প্রকাশ পেয়েছে কি না।
বই পর্যালোচনাকে আমরা সচারচর বলে থাকি বুক রিভিউ আর চলচ্চিত্র পর্যালোচনাকে বলে থাকি মুভি রিভিউ বা ফিল্ম রিভিউ। ভালো মানের পর্যালোচনা শুধু পাঠক বা অডিয়েন্সের ওই নির্দিষ্ট বই কিংবা চলচ্চিত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই সহায়তা করে না, ওই বই ও চলচ্চিত্র বা সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সবল ও দুর্বল দিক তুলে ধরে তাঁদের পেশাদারিত্বের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারে।
রিভিউ বা পর্যালোচনা কেমন হবে?
সংজ্ঞা থেকে বোঝা যায়, পর্যালোচনা হতে হবে বুদ্ধিদীপ্ত ও গঠনমূলক সমালোচনার নীতি অনুসরণ করে। পর্যালোচনা কখনো এক তরফা হয় না। অর্থাৎ শুধুই প্রশংসা করলাম, শুধু নেতিবাচক কথা বললাম তেমন নয়। নিরপক্ষেতা বজায় রাখতে না পারলে কখনোই আদর্শ পর্যালোচনা করা সম্ভব নয়। একজন পর্যালোচক কখনোই কোনো কিছুর অন্যায় প্রশংসা করবেন না কিংবা অন্যায়ভাবে তিরস্কার-গীবতও করবেন না।
ক্ষেত্র অনুসারে পর্যালোচনা লিখিত এবং মৌখিক, দুই ভাবেই হতে পারে। লিখিত হোক কিংবা মৌখিক হোক, এর দৈর্ঘ্য খুব বেশি হওয়া উচিৎ নয়। তবে এর নির্দিষ্ট কোনো মাপ নেই। রিভিউ যা করা হবে তার দৌর্ঘ্য, গভীরতা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে একটি আদর্শ রিভিউয়ের পরিধি।
আজকাল অনেককেই পর্যালোচনা গিয়ে সারাংশ লিখে ফেলতে দেখা যায় যাকে পর্যালোচনা বলা যায় না। কেউ যখন কোনো কিছু নিয়ে পর্যালোচনা করতে চান তখন তাঁর মনে প্রাণে বিশ্বাস করা উচিৎ তিনি একজন উঁচু শ্রেণির সমালোচক বা পর্যালোচক।
রিভিউ বা পর্যালোচনার কাঠামো (কীভাবে রিভিউ লিখতে হয়?)
নতুন যারা রিভিউ করতে চান তাঁরা অনেকেই রিভিউয়ের ফরম্যাট নিয়ে চিন্তায় থাকেন। কিন্তু আমি তাঁদের বলতে চাই- রিভিউয়ের জন্য বিশেষ কোনো ফরম্যাট নেই, রিভিউয়ার যেমন ইচ্ছে তেমন করেই নিজের কাজটি করতে পারেন তবে যা বলতে চান বা লিখতে চান তা যেন পাঠক ও আপনার যারা অডিয়েন্স রয়েছেন তাঁরা যেন সহজে বুঝতে পারেন। হতে পারে যে বই বা সিনেমার পর্যালোচনা করা হবে তা গুরুগম্ভীর, তাই বলে পর্যালোচকের গুরুগম্ভীর হওয়া উচিৎ না, পর্যালোচনায় শব্দ ও বাক্যের ব্যবহার হতে হবে সরল।
রিভিউ পদটির বেশ কিছু অর্থ রয়েছে যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম তবে ঘুরেফিরে একই রকম। রিভিউ মানে হলো কোনো বিশেষ কিছুর মূল্যায়ন ও মতামত প্রদান। মতামত জনেজনে ভিন্ন হয়। একজন একটি জিনিস যেভাবে দেখবেন, ওই একই জিনিস অন্যজন ভিন্নভাবে দেখতেই পারেন।
যদিও আমি বলেছি, পর্যালোচনার জন্য বিশেষ কোনো কাঠামো অথবা ফরম্যাট নেই, তবুও আমি এখানে কাঠামোর উল্লেখ করছি যাতে করে সম্মানিত পাঠক পর্যালোচনা সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে পারেন।
নিচের কাঠামোটি একটি আদর্শ বুক রিভিউ বা বই পর্যালোচনার কাঠামো যা বেশিরভাগ পর্যালোচকই অনুসরণ করেন তবে আমি বলে দিতে চাই যে, আমি মুক্তশৈলীতে (ফ্রি-স্টাইলে) পর্যালোচনা রচনা করতেই পছন্দ করি যাতে নিজের ইচ্ছে মতো বিভন্ন প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ টেনে আনতে পারি।
বইয়ের পর্যালোচনায় সাধারণত চারটি অংশ থাকে, যথা- সূচনা/ভূমিকা, বর্ণনা, মূল্যায়ন এবং উপসংহার।
১. সূচনা/ভূমিকা
- বইয়ের শিরোনাম ও প্রচ্ছদ নিয়ে আলোচনা
- ধরন
- লেখকের নাম ও পরিচয়
- প্রকাশকের নাম, প্রকাশের তারিখ, আইএসবিএন নম্বর, মুদ্রিত মূল্য উল্লেখ করা যেতে পারে তবে গুরুত্বপুর্ণ নয়
২. বর্ণনা
- অল্প কথায় কিছু বর্ণনা করা যাতে করে পাঠক ওই বইটি সম্পর্কে ধারনা পেতে পারে
- প্রধান প্রধান বিষয়গুলো উল্লেখ করা
- এই পর্যায়ে পর্যালোচক নিজের মন্তব্য প্রদানে বিরত থাকতে পারলেই ভালো হয়
- স্পয়লার দেওয়া উচিৎ নয় যদি সে বই বাজারে একদমই নতুন ও নতুন বলে বিবেচিত হয়
৩. মূল্যায়ন
- বইয়ের মধ্য থেকে বেশ কিছু উক্তি উল্লেখ করা যেতে পারে
- সংক্ষিপ্ত নিজের ভাষায় সারাংশ উপস্থাপন
- উল্লেখিত বিষয়ের ওপর নিজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ
- চরিত্র ও বাচনভঙ্গির ওপর আলোচনা করা যেতে পারে
- মতামত দিতে গিয়ে অনুচ্ছেদ প্রণয়নে খেয়াল রাখা উচিৎ যাতে করে প্রতিটি ভিন্ন উক্তি, চরিত্র ও অন্য যেকোনো কিছু স্বাধীন অনুচ্ছেদে অবস্থা করে।
৪. উপসংহার
- উপরে উল্লেখিত উক্তি, চরিত্র, ব্যাখ্যা ও অন্য যা কিছু রয়েছে তার সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন
- এখানে চুড়ান্ত মতামত প্রদান করা উচিৎ
- সুন্দর একটি সমাপ্তিবাক্যের দ্বারা পর্যালোচনা শেষ করা
- রেটিং প্রদান (ঐচ্ছিক, তবে বহুল ব্যবহৃত এবং ব্যক্তগতভাবে আমার পছন্দ নয়)
পর্যালোচনার সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি
পর্যালোচক একটি বিশেষ কাঠামো (যেমন- উপরের চার (৪) অংশের কাঠামো) অনুসরণ করে পর্যালোচনা করবেন নাকি মুক্তশৈলীতে পর্যালোচনা করবেন সেটি একান্তই পর্যালোচকের ইচ্ছের ব্যাপার। তবে পর্যালোচনার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতেই হবে। বিষয়গুলো হলো-
- যা কিছুর রিভিউ বা পর্যালোচনা করা হবে তার নাম, ধরন, প্লট, দৈর্ঘ্য, গভীরতা ইত্যাদি সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে। তবে (মুক্তশৈলীতে) এটি শুরুতে উল্লেখ করতে হবে এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম মেনে চলা ঠিক নয়, পর্যালোচক তাঁর মেধাকে কাজে লাগিয়ে ধীরেধীরে এগুলো পর্যাক্রমে বর্ণনা করে যেতে পারেন।
- মুক্তশৈলীতে বা ফ্রি-স্টাইলে রিভিউয়ের শুরু কেমন হবে তা নির্ভর করে রিভিউয়ারের ওপর। শুরু যেভাবেই হোক সেটি যেন আকর্ষণীয় হয়, ইতিবাচক হলে ভালো। তবে এমন একটি বাক্য দিয়ে শুরু হোক, যা পাঠক পড়ামাত্র লুফে নেবার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ বই রিভিউয়ের অন্যতম একটি দিক হলো, লেখক ও পাঠকের মধ্যে পর্যালোক কর্তৃক একটি সম্পর্ক গড়ে দেওয়া।
- ধরন (genre) উল্লেখ করা করা বাধ্যতামূলক বলে মনে করি।
- গল্প, উপন্যাস, সিনেমার ক্ষেত্রে কয়েকটি মূল চরিত্র বা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নিয়ে কিছু উল্লেখ করতে হবে যা হতে হবে। কোন চরিত্রটি কেমন ও কীভাবে সাজানো হয়েছে, চরিত্রের ভূমিকা কী, চরিত্রের যৌক্তিকতা কতটুকু, চরিত্রের স্বার্থকতা ও ব্যার্থতা ইত্যাদি উল্লেখ করা জরুরি। তবে প্রবন্ধে কিংবা ডকুমেন্টারির ক্ষেত্রে ওখানে উল্লেখিত বিশেষ কিছু টার্ম, থিওরি কি-ওয়ার্ড নিয়ে বলা যায় যা ছাড়া বইটি মূল্যহীন।
- কিছু উক্তি/সংলাপ উল্লেখ করা যেতে পারে ব্যাখ্যাসহকারে।
- উপজীব্যের সাথে বই বা সিনেমার কতটুকু সম্পর্ক আছে বা নেই তা উল্লেখ করা যেতে পারে। লেখক তাঁর গ্রন্থে বা পরিচালক তাঁর সিনেমা বা মুভিতে বিশেষ কোনো স্বীকৃত কনসেপ্ট বা ধারণার উল্লেখ করলে সেটি সার্থকভাবে চরিত্রায়নে প্রতিফলিত কিনা তাও খতিয়ে দেখা জরুরি।
- উত্তম পুরুষ, নাম পুরুষ নাকি সর্বজ্ঞ লিখনরীতিতে (ওমনিসিয়েন্ট রাইটার) লেখক বইটি লিখেছেন তাও বলা যেতে পারে অর্থাৎ বইয়ের কথকের সম্পর্কে একটু ধারণা দেওয়া যেতে পারে। এটি অনেক সময় সিনেমা বা ফিল্ম রিভিউয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
- গ্রন্থে ইলাস্ট্রেশন বা চিত্রের ব্যবহার থাকলে অবশ্যই তার যৌক্তিকতা ও গুণাগুণ বিচার করতে হবে। আর সিনেমার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রাফিক্সের ব্যবহার, মধ্যে মেকিং, এডিটিং, সাউন্ড কোয়ালিটি, গান, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর গুরুত্বের সাথে আলোচনা করতে হবে।
- অনেককেই দেখা যায় লেখকের পূর্বের কোনো বই বা পরিচালকের পূর্ব কোনো সিনেমার সাথে একটু তুলনা করতে। তবে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় তবে পর্যালোচক চাইলে এরকম তুলনা করতেই পারেন তবে কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে পর্যালচনা করলে এটি এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। পাশাপাশি পর্যালোচকের যদি মনে হয় তিনি যেটির রিভিউ করছেন সেটি বিশেষ কিছু থেকে প্রভাবিত বা অনুপ্রাণিত, তাহলেও তাও উল্লেখ করতে পারেন।
- রিভিউ হতে হবে ‘ভালো-মন্দ-ভালো’ অর্থাৎ স্যান্ডউইচ ফিডব্যাকনীতি অনুসরণ করে।
- রিভিউ যেভাবেই করা হোক না কেন, উপস্থাপনের ভাষা হতে হবে ইতিবাচক এবং কোনো ভাবেই আপত্তি কর হওয়া যাবে না।
- চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে রিভিউয়ের চূড়ান্ত রুপ দেওয়ার পূর্বে মধ্য বিরতি দিয়ে তা বেশ কয়েক বার পড়ে নেওয়া ও প্রয়োজন মতো একে আরো সম্পাদনার মাধ্যমে সৌন্দর্য বাড়িয়ে নেওয়া উচিৎ।
বই অথবা সিনেমার পর্যালোচনা করার মানে তার সারাংশ লেখা কিংবা বলা নয়; বরং বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচকের চোখ থেকে দেখে তা বর্ণনা করা। উপরে যা কিছু উল্লেখ করা হয়েছে সেসব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো যিনি কোনো কিছুর রিভিউ করবেন তিনি মনে মনে নিজেকে একজন তুখোড় সমালোচক ভাবতে না পারলে রিভিউ কখনোই ভালো হবে না। সর্বশেষ কথা হলো বই বা সিনেমার পর্যালোচনা করার আগে পর্যালোচককে একজন ভালো পাঠক বা দর্শক হতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: চলচ্চিত্র রিভিউ কাঠামো নিয়ে পরবর্তিতে আলোচনা করা হবে
পড়ে ভালোলেগেছ। আশা করছি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত লেখা পাবো। ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগলো । লেখক সম্পর্কে পড়ে।