০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

গবেষণা নকশা প্রণয়নের ধাপ কী কী?

জারিন তাসনিম
  • প্রকাশ: ১১:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১১৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

সুষ্ঠুভাবে গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষণা নকশার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

গবেষণা নকশা (Research Design) হলো কোনো গবেষণা কর্ম পরিচালনার পূর্বে ওই গবেষণার একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা। গবেষণা নকশাকে গবেষণার রূপরেখা বা  নীল নকশা (Blue Print) বলা হয়। গবেষণা নকশা প্রকৃতপক্ষে একটি গবেষণা কর্মপরিকল্পনার দলিল। পরিকল্পনা প্রণয়নের এই কাজ মূলত মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও বিমূর্ত প্রকৃতির। অপরদিকে, গবেষণা নকশা প্রণয়নের কাজটি মূর্ত অর্থাৎ, একে দলিল আকারে প্রণয়ন করে সংরক্ষণ ও উপস্থাপন করা যায়। গবেষণা নকশা প্রণয়ন করার জন্য বেশ কিছু ধাপ মেনে চলা হয়।

নিচে গবেষণা নকশা প্রণয়নের ধাপ উল্লেখ করা হলো-

১. গবেষণার শিরোনাম (Research Title)

গবেষণা সমস্যা ও বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে শুরুতেই গবেষণার একটি শিরোনাম দিতে হবে। গবেষণার শিরোনাম হবে সহজ ও সরল। গবেষণার শিরোনাম এমন হওয়া উচিৎ যাতে করে এখান থেকেই গবেষণা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।

২. গবেষণা সমস্যা সম্পর্কে পরিচিতি প্রদান (Introduction to the Research Problem)

গবেষণার বিষয়ের গুরুত্ব, সম্ভাব্য সমাধান প্রভৃতির ওপর আলোচনা করে একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতিমূলক বিবরণ প্রদান করা হয়। এছাড়া গবেষণা বিষয়টি নির্বাচনের কারণ, তার সমাধান, কেন বাঞ্ছনীয় ইত্যাদির ওপর আলোচনা করা হয়। 

৩. গবেষণার উদ্দেশ্য (Research Objectives)

গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গবেষণা নকশায় সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করতে হয়। গবেষণা নকশায় গবেষণার মুখ্য উদ্দেশ্যগুলো কী কী তা উল্লেখ থাকে। উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নে কী কী তথ্য ও উপাত্ত অনুসন্ধান করতে হবে তাও উল্লেখ থাকে। গবেষণার সঠিক ও সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিরূপিত হলে গবেষণা কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি অনুযায়ী এর উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। গবেষণার উদ্দেশ্য গবেষণার নকশায় একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

৪. ধারণা বা প্রত্যয়ের কার্যকরী সংজ্ঞা (Working Definition of the Concept)

গবেষণায় ব্যবহৃত প্রত্যয়গুলোর কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদান করতে হয়। গবেষণার মধ্যে কোন প্রত্যয় কোন অর্থে ব্যবহৃত হবে গবেষণা নকশায় তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করতে হয়।

৫. অনুসিদ্ধান্ত গঠন (Formulation of Hypothesis)

গবেষণায় সাধারণত অনুসিদ্ধান্ত গঠন করে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। অনুসিদ্ধান্ত হবে নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট। অনুসিদ্ধান্ত গঠনের ফলে গবেষণা কিছুটা সহজ হয় তবে টি বাধ্যতামূলক নয়।

৬. গবেষণার যৌক্তিকতা (Rationale of the Research)

গবেষকের নির্বাচিত সমস্যা গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাধান হলে বাস্তবক্ষেত্রে তা কোন কাজে লাগবে, মানব কল্যাণে এটার বাস্তব ভিত্তি কতটুকু সেটির ব্যাখ্যা থাকতে হয়। কোনো উৎপাদন বা উন্নয়ন কাজের সাথে গবেষণাটি সম্পৃক্ত কিনা, এসব বিষয়াদির বিশ্লেষণ ও যৌক্তিকতা গবেষণা নকশায় তুলে ধরতে হয়। মানব সমাজের কল্যাণে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা মূলত এখানে তুলে ধরা হয়। 

৭. উপাত্ত বা তথ্যের উৎস (Sources of Data)

গবেষণায় ব্যবহৃত তথ্য ও উপাত্ত কোথা থেকে আসবে, উপাত্তের উৎস সরাসরি কিংবা পরোক্ষ হবে তা গবেষণা নকশায় উল্লেখ করতে হয়। সরাসরি তথ্য ও উপাত্ত গবেষণাগার থেকে বা মাঠ থেকে সংগ্রহ করা যায়। পক্ষান্তরে, পরোক্ষ তথ্য রেফারেন্স বই, গবেষণাপত্র, থিসিস ইত্যাদি সংগ্রহ করা যায়। 

৮. তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি (Methods of Data Collection)

তথ্যসংগ্রহের জন্য নিধারিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গবেষণা 

নকশায় উল্লেখ থাকতে হয়। অনেক গবেষণার ক্ষেত্রে একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তথা ও উপাত্তসংগ্রহ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি ব্যবহারে কোন ধরনের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে তা উল্লেখ করতে হয়। গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার, প্রশ্নপত্র বিতরণ, ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন বা এফজিডি, কেইস স্টাডি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

৯. তথ্য ও উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতা ও সঠিকতা (Reliability and Validity of Data)

সংগৃহীত উপাত্ত ও তথ্যের নির্ভরযোগ্যতার ও সঠিকতার জন্য গবেষক কী ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করেছেন তা গবেষণা নকশায় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। মূলত, উপাত্তের সঠিকতা নির্ভর করে গবেষক নিজে বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী দ্বারা উপাত্ত সংগ্রহের ওপর। এসব ব্যাপারে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে গবেষণা নকশায় উল্লেখ থাকতে হয়। 

১০. উপাত্তের প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণ (Data Processing and Analysis)

সংগৃহীত তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কী পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তা গবেষণা নকশায় উল্লেখ থাকতে হয়। প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধকরণ, সারণিবদ্ধকরণ ও উপাত্ত বিশ্লেষণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যানগত পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়। এছাড়া, উপাত্তের বিশ্লেষণ বিবরণমূলক না সিদ্ধান্তমূলক না স্ট্যাটিসটিক্যাল হবে তাও উল্লেখ করা প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

3 thoughts on “গবেষণা নকশা প্রণয়নের ধাপ কী কী?

  1. প্রয়োজনীয় তথ্য, খুব গোছানো। ধন্যবাদ।

  2. খুব সুন্দর লিখেছেন। খুব উপকৃত হলাম ।

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

জারিন তাসনিম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্বাধীন লেখক।

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

গবেষণা নকশা প্রণয়নের ধাপ কী কী?

প্রকাশ: ১১:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

গবেষণা নকশা (Research Design) হলো কোনো গবেষণা কর্ম পরিচালনার পূর্বে ওই গবেষণার একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা। গবেষণা নকশাকে গবেষণার রূপরেখা বা  নীল নকশা (Blue Print) বলা হয়। গবেষণা নকশা প্রকৃতপক্ষে একটি গবেষণা কর্মপরিকল্পনার দলিল। পরিকল্পনা প্রণয়নের এই কাজ মূলত মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও বিমূর্ত প্রকৃতির। অপরদিকে, গবেষণা নকশা প্রণয়নের কাজটি মূর্ত অর্থাৎ, একে দলিল আকারে প্রণয়ন করে সংরক্ষণ ও উপস্থাপন করা যায়। গবেষণা নকশা প্রণয়ন করার জন্য বেশ কিছু ধাপ মেনে চলা হয়।

নিচে গবেষণা নকশা প্রণয়নের ধাপ উল্লেখ করা হলো-

১. গবেষণার শিরোনাম (Research Title)

গবেষণা সমস্যা ও বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে শুরুতেই গবেষণার একটি শিরোনাম দিতে হবে। গবেষণার শিরোনাম হবে সহজ ও সরল। গবেষণার শিরোনাম এমন হওয়া উচিৎ যাতে করে এখান থেকেই গবেষণা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।

২. গবেষণা সমস্যা সম্পর্কে পরিচিতি প্রদান (Introduction to the Research Problem)

গবেষণার বিষয়ের গুরুত্ব, সম্ভাব্য সমাধান প্রভৃতির ওপর আলোচনা করে একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতিমূলক বিবরণ প্রদান করা হয়। এছাড়া গবেষণা বিষয়টি নির্বাচনের কারণ, তার সমাধান, কেন বাঞ্ছনীয় ইত্যাদির ওপর আলোচনা করা হয়। 

৩. গবেষণার উদ্দেশ্য (Research Objectives)

গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গবেষণা নকশায় সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করতে হয়। গবেষণা নকশায় গবেষণার মুখ্য উদ্দেশ্যগুলো কী কী তা উল্লেখ থাকে। উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নে কী কী তথ্য ও উপাত্ত অনুসন্ধান করতে হবে তাও উল্লেখ থাকে। গবেষণার সঠিক ও সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিরূপিত হলে গবেষণা কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি অনুযায়ী এর উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। গবেষণার উদ্দেশ্য গবেষণার নকশায় একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

৪. ধারণা বা প্রত্যয়ের কার্যকরী সংজ্ঞা (Working Definition of the Concept)

গবেষণায় ব্যবহৃত প্রত্যয়গুলোর কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদান করতে হয়। গবেষণার মধ্যে কোন প্রত্যয় কোন অর্থে ব্যবহৃত হবে গবেষণা নকশায় তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করতে হয়।

৫. অনুসিদ্ধান্ত গঠন (Formulation of Hypothesis)

গবেষণায় সাধারণত অনুসিদ্ধান্ত গঠন করে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। অনুসিদ্ধান্ত হবে নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট। অনুসিদ্ধান্ত গঠনের ফলে গবেষণা কিছুটা সহজ হয় তবে টি বাধ্যতামূলক নয়।

৬. গবেষণার যৌক্তিকতা (Rationale of the Research)

গবেষকের নির্বাচিত সমস্যা গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাধান হলে বাস্তবক্ষেত্রে তা কোন কাজে লাগবে, মানব কল্যাণে এটার বাস্তব ভিত্তি কতটুকু সেটির ব্যাখ্যা থাকতে হয়। কোনো উৎপাদন বা উন্নয়ন কাজের সাথে গবেষণাটি সম্পৃক্ত কিনা, এসব বিষয়াদির বিশ্লেষণ ও যৌক্তিকতা গবেষণা নকশায় তুলে ধরতে হয়। মানব সমাজের কল্যাণে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা মূলত এখানে তুলে ধরা হয়। 

৭. উপাত্ত বা তথ্যের উৎস (Sources of Data)

গবেষণায় ব্যবহৃত তথ্য ও উপাত্ত কোথা থেকে আসবে, উপাত্তের উৎস সরাসরি কিংবা পরোক্ষ হবে তা গবেষণা নকশায় উল্লেখ করতে হয়। সরাসরি তথ্য ও উপাত্ত গবেষণাগার থেকে বা মাঠ থেকে সংগ্রহ করা যায়। পক্ষান্তরে, পরোক্ষ তথ্য রেফারেন্স বই, গবেষণাপত্র, থিসিস ইত্যাদি সংগ্রহ করা যায়। 

৮. তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি (Methods of Data Collection)

তথ্যসংগ্রহের জন্য নিধারিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গবেষণা 

নকশায় উল্লেখ থাকতে হয়। অনেক গবেষণার ক্ষেত্রে একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তথা ও উপাত্তসংগ্রহ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি ব্যবহারে কোন ধরনের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে তা উল্লেখ করতে হয়। গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার, প্রশ্নপত্র বিতরণ, ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন বা এফজিডি, কেইস স্টাডি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

৯. তথ্য ও উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতা ও সঠিকতা (Reliability and Validity of Data)

সংগৃহীত উপাত্ত ও তথ্যের নির্ভরযোগ্যতার ও সঠিকতার জন্য গবেষক কী ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করেছেন তা গবেষণা নকশায় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। মূলত, উপাত্তের সঠিকতা নির্ভর করে গবেষক নিজে বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী দ্বারা উপাত্ত সংগ্রহের ওপর। এসব ব্যাপারে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে গবেষণা নকশায় উল্লেখ থাকতে হয়। 

১০. উপাত্তের প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণ (Data Processing and Analysis)

সংগৃহীত তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কী পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তা গবেষণা নকশায় উল্লেখ থাকতে হয়। প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধকরণ, সারণিবদ্ধকরণ ও উপাত্ত বিশ্লেষণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যানগত পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়। এছাড়া, উপাত্তের বিশ্লেষণ বিবরণমূলক না সিদ্ধান্তমূলক না স্ট্যাটিসটিক্যাল হবে তাও উল্লেখ করা প্রয়োজন।