০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

২১ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস

সাঈমা আক্তার
  • প্রকাশ: ০৬:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১২৮২ বার পড়া হয়েছে


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। ওই নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যে একটি হল আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস (International Day of Peace)। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালন করা প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর। ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- একটি ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্বের জন্য উত্তম উপায় পুনরুদ্ধার  (Recovering better for an equitable and sustainable world)।

শান্তি দিবস পালন করার কারণ এবং এর ইতিহাস

সারা বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বিশেষ করে পালিত হয়। একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের (United Nations General Assembly) কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ২০০১ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বারা গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২১শে সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৯৮২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। তারপর ১৯৮৩ সালে, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল শান্তির সংস্কৃতি ঘোষণা করেন। ২০০৭ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল (secretary general) বান কি মুন (Ban Ki-moon) এই দিনটিতে ২৪ ঘন্টার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে সব রকমের অশান্তি মূলক কাজ বন্ধ রাখার ডাক দেন এবং এই দিনটি উপলক্ষে প্রত্যেক দেশকে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা আর্জি করেন।

২০০৯ সালে যুদ্ধ থেকে বিরত থেকে সারা বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক পুনর্মিলন বর্ষ পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা (International Law), ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অশান্তি থেকে দূরে রাখার জন্য অঙ্গীকার নেওয়া হয়। এই দিনটি উদযাপন এর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল শান্তি বজায় রাখা, প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, একে অপরের প্রতি বিশ্বাস এবং সহনশীল মনোভাব গড়ে তোলা ইত্যাদি।

২০০৫ সালে করা একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে যে প্রায় ৪৬ টি দেশ এই দিনটি উদযাপন করে যার মধ্যে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলি অন্যতম। এই দিনে শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারা বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই দিবসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে দেশে সেমিনার (seminar) ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পৃথিবীকে পারমাণবিক বোমা থেকে মুক্ত করা এই দিনটি উদযাপন এর আরেকটি লক্ষ্য।

২০১০ সালে তরুণ প্রজন্মকে যারা সারা বিশ্ব জুড়ে শান্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে তাদের একত্র করার পরিকল্পনা করা হয়। তরুণ প্রজন্মই বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে পারবে বলে রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বাস করে। শান্তি এবং গণতন্ত্র একসাথে মিলে একটি আদর্শ দেশ গড়ে তুলতে পারে বলে মনে করা হয়। বিশ্ব শান্তির জন্য পরিবেশ সচেতনতাকেও খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরিবেশকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিশ্ব শান্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলেই মনে করা হয়।

২০২১ সালের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- একটি ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্বের জন্য উত্তম উপায় পুনরুদ্ধার

২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব শান্তি সম্পর্কিত নানান শিক্ষামূলক কর্মকান্ড গ্রহণ করা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস সম্পর্কে নানান তথ্য এবং এর গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাছাড়াও একজন নাগরিকের শান্তিতে থাকার অধিকার সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করা হয়। এখানে প্রতিটি মানুষকে সমান সম্মান দেওয়ার ওপরও জোর দেওয়া হয়। 

২০১৮ সালে কালচার অব পিস নিউজ নেটওয়ার্ক (Culture of Peace News Network) কর্তৃক করা একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে যে সারা পৃথিবী জুড়ে ১২৯ টি দেশ এই কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত আছে। প্রায় ৭৬৪ রকম ভাবে এই দিনটি পালন করা হয় যার মধ্যে ২৩৩ টি অনুষ্ঠান কানাডা এবং আমেরিকায়, ১৭৭ টি অনুষ্ঠান ইউরোপের নানান দেশে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে এই দিনটির থিম ছিল “শান্তির জন্য অধিকার” (The Right to Peace) এবং ২০১৯ সালে এর থিম ছিল “শান্তির জন্য পরিবেশ” (Climate Action for Peace)। দিনে দিনে যেভাবে আমাদের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা ভবিষ্যতের জন্য খুবই উদ্বিগ্নজনক তাই এই দিনটির মাধ্যমে মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। ২০২০ সালে এই উদযাপনের কুড়ি বছর উপলক্ষে “একসাথে শান্তি গড়ে তোলা” (shaping Peace Together) কে থিম হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কোভিড ১৯ মহামারীর সময় মানুষের মধ্যে দয়া, মায়া ও আশার আলো জাগিয়ে তোলা এবং একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আগামী দিনেও আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালনের মাধ্যমে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে মনে করা হয়। সাম্প্রদায়িকতা এবং হিংসার দ্বারা যে ক্ষতি মানব সভ্যতার হচ্ছে তা শান্তির দ্বারা জয় করা যাবে বলেই বিশ্বাস করা হয়।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

লেখকতথ্য

সাঈমা আক্তার

সাঈমা একজন প্রাবন্ধিক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

২১ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস

প্রকাশ: ০৬:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। ওই নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সমস্ত দিবসগুলির মধ্যে একটি হল আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস (International Day of Peace)। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালন করা প্রতিবছর ২১ সেপ্টেম্বর। ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- একটি ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্বের জন্য উত্তম উপায় পুনরুদ্ধার  (Recovering better for an equitable and sustainable world)।

শান্তি দিবস পালন করার কারণ এবং এর ইতিহাস

সারা বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বিশেষ করে পালিত হয়। একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের (United Nations General Assembly) কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ২০০১ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বারা গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২১শে সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৯৮২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। তারপর ১৯৮৩ সালে, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল শান্তির সংস্কৃতি ঘোষণা করেন। ২০০৭ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল (secretary general) বান কি মুন (Ban Ki-moon) এই দিনটিতে ২৪ ঘন্টার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে সব রকমের অশান্তি মূলক কাজ বন্ধ রাখার ডাক দেন এবং এই দিনটি উপলক্ষে প্রত্যেক দেশকে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা আর্জি করেন।

২০০৯ সালে যুদ্ধ থেকে বিরত থেকে সারা বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য আন্তর্জাতিক পুনর্মিলন বর্ষ পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা (International Law), ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অশান্তি থেকে দূরে রাখার জন্য অঙ্গীকার নেওয়া হয়। এই দিনটি উদযাপন এর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল শান্তি বজায় রাখা, প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, একে অপরের প্রতি বিশ্বাস এবং সহনশীল মনোভাব গড়ে তোলা ইত্যাদি।

২০০৫ সালে করা একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে যে প্রায় ৪৬ টি দেশ এই দিনটি উদযাপন করে যার মধ্যে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলি অন্যতম। এই দিনে শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারা বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই দিবসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে দেশে সেমিনার (seminar) ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পৃথিবীকে পারমাণবিক বোমা থেকে মুক্ত করা এই দিনটি উদযাপন এর আরেকটি লক্ষ্য।

২০১০ সালে তরুণ প্রজন্মকে যারা সারা বিশ্ব জুড়ে শান্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে তাদের একত্র করার পরিকল্পনা করা হয়। তরুণ প্রজন্মই বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে পারবে বলে রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বাস করে। শান্তি এবং গণতন্ত্র একসাথে মিলে একটি আদর্শ দেশ গড়ে তুলতে পারে বলে মনে করা হয়। বিশ্ব শান্তির জন্য পরিবেশ সচেতনতাকেও খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরিবেশকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিশ্ব শান্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলেই মনে করা হয়।

২০২১ সালের আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- একটি ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্বের জন্য উত্তম উপায় পুনরুদ্ধার

২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব শান্তি সম্পর্কিত নানান শিক্ষামূলক কর্মকান্ড গ্রহণ করা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস সম্পর্কে নানান তথ্য এবং এর গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাছাড়াও একজন নাগরিকের শান্তিতে থাকার অধিকার সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করা হয়। এখানে প্রতিটি মানুষকে সমান সম্মান দেওয়ার ওপরও জোর দেওয়া হয়। 

২০১৮ সালে কালচার অব পিস নিউজ নেটওয়ার্ক (Culture of Peace News Network) কর্তৃক করা একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে যে সারা পৃথিবী জুড়ে ১২৯ টি দেশ এই কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত আছে। প্রায় ৭৬৪ রকম ভাবে এই দিনটি পালন করা হয় যার মধ্যে ২৩৩ টি অনুষ্ঠান কানাডা এবং আমেরিকায়, ১৭৭ টি অনুষ্ঠান ইউরোপের নানান দেশে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে এই দিনটির থিম ছিল “শান্তির জন্য অধিকার” (The Right to Peace) এবং ২০১৯ সালে এর থিম ছিল “শান্তির জন্য পরিবেশ” (Climate Action for Peace)। দিনে দিনে যেভাবে আমাদের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা ভবিষ্যতের জন্য খুবই উদ্বিগ্নজনক তাই এই দিনটির মাধ্যমে মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। ২০২০ সালে এই উদযাপনের কুড়ি বছর উপলক্ষে “একসাথে শান্তি গড়ে তোলা” (shaping Peace Together) কে থিম হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কোভিড ১৯ মহামারীর সময় মানুষের মধ্যে দয়া, মায়া ও আশার আলো জাগিয়ে তোলা এবং একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আগামী দিনেও আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালনের মাধ্যমে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে মনে করা হয়। সাম্প্রদায়িকতা এবং হিংসার দ্বারা যে ক্ষতি মানব সভ্যতার হচ্ছে তা শান্তির দ্বারা জয় করা যাবে বলেই বিশ্বাস করা হয়।