০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা কী? প্রথাবহির্ভুত শিক্ষার সংজ্ঞা এবং বৈশিষ্ট্য কী কী?

বিশ্লেষণ সংকলন টিম
  • প্রকাশ: ০২:৪০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • / ৭৬৭০ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষা কী? শিক্ষার সংজ্ঞা, ধারণা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য


Google News
বিশ্লেষণ-এর সর্বশেষ নিবন্ধ পড়তে গুগল নিউজে যোগ দিন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এবং স্বল্পমূল্যে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার সংজ্ঞা এবং এর বৈশিষ্ট্য এখানে খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।

প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা কী?

শিক্ষাবিদ জে. পি. নায়েকের মতে, “নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বাইরে সংগঠিত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা বলে”। প্রথাগত বিদ্যালয়ের বাইরে সংগঠিত একটি ধারাবাহিক শিখন প্রক্রিয়া প্রক্রিয়া হলো প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা। প্রথাগত শিক্ষা অর্জিত হয় সাধারণ ও আনুষ্ঠানিক বা প্রথাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে তবে শিখনের জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশ ও পরিস্থিতি নির্ধারিত থাকে। প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক, উভয়েই গ্রহণ করতে পারে।

প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো—

  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার কর্মসূচি হবে প্রয়ােজনভিত্তিক।
  • প্রথাবহির্ভুত শিক্ষায় সকল বয়সের শিক্ষার্থীদের চাহিদার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
  • প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় সময়, স্থান, ব্যাপ্তি, হাজিরা, পাঠ্যসূচি, পদ্ধতি এবং মূল্যায়ন প্রভৃতি দিক থেকে অত্যন্ত নমনীয়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক উভয় ক্ষেত্রের ওপর পাঠদান বা কর্মসূচি গ্রহণের ব্যবস্থা থাকে।
  • ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ, একে অনেক সময় শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ বলে।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকে না।
  • প্রথাবহির্ভুত শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজের কাজের ফাকে যে-কোনাে সময়ে পড়াশােনা করতে পারে।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনাে রকমের নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকেনা।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার পঠনপাঠন চার দেয়ালে ঘেরা কোনাে নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় না।
  • প্রথাগত শিক্ষার তুলনায় প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার খরচ অনেক কম। অনেক সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিনামূল্যে এই শিক্ষা পাওয়া যায়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী আলাদা আলাদা পাঠক্রম নির্বাচন করতে পারে।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মতাে কঠোর নয়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় যেহেতু শিক্ষার্থীর বয়সজনিত কোনাে বাধা নেই, শিক্ষার্থী তাই জীবনব্যাপী পড়াশােনা করতে পারে এবং এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে সারাজীবন ধরে নতুন নতুন তথ্য ও জ্ঞান অর্জনের সুযােগ পায়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় স্টাডি মেটিরিয়াল বিশেষভাবে প্রস্তুত করে এবং বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়ে শিক্ষার্থীর কাছে পাঠানাে হয়।

এটি  সত্য যে, প্রথাগত বা বিধিবদ্ধ বা আনুষ্ঠানিক (Formal) শিক্ষার সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রথাবহির্ভূত বা প্রথামুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও এই শিক্ষাব্যবস্থাও ত্রুটিমুক্ত নয়। প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা ত্রুটিমুক্ত না হলেও সমাজের বা দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার তথ্য সংরক্ষিত রাখুন

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা কী? প্রথাবহির্ভুত শিক্ষার সংজ্ঞা এবং বৈশিষ্ট্য কী কী?

প্রকাশ: ০২:৪০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার সংজ্ঞা এবং এর বৈশিষ্ট্য এখানে খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।

প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা কী?

শিক্ষাবিদ জে. পি. নায়েকের মতে, “নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বাইরে সংগঠিত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা বলে”। প্রথাগত বিদ্যালয়ের বাইরে সংগঠিত একটি ধারাবাহিক শিখন প্রক্রিয়া প্রক্রিয়া হলো প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা। প্রথাগত শিক্ষা অর্জিত হয় সাধারণ ও আনুষ্ঠানিক বা প্রথাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে তবে শিখনের জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশ ও পরিস্থিতি নির্ধারিত থাকে। প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক, উভয়েই গ্রহণ করতে পারে।

প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য

প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো—

  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার কর্মসূচি হবে প্রয়ােজনভিত্তিক।
  • প্রথাবহির্ভুত শিক্ষায় সকল বয়সের শিক্ষার্থীদের চাহিদার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
  • প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় সময়, স্থান, ব্যাপ্তি, হাজিরা, পাঠ্যসূচি, পদ্ধতি এবং মূল্যায়ন প্রভৃতি দিক থেকে অত্যন্ত নমনীয়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক উভয় ক্ষেত্রের ওপর পাঠদান বা কর্মসূচি গ্রহণের ব্যবস্থা থাকে।
  • ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ, একে অনেক সময় শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ বলে।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকে না।
  • প্রথাবহির্ভুত শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজের কাজের ফাকে যে-কোনাে সময়ে পড়াশােনা করতে পারে।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনাে রকমের নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকেনা।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার পঠনপাঠন চার দেয়ালে ঘেরা কোনাে নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় না।
  • প্রথাগত শিক্ষার তুলনায় প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার খরচ অনেক কম। অনেক সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিনামূল্যে এই শিক্ষা পাওয়া যায়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী আলাদা আলাদা পাঠক্রম নির্বাচন করতে পারে।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় মূল্যায়ন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মতাে কঠোর নয়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় যেহেতু শিক্ষার্থীর বয়সজনিত কোনাে বাধা নেই, শিক্ষার্থী তাই জীবনব্যাপী পড়াশােনা করতে পারে এবং এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে সারাজীবন ধরে নতুন নতুন তথ্য ও জ্ঞান অর্জনের সুযােগ পায়।
  • প্রথাবহির্ভূত শিক্ষায় স্টাডি মেটিরিয়াল বিশেষভাবে প্রস্তুত করে এবং বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়ে শিক্ষার্থীর কাছে পাঠানাে হয়।

এটি  সত্য যে, প্রথাগত বা বিধিবদ্ধ বা আনুষ্ঠানিক (Formal) শিক্ষার সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রথাবহির্ভূত বা প্রথামুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও এই শিক্ষাব্যবস্থাও ত্রুটিমুক্ত নয়। প্রথাবহির্ভুত শিক্ষা ত্রুটিমুক্ত না হলেও সমাজের বা দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।