চা বা কফি কি শক্তি বাড়াতে পারে?
- প্রকাশ: ০৬:৪০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৮৯৬ বার পড়া হয়েছে
চা বা কফি কার পছন্দ নয়? চা-কফি পছন্দ নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফির কাপে চুমুক দিতে পছন্দ করেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ তো সারাদিনে বেশ কয়েক কাপ চা বা কফি পান করেন। বিশেষ করে শরীর ও মন চাঙা করতেই কমবেশি সবাই পান করেন চা বা কফি। হয়তো কাজের চাপে কেউ রিল্যাক্স হতে পান করেন চা-কফি, আবার কেউ হয়তো রাত জেগে কাজ করার জন্য ঘুম কাটাতে পান করেন বহুল জনপ্রিয় এ পানীয়। তবে চা এবং কফি নামের বহুল জনপ্রিয় এই প্রকারের পানীয় মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ?
এক কাপ গরম চা বা কফি হয়তো আপনাকে এক মুহূর্ত স্বস্তি দেবে, তবে অতিরিক্ত এসব পান করলে ফলাফল ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি হবে। বিশেষ করে এনার্জি বুস্টার হিসেবে কখনোই চা-কফি পান করা উচিত নয়, এমনটিই মত পুষ্টিবিদের।
চা-কফির আসক্তি স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকারক হতে পারে। অনেক পুষ্টিবিদের পরামর্শ হলো— অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে চা বা কফি পান করা থেকে সবারই বিরত থাকতে হবে।
চা বা কফি কি আদৌ শক্তি বাড়ায়? চা-কফি এনার্জি বাড়ায় এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এটি আসলে সিগারেটের মতো কাজ করে। পুষ্টিবিদ বলেছেন, এগুলো উদ্দীপক ও আসক্তিও বটে। আপনি দিনে ২ কাপ পর্যন্ত চা বা কফি পান করতে পারেন, এতে উপকার পাবেন। তবে এর বেশি হলেই তা আপনার স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। আরও স্পষ্ট করে বলা যায় যে, এক কাপ ইনস্ট্যান্ট কফিতে ৬০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে ও এক কাপ চায়ে থাকে এর অর্ধেক পরিমাণ। তবে আপনি যদি উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি এ পানীয় গ্রহণ করেন তবে তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চা-কফির আসক্তি কাটিয়ে ডায়েটের মাধ্যমে কর্মক্ষমতা ও জীবনীশক্তির মাত্রা বাড়ানোর বেশ কিছু শক্তিশালী উপায় রয়েছে। এর মধ্যে আছে সাধারণ খাবারের সমন্বয় নীতি গ্রহণ করা ও এনজাইম সমৃদ্ধ ফল ও উদ্ভিজ্জ রস খাওয়া। তিনি আরো জানান, ভেষজ চা, সবুজ চা, ধনে ও পুদিনার রস, নারকেলের পানিসহ কমলার রস ইত্যাদি পানীয় শারীরিকভাবে আপনাকে আরো শক্তি জোগাবে ও ফিট রাখবে। এসব পানীয় আসক্তিহীন, প্রাকৃতিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।
যে সকল খাবার বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে, সে স্কল খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত চা এবং কফি মোটামুটিভাবে ওপরের দিকেই আছে। এছাড়া শরীর সুস্থ রাখতে চিনিযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, খুব বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও নিকোটিন এড়িয়ে চলতে হবে।