১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণ: ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা, ধাপ

শেহনাজ ইসলাম মুক্তি
  • প্রকাশ: ০৩:০৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪৯৬২৪ বার পড়া হয়েছে

পাঠকে ফলপ্রসূ করার জন্য শিক্ষক পরিস্থিতি অনুসারে একাধিক পদ্ধতি ও কৌশলের সংমিশ্রণে নিজের মতো করে পাঠ পরিচালনা করতে পারেন। পাঠের সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষকের বিচক্ষণতা এবং বিষয়জ্ঞান ও শিখন পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগের উপর।


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানো কার্যক্রম সাফল্যের সাথে পরিচালনার জন্য শিক্ষকের নানাবিধ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো শিক্ষক জন্মগতভাবেই শিক্ষণ দক্ষতাসমূহের অধিকারী। আবার কোনো কোনো শিক্ষক নিজের প্রচেষ্টায় দক্ষতাসমূহ অর্জন করতে সক্ষম হন। অনেক শিক্ষকই আছেন যাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাসমূহ অর্জনের জন্য প্রয়োজন হয় প্রশিক্ষণ বা অনুশীলন। শিক্ষকগণের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন কার্যক্রমও চলে যথাযথ পদ্ধতি ও কৌশলের মাধ্যমে। শিক্ষকগণের শিক্ষণ দক্ষতাসমূহ আয়ত্ত ও আত্মস্থ করার প্রধানতম দুইটি পদ্ধতি হচ্ছে ছদ্মশিক্ষণ ও অণুশিক্ষণ।

ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণ কী?

ছদ্মশিক্ষণ ও অণুশিক্ষণ আসলে শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানোর কোনো পদ্ধতি বা কৌশল নয়। ছদ্মশিক্ষণ ও অণুশিক্ষণ হলো শিক্ষকদের জন্য শিখন-শিক্ষণ দক্ষতাসমূহ অর্জনের দুইটি পদ্ধতি। 

ছদ্মশিক্ষণে একজন শিক্ষার্থী (প্রশিক্ষণার্থী) শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আর কয়েক জন সহপাঠী শিক্ষক শিক্ষার্থীর ভূমিকা গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থী-শিক্ষক নির্দিষ্ট পাঠটি কৃত্রিম শ্রেণি পরিবেশে উপস্থাপনের পর শিক্ষকের আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এভাবে শিক্ষককের সুনির্দিষ্ট দক্ষতা ফলাবর্তন প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা দূরীকরণে শিক্ষকগণের দক্ষতার উন্নয়নে যে পদ্ধতিটির আশ্রয় নেওয়া হয় তা হল অণুশিক্ষণ। 

ছদ্মশিক্ষণ বা সিমুলেশনের ধারণা ও প্রকৃতি

ছদ্মশিক্ষণ ইংরেজি হলো সিমুলেশন (Simulation)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিমান বাহিনীর পাইলটদের ট্রেনিংয়ের জন্য ছদ্মশিক্ষণের নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার শুরু হয়। তবে অনেকের মতে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছদ্মশিক্ষণ জ্ঞানগত ও আবেগিকভাবে শিক্ষার্থীদেরকে তৎপর করতে সক্ষম হয়েছে।

ছদ্মশিক্ষণের কিছু সংজ্ঞা

  • শিখন-শেখানোর যে কৌশল বাস্তব অবস্থার কাছাকাছি একটি কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে কোন বিষয় সম্বন্ধে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৃত ধারণা চিত্রায়নের চেষ্টা করে তাকে ছদ্মশিক্ষণ বলে। এই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক শিক্ষার্থীর, শিক্ষকের এবং মূল্যায়নকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। এতে প্রশিক্ষক সহায়তাকারী ও প্রেষণাদানকারীর ভূমিকা পালন করেন।
  • ছদ্মশিক্ষণ হলো এমন একটি শিক্ষণ কৌশল যা বয়স্ক অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা ও আচরণিক পরিবর্তন আনয়নে সহায়তা করে।
  • “ছদ্মশিক্ষণ হলো বাস্তব পরিস্থিতির একটি সরলীকৃত মডেল।” (চ্যাপিন, ১৯৬৯)। 
  • “ছদ্মশিক্ষণ হলো বাস্তব বিশ্ব পরিস্থিতির অবিকল চিত্র যা শিখনে মূল্যবান। শিক্ষামূলক ছদ্মশিক্ষণ একজন ব্যক্তিকে এ ব্যবস্থার একজন কর্মক্ষম সদস্য হিসেবে সৃষ্টি করে এবং লক্ষ্য স্থিরকরণে, কর্মসূচি প্রণয়নে, তথ্য বিশ্লেষণে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে তোলে (ক্লাইটেস)।”

ছদ্মশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক পরিকল্পিতভাবে পাঠ উপস্থাপন করেন। তার পাঠ উপস্থাপনের দুর্বলতাগুলোকে তারই সহকর্মী প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে শুধরিয়ে নিতে সাহায্য করেন।

একজন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষককে দিয়ে যদি একই বিষয়ে বা বিভিন্ন বিষয়ে ছদ্মশিক্ষণের মাধ্যমে কয়েকটি পাঠ উপস্থাপন করানো যায় এবং ফলাবর্তনের মাধ্যমে তাকে শুধরিয়ে নেওয়া যায় তাহলে শিক্ষক হিসেবে কার্যসম্পাদনের জন্য তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য্য, ধীরস্থির ও গতিশীল মনোভাব সৃষ্টি হবে।

শিক্ষার্থীদের সমস্যা শোনার এবং সমাধানের মানসিকতা সৃষ্টি হবে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষক সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক, পথ প্রদর্শক, পরামর্শক হিসেবে শিখনকে কর্মকেন্দ্রিক করে তোলেন। এই কর্মকেন্দ্রিকতার কারণেইশিক্ষা হয়ে উঠে আনন্দদায়ক ও ক্লান্তিহীন। তথ্য সরবরাহ, তৎপরতা এবং সংশ্লেষণের দরুণ অংশগ্রহণকারীদের অনেকগুলো ইন্দ্রিয়কে এ ব্যবস্থায় শিখনে ব্যবহার করা যায়।

বক্তৃতা ছাড়াও ছদ্মশিক্ষণ প্রশ্নোত্তর, আলোচনা, প্রদর্শন, আরোহী-অবরোহী, শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক প্রভৃতি পদ্ধতি প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান, দক্ষতা, আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সাধিত হতে পারে।

ছদ্মশিক্ষণের সুবিধাসমূহ

  • ছদ্মশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের শিখনে উদ্ধুদ্ধ করে;
  • শিখন ও শিক্ষণের দুর্বলতা বা ত্রুটিগুলো সংশোধনের সুযোগ করে দেয়;
  • অংশগ্রহণকারীদের মাঝে শিখনের প্রতি ধনাত্মক মনোভাব সৃষ্টি করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে মূল্যায়নকারী নিয়োগ করে তাদের গঠনমূলক সমালোচক, কর্তব্যপরায়ণ ও দায়িত্ববান করে তোলে;
  • অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ক্সতরি হয়;
  • পর্যায়ক্রমে সকলকে পাঠদানকারী ও মূল্যায়নকারী বানাতে সহায়তা করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের একাধিক শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশলের সমন্বয় সাধনে উৎসাহিত করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব, দক্ষতার ইতিবাচক পরিবর্তনে সহায়তা করে;
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণমূলক দক্ষতা বৃদ্ধি করে;
  • বিভিন্ন ভূমিকায় অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা সৃষ্টি করে।

ছদ্মশিক্ষণের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা

  • কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে শিক্ষণ কৌশল আয়ত্ত করানোর চেষ্টা করা হয়, তাই অংশগ্রহণকারীগণ প্রকৃত বা বাস্তব অবস্থার তুলনায় কম মনোযোগী হয়;
  • কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠ উপস্থাপনের কারণে বাস্তবতা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের মনে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হতে পারে;
  • অনেক সময় কম সময় বরাদ্দের কারণে আলোচনা ভালোভাবে করা যায় না। ফলে এ পদ্ধতির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয় না;
  • ক্লাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের সম্ভাবনা কমে যায়;
  • শিক্ষক যদি এ পদ্ধতি পরিচালনার উপযোগী প্রস্ততি গ্রহণ না করে শিক্ষণ কাজ পরিচালনা করেন , তবে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না;
  • প্রয়োজনীয় অডিও-ভিজ্যুয়াল সামগ্রীর সহায়তার অভাবে ভালোো ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়;
  • ছদ্মশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের শিখনের আগ্রহকে কোন কোন সময় কমিয়ে দেয়;
  • অংশগ্রহণকারীগণ কোন কোন সময় যথাযথভাবে শিক্ষার্থীর ভূমিকা পালন করতে পারে না। সেক্ষেত্রে কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে;
  • ছদ্মশিক্ষণে কখনো কখনো অন্যান্য শিক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগে গুরুত্ব কমে যায়;
  • অংশগ্রহণকারীগণ সতীর্থ বিধায় তাদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ছদ্মশিক্ষণের চক্রাকার ধাপ

ছদ্মশিক্ষণের মাধ্যমে শিখন-শেখানোর বিভিন্ন কৌশল অর্জনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের নিম্নোক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হয়: 

  • পাঠদান
  • ফলাবর্তন
  • পুনঃপরিকল্পনা  বিষয়বস্ত পরিবর্তন করে পাঠদান
  • পুনঃফলাবর্তন
  • পুনঃপাঠদান
  • পুনঃফলাবর্তন
ছদ্মশিক্ষণে কখনো কখনো অন্যান্য শিক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগে গুরুত্ব কমে যায়

অণুশিক্ষণ পরিচিতি, ধারণা ও প্রকৃতি

মাইক্রো (Micro) শব্দের অর্থ হলো খুব ছোটো বা অণু এবং টিচিং (Teaching) শব্দের অর্থ হলো শিক্ষাদান। মাইক্রো টিচিং (Micro teaching) অর্থ হলো অণুশিক্ষণ।

এ পদ্ধতিতে একজন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক ৫/৬ মিনিট সময়ে শিক্ষাদান অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষণের একটি কৌশল আয়ত্ত করার চেষ্টা করেন। কোনো কোনো সময় একটি কৌশল আয়ত্ত করার জন্য প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষককে বার বার চেষ্টা করতে হয়। শিক্ষক প্রশিক্ষক শিক্ষণ কৌশল প্রয়োগের ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীকে শুধরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

অনুশিক্ষণের সংজ্ঞা

  • এম. সি. নাইট এর মতে, অণুশিক্ষণ হলো এমন এক শিক্ষণ কৌশল যার মধ্যমে বার বার অনুশীলনের দ্বারা নতুন শিক্ষণ দক্ষতা আয়ত্ত এবং পুরাতন দক্ষতাকে উন্নততর করা যায়।
  • অ্যালেন এবং ইভ-এর মতে, নির্দিষ্ট কোন শিক্ষামূলক আচরণে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পাঠদানের নিয়ন্ত্রিত কৌশলকে অণুশিক্ষণ বলে।

শিক্ষণের সবগুলো কৌশল একবারে আয়ত্ত না করে অনুশীলনের মাধ্যমে মাত্র একটি করে কৌশল একবারে আয়ত্ত করতে হয়। 

সমগ্র শিক্ষাদানকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথকভাবে অনুশীলন করাই অণুশিক্ষণ। সুতরাং অণুশিক্ষণ এমন এক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট শিক্ষণ দক্ষতা বারবার অনুশীলন করা যায়।

১৯৬৩ সনে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এ শিক্ষণ পদ্ধতিটি উদ্ভাবিত হয়। পদ্ধতিটির সার্থক প্রয়োগ করতে কিছুটা সময় লাগে। ১৯৬৮ সনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে এ পদ্ধতিটির সার্থক প্রয়োগ শুরু হয় এবং শিক্ষকদের পাঠদানের জন্য ১৪টি দক্ষতা বা কৌশল শনাক্ত করা হয়।

অণুশিক্ষণের দক্ষতাসমূহ

  • ১. পাঠ প্রস্ততি
  • ২. উদ্দীপনার তারতম্য
  • ৩. উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রশ্ন
  • ৪. উচ্চমানের প্রশ্ন
  • ৫.বিভিন্নমুখী প্রশ্ন
  • ৬. প্রশ্নকরণে স্বাচ্ছন্দময়তা
  • ৭.বলবৃদ্ধিকরণ
  • ৮. শিক্ষকের নিরবতা ও ভাষাহীন ইঙ্গিত
  • ৯. মনোযোগী আচরণের স্বীকৃতি
  • ১০.বক্তৃতাকরণ বা বাচনভঙ্গি
  • ১১.বিশদকরণ ও উদাহরণের ব্যবহার
  • ১২. পরিকল্পিত পুনরুক্তি
  • ১৩. সংযোগের সম্পূর্ণতা সাধন
  • ১৪. সমাপ্তিকরণ 

পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফার ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আরও ৪টি দক্ষতাসহ মোট ১৮টি দক্ষতা তালিকাভুক্ত করে। সেগুলো হলো –

  • ১৫. শ্রবণ-দর্শন উপকরণের ব্যবহার
  • ১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের প্রাণবন্ততা
  • ১৭. দলগত আলোচনায় উৎসাহ প্রদান
  • ১৮. শিক্ষকের বিষয়বস্ত ব্যাখ্যা

অণুশিক্ষণের কৌশল বা দক্ষতাসমূহ কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষককে পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। ধাপগুলো হলো –

  • ১. পাঠদান
  • ২. ফলাবর্তন বা ফিডব্যাক
  • ৩. পুনঃপরিকল্পনা
  • ৪. পুনঃপাঠদান
  • ৫. পুনঃফলাবর্তন
অণুশিক্ষণ: এই পদ্ধতিতে কৌশল বা দক্ষতাসমূহ কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষককে পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়

এ ধাপ পাঁচটি চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে।

(আবুল বাশার সম্পাদিত শিক্ষক মডিউল অবলম্বনে সংযোজন-বিয়োজন করে লিখিত)

শেয়ার করুন

One thought on “ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণ: ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা, ধাপ

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণ: ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা, ধাপ

প্রকাশ: ০৩:০৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১

শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানো কার্যক্রম সাফল্যের সাথে পরিচালনার জন্য শিক্ষকের নানাবিধ দক্ষতার প্রয়োজন হয়। কোনো কোনো শিক্ষক জন্মগতভাবেই শিক্ষণ দক্ষতাসমূহের অধিকারী। আবার কোনো কোনো শিক্ষক নিজের প্রচেষ্টায় দক্ষতাসমূহ অর্জন করতে সক্ষম হন। অনেক শিক্ষকই আছেন যাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাসমূহ অর্জনের জন্য প্রয়োজন হয় প্রশিক্ষণ বা অনুশীলন। শিক্ষকগণের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন কার্যক্রমও চলে যথাযথ পদ্ধতি ও কৌশলের মাধ্যমে। শিক্ষকগণের শিক্ষণ দক্ষতাসমূহ আয়ত্ত ও আত্মস্থ করার প্রধানতম দুইটি পদ্ধতি হচ্ছে ছদ্মশিক্ষণ ও অণুশিক্ষণ।

ছদ্মশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণ কী?

ছদ্মশিক্ষণ ও অণুশিক্ষণ আসলে শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানোর কোনো পদ্ধতি বা কৌশল নয়। ছদ্মশিক্ষণ ও অণুশিক্ষণ হলো শিক্ষকদের জন্য শিখন-শিক্ষণ দক্ষতাসমূহ অর্জনের দুইটি পদ্ধতি। 

ছদ্মশিক্ষণে একজন শিক্ষার্থী (প্রশিক্ষণার্থী) শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আর কয়েক জন সহপাঠী শিক্ষক শিক্ষার্থীর ভূমিকা গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থী-শিক্ষক নির্দিষ্ট পাঠটি কৃত্রিম শ্রেণি পরিবেশে উপস্থাপনের পর শিক্ষকের আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এভাবে শিক্ষককের সুনির্দিষ্ট দক্ষতা ফলাবর্তন প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা দূরীকরণে শিক্ষকগণের দক্ষতার উন্নয়নে যে পদ্ধতিটির আশ্রয় নেওয়া হয় তা হল অণুশিক্ষণ। 

ছদ্মশিক্ষণ বা সিমুলেশনের ধারণা ও প্রকৃতি

ছদ্মশিক্ষণ ইংরেজি হলো সিমুলেশন (Simulation)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিমান বাহিনীর পাইলটদের ট্রেনিংয়ের জন্য ছদ্মশিক্ষণের নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার শুরু হয়। তবে অনেকের মতে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছদ্মশিক্ষণ জ্ঞানগত ও আবেগিকভাবে শিক্ষার্থীদেরকে তৎপর করতে সক্ষম হয়েছে।

ছদ্মশিক্ষণের কিছু সংজ্ঞা

  • শিখন-শেখানোর যে কৌশল বাস্তব অবস্থার কাছাকাছি একটি কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে কোন বিষয় সম্বন্ধে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৃত ধারণা চিত্রায়নের চেষ্টা করে তাকে ছদ্মশিক্ষণ বলে। এই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক শিক্ষার্থীর, শিক্ষকের এবং মূল্যায়নকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। এতে প্রশিক্ষক সহায়তাকারী ও প্রেষণাদানকারীর ভূমিকা পালন করেন।
  • ছদ্মশিক্ষণ হলো এমন একটি শিক্ষণ কৌশল যা বয়স্ক অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা ও আচরণিক পরিবর্তন আনয়নে সহায়তা করে।
  • “ছদ্মশিক্ষণ হলো বাস্তব পরিস্থিতির একটি সরলীকৃত মডেল।” (চ্যাপিন, ১৯৬৯)। 
  • “ছদ্মশিক্ষণ হলো বাস্তব বিশ্ব পরিস্থিতির অবিকল চিত্র যা শিখনে মূল্যবান। শিক্ষামূলক ছদ্মশিক্ষণ একজন ব্যক্তিকে এ ব্যবস্থার একজন কর্মক্ষম সদস্য হিসেবে সৃষ্টি করে এবং লক্ষ্য স্থিরকরণে, কর্মসূচি প্রণয়নে, তথ্য বিশ্লেষণে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে তোলে (ক্লাইটেস)।”

ছদ্মশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক পরিকল্পিতভাবে পাঠ উপস্থাপন করেন। তার পাঠ উপস্থাপনের দুর্বলতাগুলোকে তারই সহকর্মী প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে শুধরিয়ে নিতে সাহায্য করেন।

একজন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষককে দিয়ে যদি একই বিষয়ে বা বিভিন্ন বিষয়ে ছদ্মশিক্ষণের মাধ্যমে কয়েকটি পাঠ উপস্থাপন করানো যায় এবং ফলাবর্তনের মাধ্যমে তাকে শুধরিয়ে নেওয়া যায় তাহলে শিক্ষক হিসেবে কার্যসম্পাদনের জন্য তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য্য, ধীরস্থির ও গতিশীল মনোভাব সৃষ্টি হবে।

শিক্ষার্থীদের সমস্যা শোনার এবং সমাধানের মানসিকতা সৃষ্টি হবে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষক সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক, পথ প্রদর্শক, পরামর্শক হিসেবে শিখনকে কর্মকেন্দ্রিক করে তোলেন। এই কর্মকেন্দ্রিকতার কারণেইশিক্ষা হয়ে উঠে আনন্দদায়ক ও ক্লান্তিহীন। তথ্য সরবরাহ, তৎপরতা এবং সংশ্লেষণের দরুণ অংশগ্রহণকারীদের অনেকগুলো ইন্দ্রিয়কে এ ব্যবস্থায় শিখনে ব্যবহার করা যায়।

বক্তৃতা ছাড়াও ছদ্মশিক্ষণ প্রশ্নোত্তর, আলোচনা, প্রদর্শন, আরোহী-অবরোহী, শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক প্রভৃতি পদ্ধতি প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান, দক্ষতা, আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সাধিত হতে পারে।

ছদ্মশিক্ষণের সুবিধাসমূহ

  • ছদ্মশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের শিখনে উদ্ধুদ্ধ করে;
  • শিখন ও শিক্ষণের দুর্বলতা বা ত্রুটিগুলো সংশোধনের সুযোগ করে দেয়;
  • অংশগ্রহণকারীদের মাঝে শিখনের প্রতি ধনাত্মক মনোভাব সৃষ্টি করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে মূল্যায়নকারী নিয়োগ করে তাদের গঠনমূলক সমালোচক, কর্তব্যপরায়ণ ও দায়িত্ববান করে তোলে;
  • অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ক্সতরি হয়;
  • পর্যায়ক্রমে সকলকে পাঠদানকারী ও মূল্যায়নকারী বানাতে সহায়তা করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের একাধিক শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশলের সমন্বয় সাধনে উৎসাহিত করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করে;
  • অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব, দক্ষতার ইতিবাচক পরিবর্তনে সহায়তা করে;
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণমূলক দক্ষতা বৃদ্ধি করে;
  • বিভিন্ন ভূমিকায় অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা সৃষ্টি করে।

ছদ্মশিক্ষণের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা

  • কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে শিক্ষণ কৌশল আয়ত্ত করানোর চেষ্টা করা হয়, তাই অংশগ্রহণকারীগণ প্রকৃত বা বাস্তব অবস্থার তুলনায় কম মনোযোগী হয়;
  • কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠ উপস্থাপনের কারণে বাস্তবতা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের মনে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হতে পারে;
  • অনেক সময় কম সময় বরাদ্দের কারণে আলোচনা ভালোভাবে করা যায় না। ফলে এ পদ্ধতির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয় না;
  • ক্লাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের সম্ভাবনা কমে যায়;
  • শিক্ষক যদি এ পদ্ধতি পরিচালনার উপযোগী প্রস্ততি গ্রহণ না করে শিক্ষণ কাজ পরিচালনা করেন , তবে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না;
  • প্রয়োজনীয় অডিও-ভিজ্যুয়াল সামগ্রীর সহায়তার অভাবে ভালোো ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়;
  • ছদ্মশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের শিখনের আগ্রহকে কোন কোন সময় কমিয়ে দেয়;
  • অংশগ্রহণকারীগণ কোন কোন সময় যথাযথভাবে শিক্ষার্থীর ভূমিকা পালন করতে পারে না। সেক্ষেত্রে কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে;
  • ছদ্মশিক্ষণে কখনো কখনো অন্যান্য শিক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগে গুরুত্ব কমে যায়;
  • অংশগ্রহণকারীগণ সতীর্থ বিধায় তাদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ছদ্মশিক্ষণের চক্রাকার ধাপ

ছদ্মশিক্ষণের মাধ্যমে শিখন-শেখানোর বিভিন্ন কৌশল অর্জনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের নিম্নোক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হয়: 

  • পাঠদান
  • ফলাবর্তন
  • পুনঃপরিকল্পনা  বিষয়বস্ত পরিবর্তন করে পাঠদান
  • পুনঃফলাবর্তন
  • পুনঃপাঠদান
  • পুনঃফলাবর্তন
ছদ্মশিক্ষণে কখনো কখনো অন্যান্য শিক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগে গুরুত্ব কমে যায়

অণুশিক্ষণ পরিচিতি, ধারণা ও প্রকৃতি

মাইক্রো (Micro) শব্দের অর্থ হলো খুব ছোটো বা অণু এবং টিচিং (Teaching) শব্দের অর্থ হলো শিক্ষাদান। মাইক্রো টিচিং (Micro teaching) অর্থ হলো অণুশিক্ষণ।

এ পদ্ধতিতে একজন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক ৫/৬ মিনিট সময়ে শিক্ষাদান অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষণের একটি কৌশল আয়ত্ত করার চেষ্টা করেন। কোনো কোনো সময় একটি কৌশল আয়ত্ত করার জন্য প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষককে বার বার চেষ্টা করতে হয়। শিক্ষক প্রশিক্ষক শিক্ষণ কৌশল প্রয়োগের ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীকে শুধরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

অনুশিক্ষণের সংজ্ঞা

  • এম. সি. নাইট এর মতে, অণুশিক্ষণ হলো এমন এক শিক্ষণ কৌশল যার মধ্যমে বার বার অনুশীলনের দ্বারা নতুন শিক্ষণ দক্ষতা আয়ত্ত এবং পুরাতন দক্ষতাকে উন্নততর করা যায়।
  • অ্যালেন এবং ইভ-এর মতে, নির্দিষ্ট কোন শিক্ষামূলক আচরণে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পাঠদানের নিয়ন্ত্রিত কৌশলকে অণুশিক্ষণ বলে।

শিক্ষণের সবগুলো কৌশল একবারে আয়ত্ত না করে অনুশীলনের মাধ্যমে মাত্র একটি করে কৌশল একবারে আয়ত্ত করতে হয়। 

সমগ্র শিক্ষাদানকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথকভাবে অনুশীলন করাই অণুশিক্ষণ। সুতরাং অণুশিক্ষণ এমন এক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট শিক্ষণ দক্ষতা বারবার অনুশীলন করা যায়।

১৯৬৩ সনে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এ শিক্ষণ পদ্ধতিটি উদ্ভাবিত হয়। পদ্ধতিটির সার্থক প্রয়োগ করতে কিছুটা সময় লাগে। ১৯৬৮ সনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে এ পদ্ধতিটির সার্থক প্রয়োগ শুরু হয় এবং শিক্ষকদের পাঠদানের জন্য ১৪টি দক্ষতা বা কৌশল শনাক্ত করা হয়।

অণুশিক্ষণের দক্ষতাসমূহ

  • ১. পাঠ প্রস্ততি
  • ২. উদ্দীপনার তারতম্য
  • ৩. উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রশ্ন
  • ৪. উচ্চমানের প্রশ্ন
  • ৫.বিভিন্নমুখী প্রশ্ন
  • ৬. প্রশ্নকরণে স্বাচ্ছন্দময়তা
  • ৭.বলবৃদ্ধিকরণ
  • ৮. শিক্ষকের নিরবতা ও ভাষাহীন ইঙ্গিত
  • ৯. মনোযোগী আচরণের স্বীকৃতি
  • ১০.বক্তৃতাকরণ বা বাচনভঙ্গি
  • ১১.বিশদকরণ ও উদাহরণের ব্যবহার
  • ১২. পরিকল্পিত পুনরুক্তি
  • ১৩. সংযোগের সম্পূর্ণতা সাধন
  • ১৪. সমাপ্তিকরণ 

পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফার ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় আরও ৪টি দক্ষতাসহ মোট ১৮টি দক্ষতা তালিকাভুক্ত করে। সেগুলো হলো –

  • ১৫. শ্রবণ-দর্শন উপকরণের ব্যবহার
  • ১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের প্রাণবন্ততা
  • ১৭. দলগত আলোচনায় উৎসাহ প্রদান
  • ১৮. শিক্ষকের বিষয়বস্ত ব্যাখ্যা

অণুশিক্ষণের কৌশল বা দক্ষতাসমূহ কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষককে পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। ধাপগুলো হলো –

  • ১. পাঠদান
  • ২. ফলাবর্তন বা ফিডব্যাক
  • ৩. পুনঃপরিকল্পনা
  • ৪. পুনঃপাঠদান
  • ৫. পুনঃফলাবর্তন
অণুশিক্ষণ: এই পদ্ধতিতে কৌশল বা দক্ষতাসমূহ কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষককে পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়

এ ধাপ পাঁচটি চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে।

(আবুল বাশার সম্পাদিত শিক্ষক মডিউল অবলম্বনে সংযোজন-বিয়োজন করে লিখিত)