বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও রূপপুর প্রকল্প নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- প্রকাশ: ০১:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
- / ২৫১৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও রূপপুর প্রকল্প নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- বিশ্বে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও উৎপাদন
- বাংলাদেশে পারমাণবিক প্রযুক্তি
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার
- বাংলাদেশ যে কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ জগতে প্রবেশ করে
- বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ
- পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
- ভিশন ২০২১-এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ
- পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার চুক্তি
বিশ্বে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও উৎপাদন
বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তির শুরুটা হয় ৭২ বছর সময়কাল আগে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উতপাদন করে। যুক্তরাষ্ট্রের ল্যান্ডলকড টেনেসি অঙ্গরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত অ্যানডারসন ও রোয়েন কাউন্টির ওক রিজ শহরে অবস্থিত এক্স-১০ গ্রাফাইট রিয়্যাক্টরে (X-10 Graphite Reactor) ১৯৪৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে সফলভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এরপরে দ্বিতিয়বারের মতো বড়ো পরিসরে ইডাহোর অ্যারকো শহরে অবস্থিত এক্সপেরিমেন্টাল ব্রিডার রিয়াক্টর-১ (EBR-I) এ এক্সপেরিমেন্ট করা হয় ১৯৫১ সালের ডিসেম্বরের ২০ তারিখ।
যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তি তথা নিউক্লিয়ার পাওয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে এবং বাল্বের মাধ্যমে সে শক্তি ব্যবহার করে আলোও জ্বালিয়ে দেখেছে; কিন্তু এই প্রযুক্তিকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি শুরু হয় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারা। জুন ২৭, ১৯৫৪, প্রথমবারের মতো রাশিয়ার মস্কো শহরে অবস্থিত অবনিন্সক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট (Obninsk Nuclear Power Plant) এ পাওয়ার গ্রিডের জন্য বিদ্যুৎ উতপাদন শুরু হয়, এটাকেই এখন প্রথম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে পারমাণবিক প্রযুক্তি
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’র তথ্য মতে বর্তমানে ৩০ টি দেশে পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে যেখানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া থেকে ভারত ও পাকিস্তানের নামও। দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে ২০১৭ সালের নভেম্বরে রূপপুরে রুপপুর-১ নামে প্রথম ইউনিট নিউক্লিয়ার পাওয়ার রিয়্যাক্টর শুরু হয় যা ২০২৩ সালের দিকে কমিশনড হওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ এখানেই শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার
বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহারে আর্থিক, কারিগরি, পরিবেশগত ইত্যাদি সুবিধাদির বিবেচনায় আজ এ প্রযুক্তি ব্যবহারের গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনবিদিত। বর্তমান বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ এবং স্বল্প জ্বালানি সম্পদের অধিকারী উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য নিউক্লিয়ার পাওয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য গৃহীত কর্মসূচীকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের একটি অন্যতম সেরা বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করেছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক প্রযুক্তির (Nuclear Technology) নির্ভরতার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে যেসব কারণ রয়েছে, তা হলো-
- পারমাণবিক প্রযুক্তি (Nuclear Power) ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলো সর্বাধুনিক ও নিরাপদ প্রযুক্তি এবং টেঁকসই উৎসের নিশ্চয়তা প্রদানকারী;
- আমদানিতে নির্ভরতা হ্রাস করে;
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যত রকম প্রযুক্তি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে পারমাণবিক প্রযুক্তি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে নির্ভরযোগ্য ও উন্নততর করে;
- ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার সাপ্লাই মার্কেটে নিয়মিতভাবে তেল ও গ্যাস সাপ্লাইয়ের অনিশ্চয়তা এবং জ্বালানি শক্তিতে উন্নত বলে পরিচিত দেশসমুহে দিনেদিনে এসবের মজুদ দ্রুত হৃাস পেতে থাকা;
- যেহেতু তেল ও গ্যাসের মজুদ কমছে সেহেতু আর্ন্তজাতিক বাজারে তেল ও গ্যাসের মূল্য সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা,
- গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse Gas) নিঃসরণ হ্রাসের মাধ্যমে বৈশ্বিক উঞ্চতা (Global Warming) বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান;
- যেসব দেশ জ্বালানি রফতানি করে আসছে সেসব দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ যে কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ জগতে প্রবেশ করে
যদি আমরা কোনো দেশের আর্থসামাজিক (socio-economic) তথা দেশের নাগরিকের উন্নত জীবনযাত্রার প্রসঙ্গ টেনে আনি তাহলে দেখতে পাব সেখানের যা উন্নয়ন হয়েছে তার পিছনে রয়েছে বিদ্যুৎ, এ উন্নয়নে এ বিদ্যুতের বিকল্প এখন পর্যন্ত নেই। করি তাহলে আমরা সেখানে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ওই একই কথা প্রযোজ্য, অর্থাৎ উন্নয়ন অব্যহত রাখতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত যার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে তা হলো প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)। এই প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভর করে আছে দেশের জ্বালানি খাতও। অথচ দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার মজুদ আমাদের দেশে অত্যন্ত সীমিত; আবার যা কিছু আছে ঠিক তা উত্তোলনের সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করতে পারেনি। যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে আমদানি নির্ভর তরল পেট্রোলিয়ামের (liquid petroleum) উপর বহুলাংশে নির্ভর করতে হয়।
যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেহেতু পেট্রোক্যামিক্যালস (petrochemicals) জাতীয় শিল্পদ্রব্য তৈরিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, কৃষির জন্য সার উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে এবং এলপি গ্যাস (LPG- Liquid Petrolium Gas) আমদানি করতে হচ্ছে। আর এই আমদানিকৃত তেল ও কয়লায় নেমে যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মূদ্রা, যা রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের। কারণ এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। দেশের কৃষিখাতকে জাগিয়ে তোলার জন্য এবং নতুন নতুন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন।
এসব বিষয় বিবেচনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উপযুক্ত জ্বালানি-মিশ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবেই আমাদের এ বাংলাদেশ পারমাণবিক প্রযুক্তির জগতে প্রবেশ করেছে। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দিকে দ্রুতগতিতে হচ্ছে সব কিছু। আমরা বলতেই পারি, সরকারের এই পদক্ষেপ বা চেষ্টা বর্তমান সরকারের উত্তম প্রয়াসগুলোর অন্যতম।
বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ
১৯৬১ সালে আমাদের এ বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং সেই লক্ষ্যে পাবনা জেলার রূপপুরে প্রকল্প এলাকার জন্য পদ্মা নদীর কাছাকাছি প্রায় ২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করে ভূমি উন্নয়ন, অফিস, রেষ্ট হাউজ এবং বৈদ্যুতিক সাব-ষ্টেশন নির্মাণসহ ৭২টি আবাসিক ইউনিটের নির্মাণ কাজও আংশিকভাবে সম্পন্ন করা হয়। এরপরে প্রকল্প বাস্তবায়নের অনেকগুলো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর তৎকালীন সরকার (পাকিস্তান আমল) কর্তৃক ১৯৬৩-৬৯ সালে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। অবশ্য পাকিস্তান সরকার অনিবার্য কারণ দেখিয়ে এতদ্সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়। স্বাধীনতার পর, ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
১৯৭৭-১৯৮৬ সালে এম. এস. সোপারটম কর্তৃক সম্ভাবতা যাচাই (Figibility Study) সম্পন্ন হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (The Executive Committee of the National Economic Council বা ECNEC) কর্তৃক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (১২৫ মেগাওয়াট) অনুমোদন এবং যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জার্মানী থেকে প্রস্তাব করা হয়। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে জার্মানী ও সুইজারল্যান্ডের উদ্যোগে আবারো সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হয়। দ্বিতীবারের এই ফিজিবিলিটি যাচাই ১৯৯০ সালের শেষের দিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (Nuclear Power Plant) নির্মাণের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ড শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে সাহায্য করে। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে কর্মকাণ্ড শুরু হলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকা বা সীমাবদ্ধতার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৯৬ সালে সরকার পারমাণবিক প্রযুক্তির দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং জাতীয় জ্বালানি নীতি, ১৯৯৬-এ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয়। ১৬ অক্টোবর, ১৯৯৭ তারিখে তৎকালীন সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক অ্যানার্জি এজেন্সি, সংক্ষেপে আইএইএ (International Atomic Energy Agency – IAEA) এর সুপারিশমালার আলোকে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রাক-বাস্তবায়ন পর্যায়ের কার্যাবলী বিশেষ করে সাইট নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রণয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।
ভিশন ২০২১-এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ
২০০০ সালে সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কর্ম পরিকল্পনা (Bangladesh Nuclear Power Action Plan) অনুমোদিত হয় যার পেছনে শ্রম দিয়েছিলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া, তিনি ছিলেন সে সময়ের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ‘ভিশন-২০২১’ ঘোষণা করে এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে ২০২১ সালের মধ্যে ২০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিতকরণকল্পে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার চুক্তি
- ১৩ মে, ২০০৯, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্বাক্ষর;
- ২১ মে, ২০১০, ‘Framework Agreement’ স্বাক্ষর
- ২ নভেম্বর, ২০১১, তারিখে রূপপুরে দুই ইউনিট বিশিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তি করা হয় যার প্রতি ইউনিটের আনুমানিক ক্ষমতা ধরা হয় ১০০০ মেগাওয়াট।
- ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ের নির্মাণ কার্যাদি সম্পাদনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের State Export Credit সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বর্ণিত চুক্তি অনুসারে Atomenergomash (AEM) রূপপুর প্রকল্পের জন্য উপযোগি সকল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য- সম্বলিত ভিভিইআর পরিবারের সর্বাধুনিক বিদ্যুৎ চুল্লি সরবরাহ করবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ব এই প্রতিষ্ঠান রূপপুর প্রকল্প এলাকায় বিভিন্ন কার্য সম্পাদনে নিযুক্ত রয়েছে।
আশা করা হয়, বহুলাকাঙ্খিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হলে এখান থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল বাংলাদেশ নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে আরও সচল ও মজবুত করবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এটি নিয়ে পরিবেশ সংক্রান্ত বলার মতো কোনো ঝুঁকি নেই।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কী, কীভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় বা এ সংক্রান্ত কোনো কিছুই আমি লিখিনি কারণ আমি এসব বিষয়ে ভালো জানি না। যদিও ইন্টারনেট ঘেটে অনেক কিছুই লেখার সুযোগ ছিল তবুও মন সায় দিচ্ছিল না। তবে এ বিষয়ের একটি সমাধান যুক্ত করা হলো এখানে। আপনি যদি এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট সম্পর্কে কিছুই না জানেন তাহলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে নিচের পিডিএফ টি, চাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এটা বাংলাদেশ সরকারের সম্পত্তি।