০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

Accounting: হিসাববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয় কোনগুলো?

হাসান মাহমুদ রি
  • প্রকাশ: ১২:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৪৮৯ বার পড়া হয়েছে

হিসাববিজ্ঞান হলো ব্যবসায়ের ভাষা


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

হিসাববিজ্ঞান বা অ্যাকাউন্টিং (Accounting) তার কার্যক্রম নির্বাহ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। নিম্নে যে সকল বিষয়ের সাথে হিসাবজ্ঞিানের সম্পর্ক অত্যন্ত কাছাকাছি তা আলোচনা করা হলো-

ব্যবস্থাপনা (Management)

হিসাববিজ্ঞান এর সাথে ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ব্যবস্থাপনা সঠিক ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞান সকল ধরনের তথ্য সরবরাহ করে থাকে। হিসাববিজ্ঞান এর সরবরাহকৃত তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সবকিছু হিসাববিজ্ঞান এর তথ্যের উপর নির্ভর করে ব্যবস্থাপক লভ্যাংশ ঘোষণা, বিক্রয় বাজেট, বাজেট তৈরী, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, মুনাফা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। 

অর্থনীতি (Economics)

অর্থনীতির সাথেও হিসাববিজ্ঞান এর সম্পর্ক নিবিড়। অর্থনীতির বিষয়বস্তু অর্থাৎ আয়-ব্যয়, সম্পদ বিভাজন, ইত্যাদি হিসাববিজ্ঞান এর আলোচনা ক্ষেত্র বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অর্থনীতির কোন সিদ্ধান্ত অর্থাৎ কি পরিমাণউৎপাদন হবে, কি ভাবে উৎপাদন হবে এবং কি পরিমাণ উৎপাদন খরচ হবে সবকিছু তথ্য হিসাববিজ্ঞান সরবরাহ করে থাকে। অতএব, হিসাববিজ্ঞান ও অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক ও সহায়ক। 

গণিত (Mathematics)

বর্তমানে হিসাববিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের মধ্যে বেশ যোগসূত্র দেখা যায়। হিসাববিজ্ঞান যেহেতু সংখ্যাগত 

বিষয় নিয়ে কার্যক্রম করে আবার গণিত শাস্ত্রের কার্যক্রম ও সংখ্যা ভিত্তিক তাই একে অপরে মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরিসংখ্যান (Statistics)

পরিসংখ্যান বিষয়ের সাথে হিসাববিজ্ঞান এর সম্পর্ক নিবিড়। হিসাববিজ্ঞান কে সহায়তার জন্য বিভিন্ন 

ক্ষেত্র থেকে পরিসংখ্যান তথ্য সংগ্রহ করে। তেমনিভাবে হিসাববিজ্ঞান ঐ সকল তথ্যসমূহ লিপিবদ্ধকরণ, শ্রেণীবদ্ধকরণ এবং সংক্ষিপ্তকরণ ইত্যাদি কার্যাবলীর মাধ্যমে পরিসংখ্যানিক উপায়ে অর্থাৎ লেখচিত্র, বার ডায়াগ্রাম, পাইচার্ট ইত্যাদি তথ্যসমূহ প্রকাশ করে থাকে। 

ডিজিটাল প্রযুক্তি (Digital Technologies)

বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র। ডিজিটাল প্রযুক্তি বা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি ক্ষেত্র দিন দিন উন্নত সেবা নিশ্চিত করছে। তেমনিভাবে হিসাববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ডিজিটাল ডিভাইস ও সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন সর্বোচ্চ। হিসাববিজ্ঞানের প্রাথমিক ধাপ হতে শুরু করে অর্থাৎ লেনদেন লিপিবদ্ধ হতে শুরু করে আর্থিক বিশ্লেষণ পর্যন্ত কম্পিউটার ব্যবহার করে কার্যবলী সম্পূর্ণ করছে। এখন কম্পিউটারের উপর নির্ভর করে সরকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান সমূহ কাজ করছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

Accounting: হিসাববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয় কোনগুলো?

প্রকাশ: ১২:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

হিসাববিজ্ঞান বা অ্যাকাউন্টিং (Accounting) তার কার্যক্রম নির্বাহ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। নিম্নে যে সকল বিষয়ের সাথে হিসাবজ্ঞিানের সম্পর্ক অত্যন্ত কাছাকাছি তা আলোচনা করা হলো-

ব্যবস্থাপনা (Management)

হিসাববিজ্ঞান এর সাথে ব্যবস্থাপনার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ব্যবস্থাপনা সঠিক ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞান সকল ধরনের তথ্য সরবরাহ করে থাকে। হিসাববিজ্ঞান এর সরবরাহকৃত তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা, নির্দেশনা, প্রেষণা, সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সবকিছু হিসাববিজ্ঞান এর তথ্যের উপর নির্ভর করে ব্যবস্থাপক লভ্যাংশ ঘোষণা, বিক্রয় বাজেট, বাজেট তৈরী, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, মুনাফা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। 

অর্থনীতি (Economics)

অর্থনীতির সাথেও হিসাববিজ্ঞান এর সম্পর্ক নিবিড়। অর্থনীতির বিষয়বস্তু অর্থাৎ আয়-ব্যয়, সম্পদ বিভাজন, ইত্যাদি হিসাববিজ্ঞান এর আলোচনা ক্ষেত্র বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অর্থনীতির কোন সিদ্ধান্ত অর্থাৎ কি পরিমাণউৎপাদন হবে, কি ভাবে উৎপাদন হবে এবং কি পরিমাণ উৎপাদন খরচ হবে সবকিছু তথ্য হিসাববিজ্ঞান সরবরাহ করে থাকে। অতএব, হিসাববিজ্ঞান ও অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক ও সহায়ক। 

গণিত (Mathematics)

বর্তমানে হিসাববিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের মধ্যে বেশ যোগসূত্র দেখা যায়। হিসাববিজ্ঞান যেহেতু সংখ্যাগত 

বিষয় নিয়ে কার্যক্রম করে আবার গণিত শাস্ত্রের কার্যক্রম ও সংখ্যা ভিত্তিক তাই একে অপরে মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরিসংখ্যান (Statistics)

পরিসংখ্যান বিষয়ের সাথে হিসাববিজ্ঞান এর সম্পর্ক নিবিড়। হিসাববিজ্ঞান কে সহায়তার জন্য বিভিন্ন 

ক্ষেত্র থেকে পরিসংখ্যান তথ্য সংগ্রহ করে। তেমনিভাবে হিসাববিজ্ঞান ঐ সকল তথ্যসমূহ লিপিবদ্ধকরণ, শ্রেণীবদ্ধকরণ এবং সংক্ষিপ্তকরণ ইত্যাদি কার্যাবলীর মাধ্যমে পরিসংখ্যানিক উপায়ে অর্থাৎ লেখচিত্র, বার ডায়াগ্রাম, পাইচার্ট ইত্যাদি তথ্যসমূহ প্রকাশ করে থাকে। 

ডিজিটাল প্রযুক্তি (Digital Technologies)

বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র। ডিজিটাল প্রযুক্তি বা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি ক্ষেত্র দিন দিন উন্নত সেবা নিশ্চিত করছে। তেমনিভাবে হিসাববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ডিজিটাল ডিভাইস ও সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন সর্বোচ্চ। হিসাববিজ্ঞানের প্রাথমিক ধাপ হতে শুরু করে অর্থাৎ লেনদেন লিপিবদ্ধ হতে শুরু করে আর্থিক বিশ্লেষণ পর্যন্ত কম্পিউটার ব্যবহার করে কার্যবলী সম্পূর্ণ করছে। এখন কম্পিউটারের উপর নির্ভর করে সরকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান সমূহ কাজ করছে।