০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

নির্দেশনা কাকে বলে? নির্দেশনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কী?

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ০৯:৩৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • / ৬১০৭৪ বার পড়া হয়েছে

নির্দেশনা কাকে বলে? নির্দেশনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কী?


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

নির্দেশনা কী? (What is Direction?) 

পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপক অধস্তনদেরকে যে আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করে, তাকে নির্দেশনা বলে। ব্যবস্থাপক কোন কাজ কখন, কীভাবে সম্পাদন করতে হবে সে সম্পর্কে কর্মীদেরকে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা শুধুমাত্র আদেশ জারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। লক্ষ্য অর্জনের সাথে জড়িত উপদেশ, পরামর্শ অবহিতকরণ, প্ররোচনাদান, আদিষ্ট কাজের তদারকিকরণ ইত্যাদি সবই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত। উর্ধ্বতন ব্যক্তিই অধস্তনদেরকে নির্দেশ দিয়ে থাকে।

নির্দেশনার সংজ্ঞা

ডাব্লিউ. এইচ. নিউম্যান (W.H. Newman)-এর মতে, “নির্দেশনা হলো একজন নির্বাহী কর্তৃক তার অধীনস্তদের প্রতি নির্দেশ জারি করা অথবা কি করতে হবে তার ইঙ্গিত দেওয়া” (Direction is concerned with the way an executive issues instructions to his subordinates and otherwise indicates what should be done.)।

মার্শাল ই. ডিমক (Marshall E. Demok)-এর মতে, “নির্দেশনা হলো প্রশাসনের হৃদপিণ্ড যা কার্য-পরম্পরা নির্ধারণ, আদেশ ও নির্দেশ প্রদান এবং গতিশীল নেতৃত্ব সৃষ্টির সাথে জড়িত।” (The heart of administration is the directing function which involves determining the courses, giving orders and instructions providing a dynamic leadership.)। 

উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, যে প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থাপক তার অধীনস্ত কর্মীদেরকে পরিকল্পনা অনুযায়ী কোনো কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন তাকে নির্দেশনা বলে। নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃদপিণ্ড বলা হয়। 

নির্দেশনার বৈশিষ্ট্য (Features of Direction)

নির্দেশনা প্রক্রিয়ার কতকগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো:

  • প্রক্রিয়া (Process): নির্দেশনা একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদেরকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপক নির্দেশ প্রদান করে থাকে। 
  • যৌক্তিকতা (Logicality): নির্দেশনা অবশ্যই যৌক্তিক বিষয়ে, সময়ে এবং উপায়ে হতে হয়। 
  • পূর্ণাঙ্গতা (Completeness): নির্দেশনা অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ হতে হবে। 
  • লিখিত (Written): ব্যবস্থাপনার নির্দেশ লিখিত হওয়া উচিত। লিখিত নির্দেশের প্রমাণ থাকে। ফলে লিখিত নির্দেশ কেউই অস্বীকার করতে পারে না। 
  • গ্রহণযোগ্যতা (Acceptability): নির্দেশনা কর্মীবৃন্দের নিকট গ্রহণযোগ্য হলে কর্মীরা সেগুলোকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং উৎসাহ নিয়ে বাস্তবায়নে অগ্রসর হবে। 
  • তদারকের অংশ (Part of supervision): নির্দেশনা তদারকির অংশ বিশেষ। 
  • প্রবাহের গতি (Motion): উপরের স্তরের নির্বাহীরা নিচের স্তরের কর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়ে থাকেন। 
  • সহজবোধ্যতা (Easy Understanding): নির্দেশনা অবশ্যই স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হতে হবে।

নির্দেশনার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা (Importance or Necessity of Direction)

কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। এ কারণে নির্দেশনার গুরুত্ব অনেক বেশি। নিচে নির্দেশনার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলো 

  • পরিকল্পনা বাস্তবায়ন (Implementation of plan): পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপদানের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। 
  • কার্যে গতিশীলতা সৃষ্টি (Creation of dynamism in activities): নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানে কার্য সম্পাদনের গতিশীলতা সৃষ্টি করে। 
  • কাজের রূপরেখা নির্ধারণ (Determining guideline of the work): কোন্ কাজ, কিভাবে করা হবে সে সম্পর্কে কর্মীদেরকে পুরোপুরি ধারণা দেয়া হয় নির্দেশনার মাধ্যমেই। 
  • দক্ষতা বৃদ্ধি (Increasing efficiency): নির্দেশনার মাধ্যমে অধস্তন কর্মী কার্য সম্পাদনের সঠিক রীতি-পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হতে পারে বিধায় কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। 
  • প্রেষণা দান (Development of communication): নির্দেশনার মাধ্যমেই উপরওয়ালা কর্মীদেরকে কার্য সম্পাদনে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। 
  • যোগাযোগের উন্নয়ন (Development of communication): নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মীদের সাথে ব্যবস্থাপকদের কার্যকর যোগাযোগ হয় বিধায় এতে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটে। 
  • দ্রুত কার্য সম্পদন (Rapid performance): নির্দেশনায় কার্য সম্পাদনের পূর্ণ নিয়মকানুন উল্লেখ থাকে। কর্মীরা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে দ্রুত কার্য সম্পাদন করতে পারে। 
  • উত্তম কার্য পরিবেশ সৃষ্টি (Creation of good working environment): নির্দেশনার যথার্থ প্রয়োগ সুষ্ঠু কার্য সম্পাদন ও উত্তম কার্য-পরিবেশ সৃষ্টির সহায়ক। 
  • সহজ নিয়ন্ত্রণ (Easy controlling): নির্দেশনার মাধ্যমে সকল খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কে কর্মীদেরকে অবহিত করা হয় বিধায় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ কাজ সহজ হয়।

পাঠসংক্ষেপ

প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের সাথে জড়িত উপদেশ, পরামর্শ, ইচ্ছার প্রকাশ, অবহিতকরণ, প্ররোচনাদান, আদিষ্ট কাজের তদারকিকরণ ইত্যাদি সবই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত। কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। নির্দেশনাহীন কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অবস্থাটা অনেকটা চালকবিহীন গাড়িতে বসে থাকার মতো। নির্দেশনা অবশ্যই যৌক্তিক বিষয়ে, সময়ে এবং উপায়ে হতে হয়। যুক্তিসঙ্গত নির্দেশনা প্রতিপালন এবং অনুসরণ করা অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য। অযৌক্তিক কোনো আদেশ ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা সম্পর্কে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। নির্দেশনা তদারকের অংশ বিশেষ। তদারকের অংশ হিসেবে নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনে বিরাট ভূমিকা পালন করে। নির্দেশনা অবশ্যই স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হতে হবে, অন্যথায় কর্মীদের মধ্যে নির্দেশ বাস্তবায়নে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সহজ নির্দেশ প্রতিপালনও সহজতর হয়।

শেয়ার করুন

One thought on “নির্দেশনা কাকে বলে? নির্দেশনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কী?

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

নির্দেশনা কাকে বলে? নির্দেশনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কী?

প্রকাশ: ০৯:৩৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

নির্দেশনা কী? (What is Direction?) 

পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপক অধস্তনদেরকে যে আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করে, তাকে নির্দেশনা বলে। ব্যবস্থাপক কোন কাজ কখন, কীভাবে সম্পাদন করতে হবে সে সম্পর্কে কর্মীদেরকে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা শুধুমাত্র আদেশ জারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। লক্ষ্য অর্জনের সাথে জড়িত উপদেশ, পরামর্শ অবহিতকরণ, প্ররোচনাদান, আদিষ্ট কাজের তদারকিকরণ ইত্যাদি সবই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত। উর্ধ্বতন ব্যক্তিই অধস্তনদেরকে নির্দেশ দিয়ে থাকে।

নির্দেশনার সংজ্ঞা

ডাব্লিউ. এইচ. নিউম্যান (W.H. Newman)-এর মতে, “নির্দেশনা হলো একজন নির্বাহী কর্তৃক তার অধীনস্তদের প্রতি নির্দেশ জারি করা অথবা কি করতে হবে তার ইঙ্গিত দেওয়া” (Direction is concerned with the way an executive issues instructions to his subordinates and otherwise indicates what should be done.)।

মার্শাল ই. ডিমক (Marshall E. Demok)-এর মতে, “নির্দেশনা হলো প্রশাসনের হৃদপিণ্ড যা কার্য-পরম্পরা নির্ধারণ, আদেশ ও নির্দেশ প্রদান এবং গতিশীল নেতৃত্ব সৃষ্টির সাথে জড়িত।” (The heart of administration is the directing function which involves determining the courses, giving orders and instructions providing a dynamic leadership.)। 

উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, যে প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থাপক তার অধীনস্ত কর্মীদেরকে পরিকল্পনা অনুযায়ী কোনো কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন তাকে নির্দেশনা বলে। নির্দেশনাকে প্রশাসনের হৃদপিণ্ড বলা হয়। 

নির্দেশনার বৈশিষ্ট্য (Features of Direction)

নির্দেশনা প্রক্রিয়ার কতকগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো:

  • প্রক্রিয়া (Process): নির্দেশনা একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদেরকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপক নির্দেশ প্রদান করে থাকে। 
  • যৌক্তিকতা (Logicality): নির্দেশনা অবশ্যই যৌক্তিক বিষয়ে, সময়ে এবং উপায়ে হতে হয়। 
  • পূর্ণাঙ্গতা (Completeness): নির্দেশনা অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ হতে হবে। 
  • লিখিত (Written): ব্যবস্থাপনার নির্দেশ লিখিত হওয়া উচিত। লিখিত নির্দেশের প্রমাণ থাকে। ফলে লিখিত নির্দেশ কেউই অস্বীকার করতে পারে না। 
  • গ্রহণযোগ্যতা (Acceptability): নির্দেশনা কর্মীবৃন্দের নিকট গ্রহণযোগ্য হলে কর্মীরা সেগুলোকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং উৎসাহ নিয়ে বাস্তবায়নে অগ্রসর হবে। 
  • তদারকের অংশ (Part of supervision): নির্দেশনা তদারকির অংশ বিশেষ। 
  • প্রবাহের গতি (Motion): উপরের স্তরের নির্বাহীরা নিচের স্তরের কর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়ে থাকেন। 
  • সহজবোধ্যতা (Easy Understanding): নির্দেশনা অবশ্যই স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হতে হবে।

নির্দেশনার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা (Importance or Necessity of Direction)

কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। এ কারণে নির্দেশনার গুরুত্ব অনেক বেশি। নিচে নির্দেশনার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলো 

  • পরিকল্পনা বাস্তবায়ন (Implementation of plan): পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপদানের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। 
  • কার্যে গতিশীলতা সৃষ্টি (Creation of dynamism in activities): নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানে কার্য সম্পাদনের গতিশীলতা সৃষ্টি করে। 
  • কাজের রূপরেখা নির্ধারণ (Determining guideline of the work): কোন্ কাজ, কিভাবে করা হবে সে সম্পর্কে কর্মীদেরকে পুরোপুরি ধারণা দেয়া হয় নির্দেশনার মাধ্যমেই। 
  • দক্ষতা বৃদ্ধি (Increasing efficiency): নির্দেশনার মাধ্যমে অধস্তন কর্মী কার্য সম্পাদনের সঠিক রীতি-পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হতে পারে বিধায় কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। 
  • প্রেষণা দান (Development of communication): নির্দেশনার মাধ্যমেই উপরওয়ালা কর্মীদেরকে কার্য সম্পাদনে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। 
  • যোগাযোগের উন্নয়ন (Development of communication): নির্দেশনার মাধ্যমে কর্মীদের সাথে ব্যবস্থাপকদের কার্যকর যোগাযোগ হয় বিধায় এতে পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটে। 
  • দ্রুত কার্য সম্পদন (Rapid performance): নির্দেশনায় কার্য সম্পাদনের পূর্ণ নিয়মকানুন উল্লেখ থাকে। কর্মীরা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে দ্রুত কার্য সম্পাদন করতে পারে। 
  • উত্তম কার্য পরিবেশ সৃষ্টি (Creation of good working environment): নির্দেশনার যথার্থ প্রয়োগ সুষ্ঠু কার্য সম্পাদন ও উত্তম কার্য-পরিবেশ সৃষ্টির সহায়ক। 
  • সহজ নিয়ন্ত্রণ (Easy controlling): নির্দেশনার মাধ্যমে সকল খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কে কর্মীদেরকে অবহিত করা হয় বিধায় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ কাজ সহজ হয়।

পাঠসংক্ষেপ

প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের সাথে জড়িত উপদেশ, পরামর্শ, ইচ্ছার প্রকাশ, অবহিতকরণ, প্ররোচনাদান, আদিষ্ট কাজের তদারকিকরণ ইত্যাদি সবই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত। কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। নির্দেশনাহীন কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অবস্থাটা অনেকটা চালকবিহীন গাড়িতে বসে থাকার মতো। নির্দেশনা অবশ্যই যৌক্তিক বিষয়ে, সময়ে এবং উপায়ে হতে হয়। যুক্তিসঙ্গত নির্দেশনা প্রতিপালন এবং অনুসরণ করা অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য। অযৌক্তিক কোনো আদেশ ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা সম্পর্কে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। নির্দেশনা তদারকের অংশ বিশেষ। তদারকের অংশ হিসেবে নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনে বিরাট ভূমিকা পালন করে। নির্দেশনা অবশ্যই স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হতে হবে, অন্যথায় কর্মীদের মধ্যে নির্দেশ বাস্তবায়নে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সহজ নির্দেশ প্রতিপালনও সহজতর হয়।