জীবনী: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়— ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক
- প্রকাশ: ১২:১২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটোগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী, ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ২০ টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি, এবং দিনলিপি রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। বিভূতিভূষণের অধিকাংশ উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।
এক নজরে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম | ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ মুরাতিপুর গ্রাম, উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা, বাংলা প্রদেশ (এখন পশ্চিমবঙ্গ), ভারত |
মৃত্যু | ১ নভেম্বর ১৯৫০ (বয়স ৫৬) ঘাটশিলা, বিহার (এখন ঝাড়খণ্ড), ভারত |
পেশা | লেখক |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
সময়কাল | ১৯২৯-৫০ |
ধরন | উপন্যাস, ছোটোগল্প, ভ্রমণসাহিত্য, দিনলিপি |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী, অশনি সংকেত, মেঘমল্লার, তালনবমী, চাঁদের পাহাড়, দৃষ্টিপ্রদীপ,দেবযান |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর, ১৯৫১) |
দাম্পত্যসঙ্গী | গৌরী দেবী (১৯১৭-১৮) রমা দেবী (১৯৪০-৫০) |
সন্তান | তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় |
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ও পরিবার
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়ার নিকটবর্তী ঘোষপাড়া-মুরাতিপুর গ্রামে নিজ মামার বাড়িতে ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। বিভূতিভূষণের পৈতৃক নিবাস উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ’র নিকট বারাকপুর গ্রামে। তবে তাদের আদিবাস ছিল উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত পানিতর গ্রাম৷ তার প্রপিতামহ ছিলেন কবিরাজ এবং তিনি বনগাঁর নিকট বারাকপুর গ্রামে কবিরাজি করতে আসতেন৷ তার পিতা মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন প্রখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত। পাণ্ডিত্য এবং কথকতার জন্য তিনি শাস্ত্রী উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। মাতা মৃণালিনী দেবী। পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে বিভূতিভূষণ বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন।
বিভূতিভূষণের শিক্ষাজীবন
পিতার কাছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পড়ালেখার পাঠ শুরু হয়। এরপর নিজ গ্রাম ও অন্য গ্রামের কয়েকটি পাঠশালায় পড়াশোনার পর বনগ্রাম উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি অবৈতনিক শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় পিতা মারা যান। ১৯১৪ সালে প্রথম বিভাগে এনট্রান্স এবং ১৯১৬ সালে কলকাতা’র রিপন কলেজ (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ) থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯১৮ সালে একই কলেজ থেকে বি.এ পরীক্ষায়ও ডিস্টিংশনসহ পাশ করেন। এরপর বিভূতিভূষণ তিনি মাস্টার অব আর্টস ও আইন বিষয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তবে পড়াশোনা ছেড়ে দেন ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে।
বিবাহ
১৯১৯ সালে হুগলী জেলার জাঙ্গীপাড়ায় দ্বারকানাথ হাইস্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ানোর সময় বসিরহাটের মোক্তার কালীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা গৌরী দেবীর সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের এক বছর পরই গৌরী দেবী মারা যান। স্ত্রীর শোকে তিনি কিছুদিন প্রায় সন্ন্যাসীর মতো জীবনযাপন করেন। পরে ১৩৪৭ সালের ১৭ অগ্রহায়ণ (ইংরেজি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০) তারিখে ফরিদপুর জেলার ছয়গাঁও নিবাসী ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে রমা দেবীকে বিয়ে করেন। বিয়ের সাত বছর পর একমাত্র সন্তান তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (ডাকনাম বাবলু) জন্মগ্রহণ করেন।
কর্মজীবনে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শিক্ষকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। এসময় কিছুদিন গোরক্ষিণী সভার প্রচারক হিসেবে বাংলা, ত্রিপুরা ও আরাকানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। পরে খেলাৎচন্দ্র ঘোষের বাড়িতে সেক্রেটারি, গৃহশিক্ষক এবং তার এস্টেটের ভাগলপুর সার্কেলের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিছুদিন আবার ধর্মতলার খেলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এরপর যোগ দেন বনগাঁর নিকট গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশন স্কুলে। এ স্কুলেই তিনি আমৃত্যু কর্মরত ছিলেন। এ মহান কথাসাহিত্যিক ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১ নভেম্বর তারিখে বিহারের (বর্তমানে ঝাড়খন্ড) ঘাটশিলায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার বাড়িটির নাম স্ত্রীর নামে ‘গৌরীকুঞ্জ’ রেখেছিলেন। সামনের রাস্তাটি অপুর পথ হিসেবে পরিচিত।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৮ বঙ্গাব্দ) প্রবাসী পত্রিকার মাঘ সংখ্যায় উপেক্ষিতা নামে একটি গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ভাগলপুরে কাজ করার সময় ১৯২৫ সালে তিনি পথের পাঁচালী রচনা শুরু করেন। এ বই লেখার কাজ শেষ হয় ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে। পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা। সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় এ লেখাটি পছন্দ করে বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশ করলে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় পথের পাঁচালী উপন্যাসের কাহিনিকে চলচ্চিত্রে রূপদানের মাধ্যমে নিজের চলচ্চিত্র জীবনের সূচনা করেছিলেন। এ সিনেমাটির নামও ছিল পথের পাঁচালী। এ চলচ্চিত্রটি দেশী-বিদেশী প্রচুর পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছিল।
এরপর অপরাজিত নামক উপন্যাস রচনা করেন, এটি ছিল পথের পাঁচালী উপন্যাসের পরবর্তী অংশ। সত্যজিৎ এ উপন্যাস নিয়েও দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। উভয় উপন্যাসেই তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিফলন ঘটেছে। পথের পাঁচালী উপন্যাসটি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা এবং ইংরেজি ও ফরাসি সহ বিভিন্ন পাশ্চাত্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিভূতিভূষণের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্পগ্রন্থ হল: মেঘমল্লার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল।
বিভূতিভূষণের লেখা চাঁদের পাহাড় একটি অনবদ্য অভিযানমূলক কাহিনি, যার পটভূমি আফ্রিকা। ২০১৩ সালে বিখ্যাত চিত্রপরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জী “চাঁদের পাহাড়”কে বাংলা চলচ্চিত্রে রূপান্তর করেন। এ চলচ্চিত্রটিও বাংলা চলচ্চিত্র জগতে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রন্থতালিকা
উপন্যাস
- পথের পাঁচালি (১৯২৯)
- অপরাজিত (১ম ও ২য় খণ্ড, ১৯৩২)
- দৃষ্টিপ্রদীপ (১৯৩৫)
- আরণ্যক (১৯৩৯)
- আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০)
- বিপিনের সংসার (১৯৪১)
- দুই বাড়ি (১৯৪১)
- অনুবর্তন (১৯৪২)
- দেবযান (১৯৪৪)
- কেদার রাজা (১৯৪৫)
- অথৈজল (১৯৪৭)
- ইছামতি (১৯৫০)
- অশনি সংকেত (অসমাপ্ত, বঙ্গাব্দ ১৩৬৬)
- দম্পতি (১৯৫২)
গল্প-সংকলন
- মেঘমল্লার (১৯৩১)
- মৌরীফুল (১৯৩২)
- যাত্রাবাদল (১৯৩৪)
- জন্ম ও মৃত্যু (১৯৩৭)
- কিন্নর দল (১৯৩৮)
- বেণীগির ফুলবাড়ি (১৯৪১)
- নবাগত (১৯৪৪)
- তালনবমী (১৯৪৪)
- উপলখন্ড (১৯৪৫)
- বিধুমাস্টার (১৯৪৫)
- ক্ষণভঙ্গুর (১৯৪৫)
- অসাধারণ (১৯৪৬)
- মুখোশ ও মুখশ্রী (১৯৪৭)
- আচার্য কৃপালিনী কলোনি (১৯৪৮; ১৯৫৯ সালে ‘নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব’ নামে প্রকাশিত)
- জ্যোতিরিঙ্গণ (১৯৪৯)
- কুশল-পাহাড়ী (১৯৫০)
- রূপ হলুদ (১৯৫৭,মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
- অনুসন্ধান (১৯৬০,বঙ্গাব্দ ১৩৬৬, মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
- ছায়াছবি (১৯৬০,বঙ্গাব্দ ১৩৬৬, মৃত্যুর পর প্রকাশিত)
- সুলোচনা (১৯৬৩)
কিশোরপাঠ্য
- চাঁদের পাহাড় (১৯৩৮)
- আইভ্যানহো (সংক্ষেপানুবাদ, ১৯৩৮)
- মরণের ডঙ্কা বাজে (১৯৪০)
- মিসমিদের কবচ (১৯৪২)
- হীরা মাণিক জ্বলে (১৯৪৬)
- সুন্দরবনের সাত বৎসর (ভুবনমোহন রায়ের সহযোগিতায়, ১৯৫২)
ভ্রমণকাহিনী ও দিনলিপি
- অভিযাত্রিক (১৯৪০)
- স্মৃতির রেখা (১৯৪১)
- তৃণাঙ্কুর (১৯৪৩)
- ঊর্মিমুখর (১৯৪৪)
- বনে পাহাড়ে (১৯৪৫)
- উৎকর্ণ (১৯৪৬)
- হে অরণ্য কথা কও (১৯৪৮)
অন্যান্য
- বিচিত্র জগত (১৯৩৭)
- টমাস বাটার আত্মজীবনী (১৯৪৩)
- আমার লেখা (বঙ্গাব্দ ১৩৬৮)
- প্রবন্ধাবলী
- পত্রাবলী
- দিনের পরে দিন
বিভূতিভূষণের সাহিত্যকর্ম থেকে চলচ্চিত্র
- পথের পাঁচালী (১৯৫৫)
- অপরাজিত (১৯৫৬)
- আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৫৭)
- অপুর সংসার (১৯৫৯)
- বাক্স বাদল (১৯৭০)
- নিশি পদ্ম (১৯৭০) ছোটো গল্প হিঙ্গের কচুরি অবলম্বনে ।
- অমর প্রেম (১৯৭২) ছোটো গল্প হিঙ্গের কচুরি অবলম্বনে ।
- নিমন্ত্রণ (১৯৭১)
- অশনি সংকেত (১৯৭৩)
- আলো (২০০৩), ছোটো গল্প কিন্নরদল অবলম্বনে।
- দ্য ফেস্টিভ্যাল! তালনবমী (চলচ্চিত্র) (২০০৩)
- চাঁদের পাহাড় (২০১৩) একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে।
- সহজ পাঠের গপ্পো (কালার’স অফ ইনোসেন্স) (২০১৭) তাল নবমী গল্পের উপর ভিত্তি করে।
- অভিযাত্রিক (২০২১) অপরাজিত উপন্যাসের শেষ অংশের উপর ভিত্তি করে।
- আমাজন অভিজান (২০১৭) ‘চাঁদের পাহাড় ‘ চলচ্চিত্রের চরিত্রের উপর ভিত্তি করে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
অধুনা ঝাড়খন্ডের ঘাটশিলাতে, ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর (১৭ই কার্তিক ১৩৫৭ বঙ্গাব্দ,বুধবার) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন দুপুরে সুবর্ণরেখা নদীর ওপরে ‘পঞ্চপাণ্ডব ঘাট’-এ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা
- ১৯৫১ সালে ইছামতি উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মরণোত্তর রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
- পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার (লেখকের জন্মস্থান) পারমাদান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের নাম লেখকের সম্মানার্থে রাখা হয়েছে “বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য”।
স্মৃতিঘাট
বিভিতিভূষণ স্মৃতিঘাট উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার বনগাঁর নিকটে টালিখোলা মোড়ের কাছে ইছামতী নদীর পাড়ে অবস্থিত। এখানে বিভূতিভূষণের চেয়ারে বসে থাকা একটি প্রতিকৃতি আছে। একটি অতিথিশালা নির্মাণ করা হয়েছে। এর পাশে আছে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ। এখনও ইছামতীর কলরব অনেক কথায় মনে করিয়ে দেয় সেদিনের। শীতকালে এখানে অনেকে বনভোজন করতে এসে থাকে।