কবি কামিনী রায় এবং তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী
- প্রকাশ: ০৪:৩৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
- / ১০৪২৯ বার পড়া হয়েছে
কামিনী রায় ছিলেন একজন প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী ও নারীবাদী লেখিকা এবং ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব।
কামিনী রায় ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিরর বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের (বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলা) বাসন্ডা গ্রামে কামিনী রায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চন্ডীচরণ সেন ছিলেন একজন ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখক ও পেশায় বিচারক। কামিনী রায় ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী, ভাবুক ও কল্পনাপ্রবণ।
কামিনী রায় কলকাতার বেথুন ফিমেল স্কুল থেকে ১৮৮০ সালে এন্ট্রান্স (প্রবেশিকা) এবং বেথুন কলেজ থেকে ১৮৮৩ সালে ফার্স্ট আর্টস (এফএ) এবং ১৮৮৬ সালে সংস্কৃতে অনার্সসহ ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) পাস করেন।
কামিনী রায় বিএ সম্পন্ন করে ১৮৮৬ সালে বেথুন কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে অধ্যাপক হন।
১৮৯৪ সালে স্ট্যাটিউটরি সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়ের সঙ্গে কামিনী রায়ের বিয়ে হয়। মূলত, কেদারনাথ কামিনীর কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
কামিনী রায়ের সাহিত্যচর্চা
কামিনী রায় মাত্র আট বছর বয়স থেকে কবিতা লেখা শুরু করেন। সাহিত্যচর্চার পাশাপশি কামিনী রায় সাংস্কৃতিক ও জনহিতকর, বিশেষত নারীকল্যাণমূলক কাজেও আত্মনিয়োগ করেন।
কামিনী রায় একসময় ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’ ছদ্মনামে লিখতেন।
কামিনী রায় নারীশ্রমিক তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য (১৯২২-২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে সাহিত্য শাখার সভানেত্রী (১৯৩০) এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ-এর সহসভাপতি (১৯৩২-৩৩) ছিলেন।
কামিনী রায়ের পনেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আলো ও ছায়া’ প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ সালে। কামিনী রায়ের ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থের ভূমিকা লেখেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গ্রন্থে প্রথম দিকে কবির নাম প্রকাশিত হয়নি।
কামিনী রায়ের লেখা কাব্যগ্রন্থ
- আলো ও ছায়া (১৮৮৯)
- নির্মাল্য (১৮৯১)
- পৌরাণিকী (১৮৯৭)
- গুঞ্জন (শিশুকাব্য, ১৯০৫)
- ধর্ম্মপুত্র (অনুবাদ, ১৯০৭)
- মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)
- অশোকসঙ্গীত (সনেট, ১৯১৪)
- অম্বা (নাটক, ১৯১৫)
- বালিকা শিক্ষার আদর্শ (১৯১৮)
- ঠাকুরমার চিঠি (১৯২৪)
- দীপ ও ধূপ (১৯২৯)
- জীবনপথে (সনেট, ১৯৩০)
- একলব্য
- দ্রোণ-ধৃষ্টদ্যুম্ন
- শ্রাদ্ধিকী
কামিনী রায়ের সাহিত্যজীবনে প্রভাব
১৯০৯ সালে কামিনী রায়ের স্বামিবিয়োগ ঘটে। স্বামীর এ অকাল মৃত্যু তাঁর ব্যক্তিজীবনের মতো সাহিত্যিক জীবনকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তবে তাঁর কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাব সর্বাধিক। তিনি যেহেতু সংস্কৃতে পন্ডিত ছিলেন, সেহেতু সংস্কৃত সাহিত্যের বিষয় অবলম্বনে রচিত তাঁর কবিতাগুলি অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট মানের।
কামিনী রায়ের কবিতায় জীবনের সাধারণ ঘটনাবলি হূদয়ের সুকুমার অনুভূতির মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
পদক ও শেষজীবন
কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩) কবি ও সমাজকর্মী।
কামিনী রায় ছিলেন একজন প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী ও নারীবাদী লেখিকা এবং ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব।
কামিনী রায় ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের বাসন্ডা গ্রামে কামিনী রায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চন্ডীচরণ সেন ছিলেন একজন ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখক ও পেশায় বিচারক। কামিনী রায় ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী, ভাবুক ও কল্পনাপ্রবণ।
কামিনী রায় কলকাতার বেথুন ফিমেল স্কুল থেকে ১৮৮০ সালে এন্ট্রান্স (প্রবেশিকা) এবং বেথুন কলেজ থেকে ১৮৮৩ সালে ফার্স্ট আর্টস (এফএ) এবং ১৮৮৬ সালে সংস্কৃতে অনার্সসহ ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) পাস করেন।
কামিনী রায় বিএ সম্পন্ন করে ১৮৮৬ সালে বেথুনে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে অধ্যাপক হন।
১৮৯৪ সালে স্ট্যাটিউটরি সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়ের সঙ্গে কামিনী রায়ের বিয়ে হয়।
কামিনী রায়ের সাহিত্যচর্চা
কামিনী রায় মাত্র আট বছর বয়স থেকে কবিতা লেখা শুরু করেন। সাহিত্যচর্চার পাশাপশি কামিনী রায় সাংস্কৃতিক ও জনহিতকর, বিশেষত নারীকল্যাণমূলক কাজেও আত্মনিয়োগ করেন।
কামিনী রায় একসময় ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’ ছদ্মনামে লিখতেন।
কামিনী রায় নারীশ্রমিক তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য (১৯২২-২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে সাহিত্য শাখার সভানেত্রী (১৯৩০) এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ-এর সহসভাপতি (১৯৩২-৩৩) ছিলেন।
কামিনী রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ সালে। কামিনী রায়ের ‘আলো ও ছায়া’ কাব্যগ্রন্থের ভূমিকা লেখেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
কামিনী রায়ের লেখা কাব্যগ্রন্থ
- আলো ও ছায়া (১৮৮৯)
- নির্মাল্য (১৮৯১)
- পৌরাণিকী (১৮৯৭)
- গুঞ্জন (শিশুকাব্য, ১৯০৫)
- ধর্ম্মপুত্র (অনুবাদ, ১৯০৭)
- মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)
- অশোকসঙ্গীত (সনেট, ১৯১৪)
- অম্বা (নাটক, ১৯১৫)
- বালিকা শিক্ষার আদর্শ (১৯১৮)
- ঠাকুরমার চিঠি (১৯২৪)
- দীপ ও ধূপ (১৯২৯)
- জীবনপথে (সনেট, ১৯৩০)
- একলব্য
- দ্রোণ-ধৃষ্টদ্যুম্ন
- শ্রাদ্ধিকী
কামিনী রায়ের সাহিত্যজীবনে প্রভাব
১৯০৯ সালে কামিনী রায়ের স্বামিবিয়োগ ঘটে। স্বামীর এ অকাল মৃত্যু তাঁর ব্যক্তিজীবনের মতো সাহিত্যিক জীবনকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তবে তাঁর কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাব সর্বাধিক। তিনি যেহেতু সংস্কৃতে পন্ডিত ছিলেন, সেহেতু সংস্কৃত সাহিত্যের বিষয় অবলম্বনে রচিত তাঁর কবিতাগুলি অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট মানের।
কামিনী রায়ের কবিতায় জীবনের সাধারণ ঘটনাবলি হূদয়ের সুকুমার অনুভূতির মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
পদক ও সম্মাননা
- ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কামিনী রায়কে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ প্রদান করে সম্মানিত করে।
- ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
- ১৯৩২-৩৩ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ-সভাপতি ছিলেন কামিনী রায়।
শেষ জীবন
শেষ জীবনে কবি কামিনী রায় ঢাকার হাজারীবাগে বাস করতেন।
১৯৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কামিনী রায় মৃত্যুবরণ করেন।