০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

মাথা খাটানো পদ্ধতি বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতির সংজ্ঞা, সুবিধা, অসুবিধা, কৌশল কী?

শেহনাজ ইসলাম মুক্তি
  • প্রকাশ: ১২:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • / ৮৮৩৪ বার পড়া হয়েছে

ব্রেইন স্টর্মিং মাথা খাটানো পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

শিক্ষণ সম্পর্কিত কোনো সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য চিন্তনমূলক এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। শিখনকে কার্যকরী করার জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন জটিল সমস্যা উপস্থাপন করার মাধ্যমে, তাদেরকে মাথা খাটানো পদ্ধতিতে শ্রেণিতে কর্মতৎপর রাখতে পারেন।

মাথা খাটানো বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতি কাকে বলে?

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্য পরিচালনার যে পদ্ধতিতে পদ্ধতিতে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ছোটো ছোটো দলে ভাগ করে তাদের সম্মুখে পাঠ সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট কোনো সমস্যা উপস্থাপন করে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে বলা হয় তাকে মাথা খাটানো পদ্ধতি বলে। মাথা খাটানো পদ্ধতির ইংরেজি হলো ব্রেইন স্টর্মিং টেকনিক (Brainstorming technique)।

মাথা খাটানো পদ্ধতি বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা মুক্তভাবে চিন্তা করার সুযোগ পায় এবং শিক্ষকও তাঁর কর্ম ও শিক্ষণ প্রক্রিয়ার ক্রম-অগ্রগতি সম্পর্কে সুচিন্তনের সুযোগ পান। অংশগ্রহণকারীগণও পরস্পরের নিকট থেকে অভিজ্ঞতার বিনিময় ঘটাতে পারে।

মাথা খাটানো বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যাবলি

  • মাথা খাটানো পদ্ধতি বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতি হলো শ্রেণি পাঠদানের এমন পদ্ধতি যাতে শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদেরকে ব্যক্তিগত বা দলীয়ভাবে বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে সমাধান খুঁজে বের করতে উদ্ভুদ্ধ করে।
  • মাথা খাটানো পদ্ধতিতে ক্লাশের সব শিক্ষার্থীকে সম্মিলিতভাবে কোনো বিশেষ সমস্যা সম্পর্কে চিন্তা করার সুযোগ দেয়া হয়। শিক্ষক ইচ্ছে করলে শিক্ষার্থীদেরকে একটি সুবিধাজনক উপায়ে কয়েকটি ছোট দলে বিভক্ত করেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
  • পাঠের নির্ধারিত বিষয়বস্তুকে কয়েকটি ছোটো ছোটো সমস্যায় বিন্যস্ত করে প্রতিটি দলকে পৃথক পৃথক সমস্যা প্রদান করতে হয়। পরে, দলভিত্তিক সমাধানের জন্য শিক্ষক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
  • ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বরাদ্দ করতে হয়।
  • শিক্ষার্থীরা দলীয়ভাবে প্রাপ্ত সমস্যার সমাধান করে তা শ্রেণিকে দলীয়ভাবেই উপস্থাপন করে থাকে।

মাথা খাটানো পদ্ধতির সুবিধাবলি

  • সমগ্র শ্রেণিতে একই সময়ে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়।
  • এতে জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
  • সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে।
  • অল্প সময়ে অধিক ফল পাওয়া যায়।
  • পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়া যায়।
  • অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের চিক্ষাশক্তি ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শিক্ষকের ধারণা স্পষ্ট হয় এবং সে আলোকে তিনি পাঠদান কর্মসূচি বেছে নিতে পারেন।
  • শিক্ষক শিক্ষার্থীর পারস্পরিক আলোচনা সহজ, সুন্দর ও স্পষ্ট হয় এবং শিক্ষার্থীরা শ্রেণিপাঠে অধিক প্রাণবন্ত থাকে।
  • শ্রেণির জন্য বরাদ্দকৃত সময়ের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
  • নিজস্ব চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে সমস্যা সমাধান করতে হয় বলে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক সৃষ্টিশীল চিন্তায় উজ্জীবিত থাকে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়।
পাঠদানে বা শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ‘মাথা খাটানো পদ্ধতি’ বা ‘ব্রেইন স্টর্মিং টেকনিক’ ব্যবহার একটি বৈজ্ঞানিক ও কার্যকরী পদ্ধতি; এই পদ্ধতিতে শিক্ষক দক্ষতার সাথে পাঠদাব করতে পারলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।

মাথা খাটানো পদ্ধতির অসুবিধা বা সমস্যা কী?

  • মাথা খাটানো পদ্ধতিতে আলোচনা অনেক সময় নির্দিষ্ট বিষয়ের বাইরে চলে যেতে পারে।
  • নির্দিষ্ট সময়ে সমস্যার সমাধান ও আলোচনা অনেক সময়ই শেষ করা যায় না।
  • বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে সকল ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফলও পাওয়া যায় না।
  • অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা অধিক হলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
  • শিক্ষার্থীদের মতামত সংরক্ষণে প্রশিক্ষককে যথেষ্ট সক্রিয় হতে হয় যাতে কোনো মতামত বাদ না পড়ে।

মাথা খাটানো বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতি প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন কৌশল 

  • প্রয়োজন অনুসারে কখনো ব্যক্তিগত এবং কখনো দলগতভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার কৌশল গ্রহণ করতে হয়।
  • বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট সমস্যাকে কয়েকটি অংশে অবশ্যই পৃথক করে নিতে হবে।
  • প্রতিটি দলের জন্য পৃথক পৃথক সমস্যা নির্বাচন ও নির্ধারণ করতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত সকল মতামতকে প্রাথমিক ভাবে বাছাই করে নিলে ভালো হয়।
  • প্রাপ্ত-তথ্য যাতে চূড়ান্ত পর্যায়ে বাছাইয়ের সময় বাদ না পড়ে সেজন্য সবার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে নির্দিষ্ট ফাইলে রাখতে পারলে আরো ভাল হয়।
  • কেউ ভুল বক্তব্য দিলে তাকে উপহাস করা যাবে না।
  • দলীয় চিন্তা-ভাবনা উপস্থাপনের জন্য পোস্টার জাতীয় কিছু ব্যবহার করা যায়।
  • এরকম হলে এক দলের চিহ্নিত সমাধান সম্বলিত পোস্টার অন্যদলের শিক্ষার্থীদের দেখানো উচিত। [প্রাপ্ত পোস্টার ইত্যাদি দেয়ালে টানিয়ে বা ইজেল জাতীয় কোনো কিছুতে স্থাপন করে দলভিত্তিক উপস্থাপনের ব্যবস্থা করা যায়।]
  • দুই পৃথক দলের মতামতকে (ভিন্নতা থাকলেও) মিলিয়ে সমস্যা সমাধানের পথে দ্রুত পৌঁছার চেষ্টা শিক্ষককে করতে হবে।
  • সর্বোপরি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

পাঠদানে বা শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ‘মাথা খাটানো পদ্ধতি’ বা ‘ব্রেইন স্টর্মিং টেকনিক’ ব্যবহার একটি বৈজ্ঞানিক ও কার্যকরী পদ্ধতি; এই পদ্ধতিতে শিক্ষক দক্ষতার সাথে পাঠদাব করতে পারলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।

(শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাউবি শিক্ষক মডিউলের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে)

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

মাথা খাটানো পদ্ধতি বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতির সংজ্ঞা, সুবিধা, অসুবিধা, কৌশল কী?

প্রকাশ: ১২:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

শিক্ষণ সম্পর্কিত কোনো সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য চিন্তনমূলক এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। শিখনকে কার্যকরী করার জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন জটিল সমস্যা উপস্থাপন করার মাধ্যমে, তাদেরকে মাথা খাটানো পদ্ধতিতে শ্রেণিতে কর্মতৎপর রাখতে পারেন।

মাথা খাটানো বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতি কাকে বলে?

শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্য পরিচালনার যে পদ্ধতিতে পদ্ধতিতে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ছোটো ছোটো দলে ভাগ করে তাদের সম্মুখে পাঠ সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট কোনো সমস্যা উপস্থাপন করে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে বলা হয় তাকে মাথা খাটানো পদ্ধতি বলে। মাথা খাটানো পদ্ধতির ইংরেজি হলো ব্রেইন স্টর্মিং টেকনিক (Brainstorming technique)।

মাথা খাটানো পদ্ধতি বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা মুক্তভাবে চিন্তা করার সুযোগ পায় এবং শিক্ষকও তাঁর কর্ম ও শিক্ষণ প্রক্রিয়ার ক্রম-অগ্রগতি সম্পর্কে সুচিন্তনের সুযোগ পান। অংশগ্রহণকারীগণও পরস্পরের নিকট থেকে অভিজ্ঞতার বিনিময় ঘটাতে পারে।

মাথা খাটানো বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যাবলি

  • মাথা খাটানো পদ্ধতি বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতি হলো শ্রেণি পাঠদানের এমন পদ্ধতি যাতে শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদেরকে ব্যক্তিগত বা দলীয়ভাবে বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে সমাধান খুঁজে বের করতে উদ্ভুদ্ধ করে।
  • মাথা খাটানো পদ্ধতিতে ক্লাশের সব শিক্ষার্থীকে সম্মিলিতভাবে কোনো বিশেষ সমস্যা সম্পর্কে চিন্তা করার সুযোগ দেয়া হয়। শিক্ষক ইচ্ছে করলে শিক্ষার্থীদেরকে একটি সুবিধাজনক উপায়ে কয়েকটি ছোট দলে বিভক্ত করেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
  • পাঠের নির্ধারিত বিষয়বস্তুকে কয়েকটি ছোটো ছোটো সমস্যায় বিন্যস্ত করে প্রতিটি দলকে পৃথক পৃথক সমস্যা প্রদান করতে হয়। পরে, দলভিত্তিক সমাধানের জন্য শিক্ষক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
  • ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বরাদ্দ করতে হয়।
  • শিক্ষার্থীরা দলীয়ভাবে প্রাপ্ত সমস্যার সমাধান করে তা শ্রেণিকে দলীয়ভাবেই উপস্থাপন করে থাকে।

মাথা খাটানো পদ্ধতির সুবিধাবলি

  • সমগ্র শ্রেণিতে একই সময়ে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়।
  • এতে জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
  • সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে।
  • অল্প সময়ে অধিক ফল পাওয়া যায়।
  • পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়া যায়।
  • অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের চিক্ষাশক্তি ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শিক্ষকের ধারণা স্পষ্ট হয় এবং সে আলোকে তিনি পাঠদান কর্মসূচি বেছে নিতে পারেন।
  • শিক্ষক শিক্ষার্থীর পারস্পরিক আলোচনা সহজ, সুন্দর ও স্পষ্ট হয় এবং শিক্ষার্থীরা শ্রেণিপাঠে অধিক প্রাণবন্ত থাকে।
  • শ্রেণির জন্য বরাদ্দকৃত সময়ের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
  • নিজস্ব চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে সমস্যা সমাধান করতে হয় বলে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক সৃষ্টিশীল চিন্তায় উজ্জীবিত থাকে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়।
পাঠদানে বা শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ‘মাথা খাটানো পদ্ধতি’ বা ‘ব্রেইন স্টর্মিং টেকনিক’ ব্যবহার একটি বৈজ্ঞানিক ও কার্যকরী পদ্ধতি; এই পদ্ধতিতে শিক্ষক দক্ষতার সাথে পাঠদাব করতে পারলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।

মাথা খাটানো পদ্ধতির অসুবিধা বা সমস্যা কী?

  • মাথা খাটানো পদ্ধতিতে আলোচনা অনেক সময় নির্দিষ্ট বিষয়ের বাইরে চলে যেতে পারে।
  • নির্দিষ্ট সময়ে সমস্যার সমাধান ও আলোচনা অনেক সময়ই শেষ করা যায় না।
  • বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে সকল ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফলও পাওয়া যায় না।
  • অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা অধিক হলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
  • শিক্ষার্থীদের মতামত সংরক্ষণে প্রশিক্ষককে যথেষ্ট সক্রিয় হতে হয় যাতে কোনো মতামত বাদ না পড়ে।

মাথা খাটানো বা ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতি প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন কৌশল 

  • প্রয়োজন অনুসারে কখনো ব্যক্তিগত এবং কখনো দলগতভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার কৌশল গ্রহণ করতে হয়।
  • বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট সমস্যাকে কয়েকটি অংশে অবশ্যই পৃথক করে নিতে হবে।
  • প্রতিটি দলের জন্য পৃথক পৃথক সমস্যা নির্বাচন ও নির্ধারণ করতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত সকল মতামতকে প্রাথমিক ভাবে বাছাই করে নিলে ভালো হয়।
  • প্রাপ্ত-তথ্য যাতে চূড়ান্ত পর্যায়ে বাছাইয়ের সময় বাদ না পড়ে সেজন্য সবার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে নির্দিষ্ট ফাইলে রাখতে পারলে আরো ভাল হয়।
  • কেউ ভুল বক্তব্য দিলে তাকে উপহাস করা যাবে না।
  • দলীয় চিন্তা-ভাবনা উপস্থাপনের জন্য পোস্টার জাতীয় কিছু ব্যবহার করা যায়।
  • এরকম হলে এক দলের চিহ্নিত সমাধান সম্বলিত পোস্টার অন্যদলের শিক্ষার্থীদের দেখানো উচিত। [প্রাপ্ত পোস্টার ইত্যাদি দেয়ালে টানিয়ে বা ইজেল জাতীয় কোনো কিছুতে স্থাপন করে দলভিত্তিক উপস্থাপনের ব্যবস্থা করা যায়।]
  • দুই পৃথক দলের মতামতকে (ভিন্নতা থাকলেও) মিলিয়ে সমস্যা সমাধানের পথে দ্রুত পৌঁছার চেষ্টা শিক্ষককে করতে হবে।
  • সর্বোপরি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

পাঠদানে বা শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ‘মাথা খাটানো পদ্ধতি’ বা ‘ব্রেইন স্টর্মিং টেকনিক’ ব্যবহার একটি বৈজ্ঞানিক ও কার্যকরী পদ্ধতি; এই পদ্ধতিতে শিক্ষক দক্ষতার সাথে পাঠদাব করতে পারলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।

(শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাউবি শিক্ষক মডিউলের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে)