০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
                       

৪৩ পেরিয়েও অপরিবর্তিত সৌন্দর্য, কুসুম শিকদারের ফিটনেস রুটিন

৪৩ বছরেও কুসুম শিকদার ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।
বিশ্লেষণ ডেস্ক
  • প্রকাশ: ০৯:৪২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

৪০ পেরিয়েও যুবতীর মতো কুসুম শিকদার

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল ও নির্মাতা কুসুম শিকদার চল্লিশের ঘর পার করলেও তার সৌন্দর্য ও তারুণ্যের ছাপ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনের ফলাফল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার ফিটনেস, খাদ্যাভ্যাস ও সুস্থ থাকার পদ্ধতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন, যা অনেকের জন্যই হতে পারে দারুণ অনুপ্রেরণার উৎস।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস: ফিট থাকার মূলমন্ত্র

স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে কুসুম শিকদার গত ১২ বছর ধরে ভাত খাননি এবং ১৩ বছর ধরে মাছ-মাংস বাদ দিয়েছেন। তার খাদ্যতালিকা মূলত নিরামিষভিত্তিক, যা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করছে।

তিনি বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে ভাত খাওয়া বন্ধ করি। এরপর গত ১৩ বছর ধরে মাছ-মাংসও খাই না। এখন ভাত খেলেও খুব কম পরিমাণে। ভাতের সঙ্গে সবজি বেশি খাই। দুধ, ডিম, ঘি, মাখন, রুটি প্রতিদিনের খাবারে থাকে।’

অ্যালার্জির কারণে বেগুন ও পুঁইশাক ছাড়া প্রায় সব ধরনের শাকসবজি তার খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এই দীর্ঘ খাদ্যাভ্যাসের ফলে তিনি নিজেকে ‘সম্পূর্ণ ভেজিটেরিয়ান’ হিসেবেই ভাবেন।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ বছরে কুসুম শিকদার, বয়স শুধুই সংখ্যা; ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।

রেড মিট এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখতে রেড মিট এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কুসুম শিকদার। তিনি বলেন, ‘সুস্থ থাকাটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রেড মিট এড়িয়ে চলাই ভালো। আমি রেড মিট একদম ছুঁই না। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ ভালো থাকি।’

রেড মিট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কুসুম শিকদারের মতো নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস অনেকের জন্যই হতে পারে সুস্থতার চাবিকাঠি।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার

শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন ও শরীরচর্চা

শুধু খাবার নিয়ন্ত্রণ নয়, কুসুম শিকদার নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি শরীরচর্চা করে আসছেন, যা তার চেহারা ও শারীরিক গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

অভিনয় থেকে পরিচালনায় সফল যাত্রা

অভিনয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখার পর, কুসুম শিকদার পরিচালনার ক্ষেত্রেও সফলতা অর্জন করেছেন। তার পরিচালিত ও অভিনীত চলচ্চিত্র ‘শরতের জবা’ গেল বছর মুক্তি পেয়েছে, যেখানে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, জিতু আহসান, শহীদুল আলম সাচ্চু, নরেশ ভূঁইয়া, বড়দা মিঠু ও অশোক ব্যাপারী। সিনেমাটি দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে এবং নির্মাতা হিসেবে কুসুম শিকদারের দক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার

স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা

কুসুম শিকদারের জীবনধারা প্রমাণ করে যে, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনই দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখার মূল চাবিকাঠি। তার অভ্যাস ও পরিশ্রম থেকে তরুণ প্রজন্ম এবং ফিটনেস সচেতন ব্যক্তিরা অনেক কিছু শিখতে পারেন। সুস্থ থাকতে হলে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং শরীরচর্চাকে নিয়মিত জীবনের অংশ করা অত্যন্ত জরুরি।

৪৩ বছরে কুসুম শিকদার, বয়স শুধুই সংখ্যা; ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।
৪৩ বছরে কুসুম শিকদার, বয়স শুধুই সংখ্যা; ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।

কুসুম শিকদার তার সুস্থতা ও সৌন্দর্যের পেছনে যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার উৎস। শুধু বিনোদন জগতের মানুষ নয়, যে কেউ যদি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে মনোযোগ দেয়, তবে তিনিও তারুণ্য ধরে রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকতে পারবেন। তার এই জীবনযাপন সত্যিই প্রশংসনীয় এবং অনুসরণযোগ্য।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

বিশেষ শর্তসাপেক্ষে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে।

৪৩ বছরেও কুসুম শিকদার ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।

৪৩ পেরিয়েও অপরিবর্তিত সৌন্দর্য, কুসুম শিকদারের ফিটনেস রুটিন

প্রকাশ: ০৯:৪২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল ও নির্মাতা কুসুম শিকদার চল্লিশের ঘর পার করলেও তার সৌন্দর্য ও তারুণ্যের ছাপ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনের ফলাফল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার ফিটনেস, খাদ্যাভ্যাস ও সুস্থ থাকার পদ্ধতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন, যা অনেকের জন্যই হতে পারে দারুণ অনুপ্রেরণার উৎস।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার

নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস: ফিট থাকার মূলমন্ত্র

স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে কুসুম শিকদার গত ১২ বছর ধরে ভাত খাননি এবং ১৩ বছর ধরে মাছ-মাংস বাদ দিয়েছেন। তার খাদ্যতালিকা মূলত নিরামিষভিত্তিক, যা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করছে।

তিনি বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে ভাত খাওয়া বন্ধ করি। এরপর গত ১৩ বছর ধরে মাছ-মাংসও খাই না। এখন ভাত খেলেও খুব কম পরিমাণে। ভাতের সঙ্গে সবজি বেশি খাই। দুধ, ডিম, ঘি, মাখন, রুটি প্রতিদিনের খাবারে থাকে।’

অ্যালার্জির কারণে বেগুন ও পুঁইশাক ছাড়া প্রায় সব ধরনের শাকসবজি তার খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এই দীর্ঘ খাদ্যাভ্যাসের ফলে তিনি নিজেকে ‘সম্পূর্ণ ভেজিটেরিয়ান’ হিসেবেই ভাবেন।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ বছরে কুসুম শিকদার, বয়স শুধুই সংখ্যা; ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।

রেড মিট এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখতে রেড মিট এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কুসুম শিকদার। তিনি বলেন, ‘সুস্থ থাকাটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রেড মিট এড়িয়ে চলাই ভালো। আমি রেড মিট একদম ছুঁই না। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ ভালো থাকি।’

রেড মিট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কুসুম শিকদারের মতো নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস অনেকের জন্যই হতে পারে সুস্থতার চাবিকাঠি।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার

শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন ও শরীরচর্চা

শুধু খাবার নিয়ন্ত্রণ নয়, কুসুম শিকদার নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি শরীরচর্চা করে আসছেন, যা তার চেহারা ও শারীরিক গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

অভিনয় থেকে পরিচালনায় সফল যাত্রা

অভিনয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখার পর, কুসুম শিকদার পরিচালনার ক্ষেত্রেও সফলতা অর্জন করেছেন। তার পরিচালিত ও অভিনীত চলচ্চিত্র ‘শরতের জবা’ গেল বছর মুক্তি পেয়েছে, যেখানে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, জিতু আহসান, শহীদুল আলম সাচ্চু, নরেশ ভূঁইয়া, বড়দা মিঠু ও অশোক ব্যাপারী। সিনেমাটি দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে এবং নির্মাতা হিসেবে কুসুম শিকদারের দক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে।

৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার
৪৩ পেরিয়েও যুবতীর মতো, কঠোর নিয়মে ফিট কুসুম শিকদার

স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা

কুসুম শিকদারের জীবনধারা প্রমাণ করে যে, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনই দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখার মূল চাবিকাঠি। তার অভ্যাস ও পরিশ্রম থেকে তরুণ প্রজন্ম এবং ফিটনেস সচেতন ব্যক্তিরা অনেক কিছু শিখতে পারেন। সুস্থ থাকতে হলে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং শরীরচর্চাকে নিয়মিত জীবনের অংশ করা অত্যন্ত জরুরি।

৪৩ বছরে কুসুম শিকদার, বয়স শুধুই সংখ্যা; ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।
৪৩ বছরে কুসুম শিকদার, বয়স শুধুই সংখ্যা; ফিটনেস ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রেখেছেন।

কুসুম শিকদার তার সুস্থতা ও সৌন্দর্যের পেছনে যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার উৎস। শুধু বিনোদন জগতের মানুষ নয়, যে কেউ যদি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে মনোযোগ দেয়, তবে তিনিও তারুণ্য ধরে রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকতে পারবেন। তার এই জীবনযাপন সত্যিই প্রশংসনীয় এবং অনুসরণযোগ্য।