শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ও সুরক্ষা
- প্রকাশ: ১০:৪৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
- / ৬৬৭ বার পড়া হয়েছে
কয়েক দশক আগেও অর্থনীতিতে বাংলাদেশি নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণের ক্ষেত্র কম থাকলেও বর্তমানে নারীরাই আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছেন। দেশ ও জাতীয় উন্নয়নে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে নারীর অংশগ্রহণ। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহযোগিতা করা এবং কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করাসহ দেশের প্রবৃদ্ধির উন্নয়নেও নারীরা অবদান রাখছেন।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ৪ শতাংশ, ৮০-র দশকে এই হার ছিল ৮ শতাংশ, ৯০-এর দশকের শেষে ২৩ শতাংশ, ২০১৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ।
নারীর কর্মসংস্থান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শিল্প খাতে এই বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য। শিল্প খাতে বর্তমানে নারীর অংশগ্রহণ ৪৪ শতাংশ এবং রপ্তানিমুখী শিল্পে নারী শ্রমিকের চাহিদা ও অংশগ্রহণ সর্বাধিক। তৈরি পোশাকশিল্প, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া, হস্ত শিল্পজাত দ্রব্য, চা ও তামাক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে নারী শ্রমিকেরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশের উৎস পোশাক খাত। পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী এবং তারাই পোশাকশিল্পের মূল চালিকাশক্তি। জিডিপিতে বা জাতীয় আয়ে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদান শতকরা ৩৪ ভাগের বেশি, যা অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন আমাদের নারী শ্রমিকেরা। পোশাকশিল্পের নারীরাই আমাদের গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করেছেন। শুধু জাতীয় অর্থনীতিতে নয়, এই শিল্পের নারীরা সামাজিক প্রেক্ষাপটেও ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন। যদিও আমরা মনে করি, গ্রামীণ নারীরা শহুরে নারীদের থেকে পিছিয়ে আছে, গ্রামীণ নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার শহরের নারীর তুলনায় বেশি। পোশাকশিল্পে কর্মরত স্বল্প ও কম শিক্ষিত নারী শ্রমিকেরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করেছেন। আবার এই পোশাকশিল্পকে কেন্দ্র করে ব্যাংক, বিমা, পরিবহন, পর্যটনশিল্পও বিকাশ লাভ করেছে ক্রমান্বয়ে।
পোশাক খাত ছাড়াও এখন হোটেল, রিয়েল স্টেট, সেবা, টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংকিং, প্রবাসে চাকরিসহ বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পোশাকশিল্পের পরেই প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নারী শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ২০১৯ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৮৬ জন, ২০২০ সালে মহামারির মধ্যেও ২১ হাজার ৯৩৪ জন নারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের সন্ধানে গিয়েছেন। ২০২১ সালে কাজ নিয়ে বিদেশ গিয়েছেন ৮০ হাজার ১৪৩ জন নারী। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬ জন নারী প্রবাসে কাজ করতে গেছেন। যেহেতু অভিবাসন খরচ তুলনামূলক কম, তাই বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি নারী শ্রমিক যাওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, ফলে বেড়েছে নারী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স পাঠানোর হারও। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) তথ্যমতে, করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। সংস্হাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালীন নারী শ্রমিকরা পাঠিয়েছেন মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬৯ শতাংশ, আর পুরুষ কর্মীরা পাঠিয়েছেন মাত্র ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশের চা-শিল্পেও নারী শ্রমিকদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চা-বাগানগুলোতে কাজ করা ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি শ্রমিকের ৭০ ভাগই নারী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘সার্ভে অব ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ’ (এসএমআই, ২০১৯) জরিপ অনুযায়ী বড় আকারের শিল্পকারখানায় পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় এখন নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। এ ধরনের কারখানার শ্রমিকদের প্রায় ৫৫ শতাংশ নারী। শিল্প-কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের ৫৯ শতাংশ স্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করেন এবং এই স্থায়ী শ্রমিকদের ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশই নারী। আবার বিভিন্ন কলকারখানায়ও নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
কৃষি খাতেও নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। কৃষি তথ্য সার্ভিসের হিসাব অনুসারে দেশে মোট কর্মক্ষম নারীর মধ্যে কৃষিকাজে নিয়োজিত নারীর সংখ্যা ৭১.৫ শতাংশ। তবে এসব নারীর অধিকাংশই স্বামী বা শ্বশুরের জমিতে কৃষিকাজ করেন। এসব নারীর শ্রম দেশের প্রবৃদ্ধিতে যোগ হলেও তাদের শ্রমের জন্য কোনো বেতন বা অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। বিবিএসের হিসাব অনুসারে বাংলাদেশে সরাসরি আয়মূলক কাজে জড়িত নারীর সংখ্যা ৩৬ শতাংশ, আর গৃহস্থালির কাজ করা ৬৪ শতাংশ নারীকে শ্রমশক্তি হিসাবে ধরা হয় না। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় আয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় না, নারীদের এমন কাজের আনুমানিক বার্ষিক মূল্য জিডিপির প্রায় ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশের সমপরিমাণ। সরকারি হিসাবে জিডিপিতে নারীর অবদান ৩০ শতাংশ। সংসারের ভেতর ও বাইরের কাজের মূল্য যোগ হলে সিপিডির হিসাব অনুযায়ী জিডিপিতে নারীর অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশে। অর্থাৎ, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের অবদান হবে সমান সমান।
আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তারাও। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৩ লাখ মানুষ অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা। বিগত কয়েক বছরে ২১টি জেলায় প্রায় ১০ হাজার ৫০০ জন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও নারীদের পদচারণা লক্ষণীয়। নারীরা শিক্ষক, নির্মাণকর্মী, বিজ্ঞানী, ব্যাংকার, শিল্পী, সংবাদকর্মী ইত্যাদি পেশাতেও যুক্ত আছেন। অনেক নারী গৃহকর্মী হিসেবেও কাজ করছেন। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী দেশে স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে ৯ লাখ নারী গৃহকর্মীরা কাজ করছেন। বিনোদন ও শিল্পকর্মে নিয়োজিত আছেন প্রায় ৯ হাজার নারী। ব্যাংক, বিমাসহ আর্থিক খাতে কাজ করেন ৭০ হাজার নারী। শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত আছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ নারী। প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে নারীর জন্য ৬০ শতাংশ কোটা থাকলেও সেই সীমারেখা বেশ আগে অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ। অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ শতাংশ এর মতো শিক্ষক নারী। প্রশাসন ক্যাডারে আছেন ২৬ শতাংশ নারী। আবার সেবা খাতে ৩৭ লাখ নারী কর্মরত। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট নার্সের ৯০ দশমিক ৬ শতাংশই নারী। পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত নারীর সংখ্যা ১৫ হাজার ১৬৩ জন। এছাড়া নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ নারী কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।
অর্থনীতিতে নারীর উল্লেখযোগ্য অবদান থাকলেও অর্থের সুষম বণ্টনে নারীর অধিকার কতখানি তা প্রশ্নবিদ্ধ। গ্লোবাল ফিল্ড ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ক্ষেত্রে পুরুষের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ৩৫ শতাংশ। নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীদের ক্ষেত্রে এই অবস্থা আরো শোচনীয়। ব্যাংক ওএমএফএস সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের হার তুলনামূলকভাবে কম।
কর্মজীবী নারীদের অনেক বাধা পেরিয়ে কাজে অংশগ্রহণ করতে হয়। নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় ও নারীবান্ধব নীতির কারণে আমাদের নারীরা শ্রমবাজারে অংশগ্রহণে অধিকতর আগ্রহী হচ্ছেন। তথ্য-উপাত্ত বলছে, প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ নারী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে যুক্ত হচ্ছেন। কর্মক্ষম জনশক্তির (প্রায় ১১ কোটি মানুষ যারা ১৫ বছরের বেশি) অর্ধেক নারী হলেও কর্মবাজারে সক্রিয় আছেন ২ কোটি নারী। শ্রমবাজারের বাইরে থাকা ৩ কোটির বেশি নারী কর্মবাজারে যুক্ত হলে দেশের মোট জিডিপিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি যোগ হবে।
বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। খাদ্যনিরাপত্তা, নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ডেলটা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে নারীদের সমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১-এর আলোকে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করা যাবে।
বিগত এক দশকে বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়ন বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পেছনে নারীরা মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। সরকারের যুগোপযোগী দর্শন ও নারীবান্ধব নীতি নারীকে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে। তাই গত এক দশকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বাড়তি শ্রমশক্তির মধ্যে ৫০ লাখ ছিলেন নারী। রাজনৈতিক দর্শন স্থিতিশীল থাকলে এবং সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে সমতায়ন নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতিতে নারীদের অবদান আরো বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের বাংলাদেশের নারীরা শ্রমবাজারে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন বলেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখনো কর্মক্ষেত্রে কিছু বাধা, অন্যাঘ্যতা রয়ে গেছে। অনেক জায়গায় নারী-পুরুষের বেতনবৈষম্য রয়েছে, নারীর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। কর্মজীবী মায়েদের সন্তানের জন্য ডে-কেয়ার সুবিধা খুবই সীমিত। কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত টয়লেটের সুবিধা কিংবা নারীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্হা নেই। সব কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রোধে সেল নেই। তাই শ্রমবাজারে নারীর সুরক্ষা ও ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিতে বেতনবৈষম্য কমাতে হবে, পর্যাপ্ত ডে-কেয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে, নারীদের জন্য পৃথক গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে এবং যৌন হয়রানি নির্মূলে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রযুক্তির নারীদের ব্যবহারে সাবলীল ও সক্ষম করতে হবে।
বিদেশে যেসব নারীকর্মী কাজে যেতে ইচ্ছুক তাদের যোগ্য করে শ্রমবাজারে পাঠানোর ওপর জোর দিতে হবে। প্রবাসে কর্মরত নারীদের সুরক্ষাব্যবস্হা আরো টেকসই করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসে কর্মরত নারীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তারব্যবস্হা নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে দূতাবাসগুলোতে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়াতে হবে। কোভিডকালীন দুঃসময়ে আমাদের কর্মজীবী নারীরা অসীম সাহস আর ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে গেছেন বলেই আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। আমাদের মনে রাখতে হবে জনসংখ্যার অর্ধেক নারীরাই আমাদের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের বড় অংশীদার, তাই তাদের সুরক্ষায় বিদ্যমান নীতিমালাগুলোর সর্বোচ্চ প্রয়োগসহ আরো কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের ওপর জোর দিতে হবে।
সৌজন্যে— দৈনিক ইত্তেফাক