শিখন শেখানো পদ্ধতি: একক কাজ, জোড়ায় কাজ ও দলীয় কাজ
- প্রকাশ: ০১:৪৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
- / ৮২৯৩ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষার্থীকেন্দ্রীক শিখন শেখানো কার্যক্রমে প্রায়ই একক কাজ, জোড়ায় কাজ এবং দলীয় কাজ লক্ষ্য করা যায়। যেমন- মাইন্ড ম্যাপিং পদ্ধতিতে মূলতঃ একক কাজ করা হয়; আবার ব্রেইন স্টর্মিং বা মাথা খাটানো পদ্ধতি একক, জোড়ায় আবার দলীয় হতে পারে; আলোচনা পদ্ধতি কিংবা সমস্যা সমাধান পদ্ধতিও জোড়ায় কাজ ও দলীয় কাজের আওতাভুক্ত।
এখানে একক কাজ, জোড়ায় কাজ ও দলীয় কাজ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
একক কাজ (Individual Work)
শিখন শেখানো কার্যক্রমের যে প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন কিংবা অভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আলাদা চর্চা করানো হয় তাকে শ্রেণিকক্ষে একক কাজ বলে। ‘একক কাজ’-এর ইংরেজি হলো ‘ইনডিভিজুয়াল ওয়ার্ক’ (Individual Work)।
একক কাজ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য
- একক কাজ মূলত সুপ্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত ব্যাপক-অনুসৃত একটি পদ্ধতি। শিশুকালের হাতেখড়ি থেকে শুরু করে মাতা-পিতা, গৃহশিক্ষক, ব্যক্তিগত শিক্ষক, অত্যল্প সময়ে কাউকে কিছু যদি কেউ শিক্ষাদান করে- সবাই শিক্ষার্থীকে একক কাজেই প্রবৃত্ত করান।
- একক কাজ এক অর্থে স্বশিক্ষার সোপান বিশেষ (আর স্বশিক্ষাই হয় সুশিক্ষা)।
- একক কাজে বিভিন্ন মেধা ও পারঙ্গমতার শিক্ষার্থীর শিখন কার্যকর হয়।
- একক কাজ শিক্ষার্থী ভেদে বিভিন্ন মাত্রায় ফলপ্রসূ হয়।
- সকল শিক্ষাদান পদ্ধতিতেই কোনো না কোনো পর্যায়েই অপরিহার্য হলো একক শিক্ষাদান।
একক কাজ পদ্ধতির সুবিধা
- প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজস্ব চিন্তা শক্তি বিকাশের সুযোগ পায়।
- শিক্ষার্থীর আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়।
- আমিও কিছু করতে পারি, শিক্ষার্থীর মধ্যে এ চেতনাবোধ জাগ্রত হয়।
- বিভিন্ন মেধা ও পারঙ্গমতা-সম্পন্ন শিক্ষার্থীর শিখনের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাদান করার সুযোগ এতে থাকে।
- একক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীকে স্বশিক্ষা গ্রহণ করতে হয়, তাই এই পদ্ধতির বিশেষ সুবিধা থাকে।
একক কাজ পদ্ধতির অসুবিধা বা সমস্যা
বিভিন্ন মেধা, বিচিত্র পারিবারিক-সামাজিক, শ্রেণির ও মানসিক পটভূমি বা পারিপার্শ্ব থেকে শিক্ষার্থীরা আসতে পারে বলে প্রত্যেকের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন হওয়া অবধারিত। এদের সকলের এক সঙ্গে সমন্বিত শিক্ষাদান শিক্ষকের জন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষাদান চ্যালেঞ্জ বিশেষ।
- এই পদ্ধতিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষককে একক ভাবে নজর রাখতে হয় ও যত্ন নিতে হয়; এর জন্য শিক্ষককে যুগপৎ শিশু-মনস্তত্ত্ব ও শিক্ষাদান কৌশলের সম্পৃক্তি ঘটিয়ে পুরো শ্রেণিকক্ষ নিয়ন্ত্রণে সদা-জাগ্রত ও অতি-যত্নশীল থাকতে হয়; ফলে শিক্ষকের মানসিক চাপ পড়তে পারে।
- অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্লাসস এই পদ্ধতি সর্বদা কার্যকর ভাবে প্রয়োগ করা প্রায়শঃ দুরূহ হতে পারে। এতে শিক্ষকের এবং শিক্ষার্থীরও অলসতা আসতে পারে। মূল বিষয় হতে শিক্ষক বিচ্যুতও হতে পারেন।
- শিক্ষার্থীদের মেধা, শিখন-ক্ষমতা (ধঢ়ঃরঃঁফব) ও নিবিষ্ট পাঠে মনোনিবেশের ভিন্্নতা হেতু সামগ্রিক শ্রেণিকক্ষের পঠন ও শিখন অগ্রগতি সুনির্দিষ্ট স্তর অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে।
- একক কাজ পদ্ধতিতে প্রায়শঃ শিক্ষার্থী আপন ভুবনে ডুবে যায়, ফলে সে আলোচনা ও শিক্ষণীয় বিষয়ের বাইরে চলে যায়।
একক কাজ পদ্ধতি প্রয়োগের সম্ভাব্য কৌশল
- শুরুতে শিক্ষার্থীকে একটা সুপরিচিত ও সর্বজন বিদিত বিষয় দেয়া যেতে পারে যা হতে হবে সুনির্দিষ্ট, সহজবোধ্য এবং আগ্রহ-উদ্দীপক। তা হতে পারে: শিক্ষার্থীর দৈনন্দিন জীবন থেকে লক্ষ্য করা যায়- এমন কিছু।
- বিষয়বস্তু এমন হলে ভাল হয় যা হবে শিক্ষণীয় বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- একই শ্রেণিকক্ষের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি অভিন্ন বিষয় ও সেই সাথে ভিন্ন-ভিন্ন বিষয় দেয়া যেতে পারে প্রত্যেকের মেধা ও শিখন-প্রকৃতি নির্ধরিণের জন্য।
- অনুশীলনের জন্য গদ্যের বা পদ্যের পাঠ্যাংশের উপর ভিত্তি করে এক-এক জনের ভিন্ন-ভিন্ন চিত্রনের কাজ দেয়া যেতে পারে; যেমন- রবীন্দ্রনাথের ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে….’ অবলম্বনে প্রত্যেককে এক-একটি বর্ণনার চিত্র আঁকতে দেয়া যায়, কাউকে একটা ম্যাপ আঁকতে দেয়া যায় — ইত্যাদি।
- কোনো কোনো শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত মৌখিক অনুশীলন
যথা: পঠন, আবৃত্তি, গল্প ও বর্ণনা ইত্যাদি।
শিক্ষককে পর্যবেক্ষণ, বিবেচনা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সেসব তাৎক্ষণিক কৌশলাদি নির্ধারণ করে নিতে হবে।
জোড়ায় কাজ বা পেয়ার ওয়ার্ক পদ্ধতি (Pair Work)
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রমে সমস্ত শিক্ষার্থীকে একেকটি জোড়ায় অর্থাৎ দুই জন করে ভাগ করে পাঠচর্চার ব্যবস্থা করার নাম হলো জোড়ায় কাজ পদ্ধতি। ইংরেজিতে একে পেয়ার ওয়ার্ক (Pair Work) বলে।
জোড়ায় কাজ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য
- শ্রেণিকক্ষে বা শ্রেণিকক্ষের বাইরে সীমিত পর্যায়ে কার্যকর এই পদ্ধতিও প্রাচীন ও প্রথাগত ভাবে ব্যবহৃত।
- জোড়ায় কাজ পদ্ধতির প্রধান হলো দুই জন সম-পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে (বালক ও বালক, বালিকা ও বালিকা অথবা যেখানে সহশিক্ষা প্রচলিত সেখানে প্রয়োজনে বিপরীত লিঙ্গের দুই জনকে) একত্রে অনুশীলন, পঠন ও শিখনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
- ক্ষেত্রবিশেষে জোড়ায় কাজ পদ্ধতি যথেষ্ট ফলদায়ক।
- জোড়ায় কাজে শিক্ষার্থীদ্বয় পরস্পরকে সাহায্য করে এবং এক অপরের সম্পূরকের ভূমিকা পালন করে।
- জোড়ায় কাজে বৃহত্তর দলীয় কাজের ভিত রচিত হয় ও তা মজবুতও হয়।
জোড়ায় কাজ পদ্ধতির সুবিধা
- জোড়ায় কাজের বড়ো সুবিধা হলো নিবিড়, অন্তরঙ্গ ও পারস্পরিক বন্ধুত্বসুলভ মনোভাবের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে শিখন।
- একজন যা জানে না এবং যা শিক্ষক বা অন্যসূত্রে জানা যায় না তা জোড়ার সঙ্গীর কাছ থেকে সহজেই জানতে পারা যায়, আর এভাবেই শিখন-ঘাটতি অনেকাংশেই দূর করা যায়।
- চিন্তা চেতনায় আদান প্রদান করা যায়।
- বিষয়ের উপর অধিক তথ্য প্রদান সম্ভব হয়।
- পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
- অপেক্ষাকৃত কম সময় সাপেক্ষ সমাধান খুজে বের করা যায়।
জোড়ায় কাজ পদ্ধতির অসুবিধা/সমস্যা
- জোড়ায় কাজের মাধ্যমে সর্বপ্রকার শিখন অগ্রগতি লাভ সম্ভব নয়।
- মতপার্থক্য ঘটতে পারে।
- সময় বেশী লাগতে পারে।
- একে অন্যের সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা আসতে পারে।
- দুজনের মিল না হলে বিরোধ বাঁধে এবং মূলত শিখন অগ্রগতি কিছুই হয় না।
দলীয় কাজ বা গ্রুপ ওয়ার্ক (Group Work)
শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমের আধুনিক পদ্ধতির অন্যতম হলো দলীয় কাজ। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠতর ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করানোর মাধ্যমে শিক্ষাদানকে ফলপ্রসূ করানো যায়। একক, জোড়ায় ও দলীয় কাজ আসলে একই ধারাবাহিকতায় গ্রথিত।
দলগত কাজ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য
- সমস্যা চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলভাগ করে প্রত্যেক দলের কাজ বুঝিয়ে দেয়া হয়।
- এই পদ্ধতিতে শিখনের-প্রাপ্ত ফলাফল শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য উদ্দিষ্ট উপায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবেই সম্পর্কযুক্ত ।
- পরিব্যপক কোর্স ভিত্তিক শিখন পরিস্থিতি টেকসই ভাবে/গঠনমূলক ভাবে সামাল দিতে হলে দলগত কাজের মাধ্যমে তা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
- গভীর অথচ বিস্তৃত শিখন-উদ্যোগ দলগত কাজের কার্যকর বৈশিষ্ট্য বিশেষ।
দলীয় কাজ পদ্ধতির সম্ভাব্য কৌশল
- দলগত কাজ করাতে হলে শিক্ষককে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব, মেধা, নেতৃত্ব-ক্ষমতা এবং সঙ্গে-সঙ্গে আরো বিবেচনা, পর্যবেক্ষণ, পরিবীক্ষণ ও তদারকীর সম্পৃক্ততায় পুরো শ্রেণিকে আমলে নিতে হবে।
- শিক্ষকের মূল উদ্দীষ্ট হবে কার্যকর শিখন সম্পন্ন করানো।
- এর জন্য শিক্ষক বিভিন্ন দলের আগ্রহ সৃষ্টি, মনোযোগ ধরে রাখা এবং অভিঘাত উপস্থাপনে যত্নবান হবেন।
- শিক্ষককে সচেষ্ট এবং নিশ্চিত হতে হবে যেন দলের প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজের এবং দলের যৌথ কাজে সক্রিয় থাকে। তিনি প্রতি ক্লাসে, শিক্ষাকালের পুরো সময় ধরেই তা করবেন যেন তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য হবে, শুধু একটি ক্লাসে বা সাময়িক সময়ের জন্য না হয়ে বরং শিক্ষা বছর জুড়েই শিক্ষার্থীর আগ্রহ বজায় থাকে; আর অন্তিমে যেন এমন হয় যে, যে-জ্ঞান ও দক্ষতা দলগত কাজে শিক্ষার্থী অর্জন করবে তা তাদের পারঙ্গমতায় যুক্ত হবে।
- আইস ব্রেকিং: শিক্ষক প্রথমে শিক্ষার্থীদের শীতলতা দূর করাবার জন্য বরফ গলানোর কাজটি করতে পারেন; প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বলতে পারেন নিজের পরিচয় দিতে এবং তার ভীতির ও সংকোচের কারণ ব্যক্ত করে তার প্রত্যাশার কথা বলবে।
- তথ্য সংগ্রহ ও সংকলন: প্রত্যেককে প্রথমে নিজের মত করে পাঠ-সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে বলা যায়। এরপর নমুনা যাচাই-বাছাই করে শিক্ষক দলভাগ করতে পারেন এবং ভিন্নভিন্ন দলের বিভিন্ন করণীয় নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
- প্রদত্ত কাজের উদ্দেশ্য থাকবে পঠনীয় বিষয়ের সামগ্রিক খতিয়ান গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চাহিদা নিরূপন। এই চাহিদাই পর্যায়ক্রমে শিখন-ফল হিসেবে বেরিয়ে আসবে, যা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের বছরান্তের কাম্য হবে।
- উপস্থাপন কৌশল: শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের সংশ্লেষে শিক্ষক তাঁর নিজস্ব ভাষণে ও কৌশলে অধিতব্য বিষয়কে ও করণীয়কে উপস্থাপন করবেন। এর জন্য তিনি বোর্ড ব্যবহার থেকে শুরু করে সম্পর্কযুক্ত চিত্র, ম্যাপ, পোস্টার, সম্ভব হলে ঙঐচ বা চঈস্লাইড অথবা পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদির ব্যবহার করতে পারেন অনুরূপ উপস্থাপনার জন্য। অন্তত “মৌখিক উপস্থাপনা”ও উৎসাহ ব্যঞ্জক ও স্বশিক্ষণীয় হতে পারে।
- সমাপনী বক্তব্য: দলীয় কাজের উপস্থাপন সমাপ্তিতে শিক্ষক পর্যালোচনা মূলক এক বা একাধিক বক্তৃতা-উপস্থাপন করবেন। ভাল মনে করলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দিয়েও প্রধান-প্রধান বক্তব্যগুলো বলাতে পারেন।
- বাড়ির কাজ: ক্লাসে নির্ধারিত পাঠ্য-ভিত্তিক প্রকল্প‘কেস স্টাডি’ হিসেবে বাড়ির কাজ দেয়া যায়। ক্লাসে যেগুলো আলোচিত ও পঠিত হয়েছে তার পদ্ধতির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক বা বাৎসরিক পর্যায় ভাগে বাড়ির কাজ করে দলীয়ভাবে ক্লাসে উপস্থিত করতে পারে।
দলীয় কাজ পদ্ধতির সুবিধা
- দলীয় কাজের পদ্ধতিতে কাজে আনন্দ আসে, দলগত সম্প্রীতি গড়ে ওঠে এবং প্রতিযোগিতার স্পৃহা তৈরি হয়, ফলে উৎকর্ষের দিকে শিক্ষার্থীরা যত্নবান হয়।
- কাজে গতি আসে। শিক্ষার মান উন্নয়নে দলগত পদ্ধতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুফল বয়ে আনে।
- বিষয়ের বিশ্লেষণ পুঙ্খানুপুঙ্খ করা সম্ভব হয়, ফলে শিখন শিক্ষার্থীর মনে স্থায়ী হয়।
- দ্রুত কাজ শেষ করা যায় এবং দলগত ঐক্য শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত জীবনে সংঘবদ্ধতার সোপান তৈরি করে।
- হার জিতের ভয় থাকে না, তাই শিক্ষার্থী নিঃশঙ্কোচে কাজ করতে পারে, অন্যের কাছ থেকে বিনা দ্বিধায় শিখতে পারে।
দলীয় কাজ পদ্ধতির অসুবিধা বা সমস্যা
- দলের মধ্যে বিভিন্ন মেধা ও কার্যক্ষমতার শিক্ষার্থী থাকার ফলে এক বা একাধিক জন বেশির ভাগ কাজের বোঝা বহন করে থাকে, ফলে অন্য ক’জনের ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- বিভিন্ন মেজাজ, মানসিকতা ও প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের শিক্ষার্থী থাকার ফলে মতপার্থক্য সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় কাজের সমন্বয়ের অভাব ঘটে। এক দুজনের ভুল বা গাফলতির জন্য পুরো দলের কাজ ঝুলে যেতে পারে।
- দক্ষ ও কর্মশীল কয়েক জন কাজের সিংহ ভাগ সম্পন্ন করতে পারে বলে অন্যদের নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- ক্ষেত্রবিশেষে দলীয় কাজ ব্যয় বহুল হতে পারে এবং তা হয়েও থাকে।
একক কাজ, জোড়ায় এবং দলীয় কাজ প্রসঙ্গে এই নিবন্ধটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত শিক্ষক সহায়িকা,বাউবি প্রকাশিত শিক্ষক ও প্রশিক্ষনার্থী মডিউল এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট অবলম্বনে লেখা।
গণিত শিখনে দলীয় কাজের উপযোগীতা সম্পর্কে কিছু জানতে চাই।